আজকে মুরগীর একটি ভিন্ন রেসিপি দেখাবো। যেটি নাম হলো "মুগা নব রতন"। chicken recipe। আর মুরগির মাংস কিছু বর্ননা দেওয়ার চেষ্টা করলাম।

 

আজকে মুরগীর একটি ভিন্ন রেসিপি দেখাবো। যেটি নাম হলো "মুগা নব রতন"। আর মুরগির মাংস কিছু বর্ননা দেওয়ার চেষ্টা করলাম।




মুগা নব রতন



মুরগির মাংসের মধ্যে কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে :-

প্রোটিন

খাদ্যশক্তি

শর্করা

আয়রন 

ফ্যাটি অ্যাসিড

সোডিয়াম

ভিটামিন সি

ভিটামিন বি

ভিটামিন

কার্বোহাইড্রেট



মুরগি




মুরগির মাংস খাওয়ার উপকারিতা :-

মুরগির মাংস খেতে আমরা কম বেশি প্রায় সকলেই ভালোবাসি। মুরগির মাংস যেমন দামে সস্তা তেমন খেতেও সুস্বাদু। মুরগির মাংস আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম উপকার করে। যেমন- মুরগির মাংস খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে, হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে ইত্যাদি। আর একটি কথা সবসময় মাথায় রাখবেন,সবচেয়ে বেশি ভালো হবে দেশি মুরগি খাওয়া। যতটা পোলট্রি মুরগি খেয়ে উপকার পাওয়া যায়,তার থেকে অনেক গুনে বেশি উপকার পাওয়া যায় দেশি মুরগি মাংস খেয়ে।




মানসিক সুস্বাস্থ্য ভালো রাখে মুরগির মাংস।


মুরগির মাংস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।


•  মুরগির মাংস ত্বকের জন্য উপকারী।


•  মুরগির মাংস ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে


•  মুরগির মাংস হার্টকে সুস্থ রাখে।



•  মুরগির মাংস বিষণ্নতা দূর করতে সাহায্য করে।



•  মুরগির মাংস ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।



•  মুরগির মাংস হাড় ক্ষয় প্রতিরোধ করে।



•  মুরগির মাংস হার্টের জন্য উপকারী।



•  মুরগির মাংস রক্তাল্পতায় উপকারী।



•  মুরগির মাংস হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।



•  মুরগির মাংস চোখ ভালো রাখে।




মুরগির মাংসের অপকারিতা:-


মুরগিকে অনেক সময় বেশি তাড়াতাড়ি বড় করার জন্য হরমোন ইনজেকশন দেওয়া হয়। মুরগির মাংসের মধ্যে থাকা এসব হরমোন আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।মুরগির মাংসের মধ্যে বিষাক্ত আর্সেনিক পাওয়া যায়। যা আমাদের মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর। হরমোন এবং অন্যান্য বিভিন্ন রকম ওষুধ ব্যবহার করার ফলে মুরগির মাংসের আর্সেনিক পাওয়া যায়।

অ্যান্টিবায়োটিক দ্রুত বিধি পাওয়ার জন্য সাধারণ মানব শরীরে যেসব অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয় সেই সব অ্যান্টিবায়োটিক মুরগির শরীরেও দেওয়া হয়। এই সব মুরগির মাংস খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই মুরগির মাংস কেনার আগে অবশ্যই পর্যবেক্ষণ করে তারপরে মুরগির মাংস কিনবেন।

অতিরিক্ত মাত্রায় তেল এবং ফ্যাট যুক্ত মুরগি খাওয়ার ফলে হার্টের সমস্যা হতে পারে।ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য অতিরিক্ত মাত্রায় মুরগির মাংস খাওয়া উচিত নয়।বেশি তাপে মুরগির মাংস রান্না করে খাওয়ার ফলে ক্যান্সারে ঝুঁকি বাড়তে পারে।

অনেক গবেষণায় কথা প্রমাণিত হয়েছে যে পোল্টি মুরগি আমাদের শরীরে পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। যেভাবে পোল্টি মুরগিগুলিকে বড় করা হয়ে থাকে তা একেবারেই সঠিক পদ্ধতি নয়। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি না করেই তাদেরকে বিল্ড করানো হয় যার সরাসরি প্রভাব আমাদের শরীরের উপর পড়ে।

আপনি কি জানেন বেশি পরিমাণে মুরগি মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর (Chicken Side Effects) অতিরিক্ত মুরগির মাংস খেলে উচ্চ কোলেস্টেরল, ওজন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য সমস্যা হতে পারে (Chicken Side Effects)




যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-

১. মুরগীটি (১.২ কিলো)

২. দই ৪০০ গ্ৰাম

৩. ঘি ১৫০ গ্ৰাম

৪. গরমমশলা ২০ গ্ৰাম

৫. পেঁয়াজ ২০০ গ্ৰাম

৬. কাঁচালঙ্কাথেকেটি

৭. শুকনো লঙ্কা গুঁড়োচামচ

৮. ক্রিম আধ কাপ

৯. জয়িত্রী আধ চা -চামচ

১০. এলাচ গুঁড়ো সামান্য পরিমাণে

১১. আদাচামচ

১২. নুন পরিমাণমতো অর্থাৎ স্বাদ অনুযায়ী




শাহি বাটার জন্য যা যা প্রয়োজন :-

১. পেস্তা ১৫ টি

২. বাদাম ১০ টি

৩. আখরোট ১০ টুকরো

৪. কিসমিস ১০ থেকে ১৫ গ্ৰাম

৫. তরমুজের দানা ১০ গ্ৰাম

৬. খরমুজের দানা ১০ গ্ৰাম

৭. সূর্যমুখীর বিচি ১০ থেকে ১২ গ্ৰাম



মুগা নব রতন



কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -

প্রথম ধাপ :- প্রথমে মুরগীর ছাল ছাড়িয়ে পরিস্কার করে নিন, তারপর আট টুকরো করে কেটে নিন। এরপর টুকরোগুলি আধ থেঁতো করে নিন। এবারে দইকে ফেটিয়ে নিন, ফেটানো দইতে নুন মিশিয়ে মুরগীতে মাখিয়ে আধঘন্টা রেখে দিন।

দ্বিতীয় ধাপ :- এবার পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে কেটে নিন। এরপর আদা কুচানো, লঙ্কা কুচানো,পোস্ত আধঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর বাদামের খোসা ছাড়ান।কাজু, পেস্তা বাদাম একসঙ্গে বাটুন।এই ভাবেই শাহি - বাটা তৈরি হলো। অর্থাৎ এটি হলো শাহি - বাটা।

তৃতীয় ধাপ :- এবারে একটি হাঁড়ি নিন, সেই হাঁড়িতে ঘি গরম করুন, তারপর তাতে গরমমশলা দিন। এরপর পেঁয়াজ সোনালি করে ভাজুন। আদা এবং কাঁচালঙ্কা দিন। তারপর অল্প জল দিন, সঙ্গে হলুদ আর লঙ্কা গুঁড়ো দিন। এটিকে অল্প সময় রাখুন। তারপর দই মাখানো মুরগী হাঁড়িতে দিন এবং তাতে ১০০০ মিলি লিটার জল দিন। এবারে মাংস ফুটতে থাকলে আঁচ কমিয়ে হাঁড়ি ঢাকা দিয়ে দিন। এরপর মাংস নরম না হত্তয়া অবধি রান্না করুন।

চতুর্থ ধাপ :- এবারে এই মাংসে শাহি বাটা দিন, তারপর আবার মাংস ফোটান, রান্নায় ক্রিম মেশান। এরপর তাতে জয়িত্রী, এলাচ গুঁড়ো, পেস্তা, বাদাম, কিসমিস ইত্যাদি খাবার সাজানোর উপকরণ ওপর থেকে ছড়িয়ে দিন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.