আজকে দেখাবো নোনা ইলিশের একটি রেসিপি।যার নাম হলো 'নোনা ইলিশের কাসুন্দী'।Nona iliser kasundi।

 

আজকে দেখাবো নোনা ইলিশের একটি রেসিপি।যার নাম হলো 'নোনা ইলিশের কাসুন্দী'



নোনা ইলিশের কাসুন্দী



একটি ছোট্ট টিপস :-

গরম তেলে শরীরের কোন অংশ পুড়ে গেলে কি করনীয় -

সূচনা:- মহিলাদের দৈনন্দিন কাজে বিশেষত রান্নার কাজ করতে গিয়ে শরীরের কোন স্থান আগুনে পুড়ে যেতে পারে কিংবা তেল ছিটকে হাত,গলা,ঘাড়,পা ইত্যাদিতে গরম তেল পড়ে তা পুড়ে যেতে পারে।গরম তেলে শরীরের কোন অংশ পুড়ে গেলে, তৎক্ষণাৎ কি করনীয়,এর কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে উপায় নিম্নে দেওয়া হলো -





১. তেল:-

তেলের ছিটে লাগা স্থানের জন্যে তেল বেশ উপকারী একটি জিনিস। বিশেষ করে সেটা যদি হয় নারকেল তেল। নারকেল তেলে রয়েছে ভিটামিন আর ফ্যাটি অ্যাসিড। যেটি কিনা ফাঙ্গাস আর ব্যাকটেরিয়া থেকে দূরে রাখে সংক্রমণ স্থলকে। শুধু তাই নয় ক্ষতস্থানে কোন রকম দাগ থেকে গেলে সেটাকে দূর করতে নারকেলের তেলের জুড়ি নেই। সেই জন্য বলা হয় নারকেল তেলের গুন বিশাল। শরীরের কোন রকম দাগ মেটাতে চাইলে (ফেস নয়, শুধুমাত্র শরীরের) নারকেল তেলের সঙ্গে খানিকটা লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন দাগের ওপর লাগালে দাগ অনেকক্ষানি পরিস্কার হয়ে যায়। আবার এটাও করা যায় দাগের জন্য নারকেল তেল ছাড়া ল্যাভেন্ডার তেল ব্যবহার করতে পারেন।



২. দুধ অথবা মধু :-

প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে মধুর কোন বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞ মতে ক্ষতস্থানে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে দূর করাসহ ব্যাথা কমাতে অনেকক্ষানি সাহায্য করে এই মধু।আর এই মধুর মধ্যে যেমন ভিটামিন প্রোটিন রয়েছে সেইরকম দুধ একই কাজ করে।আর তাই ক্ষতস্থানে মধু লাগানো যেতে পারে। আর দুধ লাগালে সেটা রাখতে হবে ১৫ মিনিট অব্দি।



৩. ডিমের সাদা অংশ :-

শরীরের যে স্থানে পুড়ে গেছে সেখানে ডিমের সাদা অংশ লাগাতে পারেন। অনেকক্ষানি উপকার পাবেন।



৪. অ্যালোভেরা :-

পুড়ে যাওয়া স্থানের নিরাময়ে অ্যালোভেরার চাইতে ভালো আর কোন কিছু হতে পারে না। খুব দ্রুত ব্যথা আর সংকোচন কমিয়েই দেয়না এটা শুধু। সেই সাথে পুড়ে যাওয়া স্থানটিকে সুরক্ষিত করে আর দ্রুত চামড়ার বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।আর অল্প কিছুদিনের ভেতরেই আপনার পুড়ে যাওয়া চামড়াটিকে ঠিক আগের মতন করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই অ্যালোভেরা। বিশেষজ্ঞদের মতে এই অ্যালোভেরা গুন বিশাল। অ্যালোভেরা বিভিন্ন কাজেই উপকারি।



৫. মিন্ট টুথপেস্ট :-

রান্না ঘরে হাতের কাছেই রাখুন একটি মিন্ট ফ্লেভারের টুথপেস্ট। জ্বলে যাওয়া আর পুঁড়ে যাওয়া জায়গায় জন্য এটি প্রচন্ড কাজের।চামড়ায় কোন রকমের জ্বালা বা পোড়া হলেই এই মিন্ট টুথপেস্ট লাগাতে পারেন।অনেকক্ষানি উপকার পাবেন।



৬. এগুলি সব ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা যা আপনারা একবার হলেও ট্রাই করে দেখতে পারেন। আর যদি বেশি বাড়াবাড়ি হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের 'নোনা ইলিশের কাসুন্দী' রেসিপিটি দেখে নেওয়া যাক।আর কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।






যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-

১. নোনা ইলিশ মাছের টুকরোপিস

২. সরষেচা -চামচ‌‌‌

৩. পেঁয়াজ বাটাটি

৪. হলুদচা -চামচ‌‌‌

৫. শুকনো লঙ্কা বাটাচা -চামচ‌‌‌

৬. কাসুন্দিটেবিল চামচ

৭. সরষের তেলথেকেটেবিল চামচ

৮. লাউ পাতা বড় মাপের ১২ টি

৯. নুন প্রয়োজনমতো




নোনা ইলিশের কাসুন্দী


এবার প্রণালী :-

প্রথম ধাপ :-  প্রথমে মাছের টুকরোগুলো অল্প গরম জলে তাল করে ধুয়ে নিন। এরপর মাছের সঙ্গেটেবিল চামচ তেল,আধ চা -চামচ‌‌‌ হলুদ নাম মাত্রে নুন মাখিয়ে আধ ঘন্টা রেখে দিন। এবারে একটি পাত্র নিন, সেই পাত্রে সরষে বাটা, লঙ্কা বাটা, কাসুন্দি, পেঁয়াজ বাটা নুন ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মাখা মশলা মাছের সঙ্গে ভালো করে মাখিয়ে নিন।



দ্বিতীয় ধাপ :- এবারে লাউ পাতা গুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। তারপর প্রত্যেক টুকরো মাছের জন্যটি করে পাতা নিন।পাতা দুটি একসঙ্গে করে নিন।এই পাতার ভেতর একটি করে মাছের টুকরো দিয়ে ভালো ভাবে ভাঁজ করে নিন। এরপর একটি টুথ পিক দিয়ে আটকে দিন যাতে খুলে না যায়। এরপর একটি ভারি দেখে চাটু নিন, অর্থাৎ ভারি দেখে একটি কড়াই। তারপর ওর ওপরচামচ তেল দিন। তেল গরম হলে এর উপর লাউ পাতা গুলো ভালো করে সাজিয়ে দিন। এবারে আঁচ কমিয়ে সামান্য হলুদ চিমটে নুন মেশানো জল সামান্য পরিমাণে ছিটিয়ে ঢাকা দিয়ে দেবেন। দেখবেন জল একেবারে শুকিয়ে গেলে আস্তে করে উল্টিয়ে দিন।এই ভাবেই দুই পিঠেই লাল করে ভেজে নিন।ব্যস এই ভাবেই তৈরি করে ফেলুন বাড়িতেই এই 'নোনা ইলিশের কাসুন্দী' এবারে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন। খেতে জমে যাবে।আপনাদের কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না। বাড়িতে এক হলেও ট্রাই করে দেখতে পারেন।  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.