'ইলিশ মাছের ডিমের অম্বল' খুব সহজেই বাড়িতে তৈরি করুন।
একটি ছোট্ট টিপস :-
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণের সহায়ক কিছু খাবার -
সূচনা :- আমাদের দেহের ক্যালসিয়াম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ বা উপাদান। এটি দেহের হাড় ও দাঁতের গঠনে প্রধান সহায়ক।এই ক্যালসিয়ামের অভাবে শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। যেমন মাংসপেশী সংকুচিত হত্তয়া,হাড়ে ভঙ্গুরতা, খাদ্য গ্ৰহণে অরুচি, হার্টে সমস্যার সৃষ্টি হত্তয়া,উচ্চ রক্তচাপ,কোলন ক্যান্সার ইত্যাদি আরও নানা সমস্যা বাসা বাঁধে শরীরে।
তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ক্যালসিয়াম চাহিদা পূরণ করে এমন খাদ্য অবশ্যই রাখতে হবে। যেমন-
• দুধ :-
প্রতিদিনের ডায়েট চার্টের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য হলো এই দুধ। এটি ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানে পরিপূর্ণ,যা আমাদের সুস্থ হাড় ও দাঁত গঠনে অপরিহার্য। আমাদের ছোট বেলা থেকে সারাজীবন নিয়মিত দুধ খাওয়ার অভ্যাসই এই হাড়কে করবে অধিক শক্তিশালী। এতে ওস্টেয়োপোরোসিস (osteoporosis) যা হাড় ভঙ্গুর হবার ভয় থেকে অনেকাংশে কমে যাবে।
• পনির :-
পনির ও একটি উচ্চ ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য।এই পনিরের মধ্যে ক্যালসিয়াম থাকায় হাড়ের ঘনত্ব ঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং ওস্টিয়োপোরোসিস থেকে অনেকক্ষানি রক্ষা করে। সঠিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস সরবরাহ করে,তাই এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত রোগীর চিকিৎসায় এটি খুবই উপকারী।
• সয়াবিন :-
বিভিন্ন রকম সয়া খাদ্য সমূহ যেমন- সয়া দুধ,সয়া আটা,টোফু ইত্যাদি যা ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, ফাইবার ইত্যাদি আরো বিভিন্ন রকম সুস্বাস্থ্যের জন্য দরকারি উপাদানে পরিপূর্ণ।সয়াতে ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি প্রায় দুধের সমান। এতে রয়েছে ফাইটোএস্ট্রোজেন যা হাড়কে শক্তিশালীকরণে অনেক বেশি সাহায্য করে।
• দই
:-
ক্যালসিয়ামের উৎস হিসেবে এটি ও অন্যতম একটি খাবার।এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন যা আমাদের হাড়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আর এই ৮ আউণ্স দইয়ে থাকে ৪৪০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।তাই দই শরীরের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• ঢেঁড়স :-
হ্যাঁ এই ঢেঁড়সের ও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য।এই ঢেঁড়স একটি গ্রীস্মকালীন সবজি, এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি,এ,সি।
• বাদাম :-
প্রায় সব ধরনের বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন, পটাশিয়াম, আয়রন ও খনিজ পদার্থ। এটি দেহের জন্য অতি উপকারি যা আমাদের হাড় শক্ত করতে ও গঠনে সাহায্য করে।
• সতর্কতা :-
অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম গ্ৰহণে দেহের জন্য খুব ক্ষতিকর। তাই পরিমাণমতো খাওয়া উচিত যেটি শরীরের পক্ষে লাভদায়ক। যদি প্রয়োজন পড়ে চিকিৎসকের বা ডাক্তারের পরামর্শ নিন।আর অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্ৰহণের ফলে নানা রকম মারাত্মক রোগ ও সৃষ্টি হতে পারে যেমন কিডনি পাথর, স্ট্রোক ইত্যাদি। তাই আমাদের পরিমাণমতো খাদ্য গ্ৰহণে সজাগ থাকতে হবে বা পরিমাণমতো খেতে হবে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের 'ইলিশ মাছের ডিমের অম্বল' রেসিপিটি দেখে নেওয়া যাক। আর কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-
১. বড় ইলিশ মাছের ডিম ১০০ গ্ৰাম
২. হলুদ গুঁড়ো চার ভাগের এক ভাগ চামচ
৩. পাকা তেঁতুলের কাই ৩ চামচ
৪. চিনি ২ চামচ
৫. সরষে চার ভাগের এক ভাগ চামচ
৬. তেল পরিমাণমতো
৭. নুন প্রয়োজনমতো
কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -
প্রথম ধাপ :- প্রথমে ডিম আস্ত রেখে নুন জলে ধুয়ে কড়ায় ৩/৪ চামচ তেল গরম করে লালচে রং করে ভেজে নিন। তারপর কড়া ধুয়ে পরিষ্কার করে আবার ১ চামচ তেল গরম করে সরষে ফোড়ন দিন, অল্প পরে হলুদ দিয়ে তেঁতুলের কাই আধ কাপ জলে গুলে ঢেলে দিন ও নাড়াচাড়া করুন।ফুটলে চিনি, নুন দিয়ে ভাজা ডিম ছুরি দিয়ে কেটে বড় বড় টুকরো করে ছেড়ে দিন।বেশ কয়েকবার ফুটিয়ে নামিয়ে নিন।একটু ঝোল থাকবে। প্রয়োজনে ফোটার সময় সামান্য জল বেশি দিতে পারেন। এইবার গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন।ব্যস এই ভাবেই তৈরি করে ফেলুন বাড়িতেই এই 'ইলিশ মাছের ডিমের অম্বল'।
দ্বিতীয় ধাপ :- এই রান্না পোনা মাছের ডিম দিয়ে ও করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ডিম ধুয়ে ২ চামচ ময়দা মিশিয়ে চটকে ছাঁকা তেলে আগে ডিমের বড়া করে নিয়ে অম্বল করতে হবে। বন্ধুরা কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।