'সুলতান -ই-গোস্ত' এক ভিন্ন প্রদেশের পদ। এটি সুলতানী আমলের বিশেষ এক পদ।
একটি ছোট্ট টিপস :-
আজকে দেখাবো ঘরোয়া পদ্ধতিতে কোমরের ব্যথা দূর করার উপায় -
এখন কোমরের ব্যথা খুব সাধারণ একটি সমস্যা।কোমর ব্যথার সমস্যায় কমবেশি সকলেই ভুগে থাকেন। তবে মহিলারা বেশি কোমর ব্যথায় ভোগেন। প্রথম থেকে কোমরের ব্যথা নির্মূল করতে না পারলে রোগীকে ভবিষ্যতে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। একটি উপায়ে খুব সহজেই এই ব্যথা উপশম করা সম্ভব। আসুন তাহলে জেনে নেই কোমর ব্যথা দূর করার জাদুকরী উপায়টি।
কেন হয় এই কোমরের ব্যথা :-
১. মানুষের ওজন ও উচ্চতা বেশি হলে
২. ভারী বস্তু তোলার কাজ করলে
৩. কোন রকম কোমরে চোট পেলে
৪. অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে কাজ করলে
৫. পা পিছলে কোথাও যদি পড়ে গেলে
৬. নিয়মিত গাড়ি চালালে
৭. সাধারণত কুঁজো হয়ে হাঁটলে বা বসলে
৮. গর্ভধারণের সময়
৯. হঠাৎ কোন কারণে হাড়, মাংসপেশি, স্নায়ু এই তিনটি উপাদানের সামঞ্জস্য নষ্ট হলে, ইত্যাদি
এই কোমরের ব্যথা খুব সহজেই দূর করা সম্ভব। আমরা জানি আদা যে কোন ব্যথা কমাতে সক্ষম। আদার মাধ্যমেই দূর করে দিতে পারবেন এই সমস্যা। আসুন জেনে নেই এই সমস্যা সমাধানে কার্যকরী আদা জল বানানোর প্রক্রিয়াটি।
যা যা লাগবে :-
১. আদা২. পরিস্কার পাতলা কাপড়
৩. গরম জল
কি ভাবে তৈরি করবেন :-
প্রথমে আদা কুচি করে ফেলুন। এরপর আদা কুচি গুলো পাতলা কাপড়ে রাখুন। কাপড়টির মুখ সুতা বা রশি দিয়ে বন্ধ করে দিন।একটা পুঁটলি বানিয়ে ফেলুন। এবারে চুলায় জল গরম করতে দিন।এই জলের মধ্যে আদার পুঁটলি টা চিপে রস জলে দিন।এই রকম কিছুক্ষণ করার পর।
রস ভালো করে চিপে ফেলার পর,আদার পুঁটলি টা জলের মধ্যে দিয়ে দিন। এবার একটি কাপড় গরম আদা জলে চুবিয়ে নিন। এবারে কাপড়টি থেকে ভালো করে জল চিপড়িয়ে (নিংড়ে) ফেলুন।
এই আদা জলে চুবানো কাপড়টি ব্যথার জায়গায় রাখুন। লক্ষ্য রাখবেন কাপড়টি যেন খুব বেশি মোটা না হয়। সারারাত কাপড়টি ব্যথার জায়গায় রেখে দিন। সারারাত সম্ভব না হলে কয়েক ঘণ্টা এটি ব্যথার জায়গায় রেখে দিন। দেখবেন কোমরের ব্যথা অনেকক্ষানি কমে গেছে। আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।আর এটি আপনাকে দীর্ঘমেয়াদি আরাম দেবে। বন্ধুরা আপনারা একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন । বন্ধুরা এটি একটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা যেটি অনেকক্ষানি উপকার পাবেন।আর যদি এই কোমরের ব্যথা বেশি বাড়াবাড়ি হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অর্থাৎ ডাক্তার দেখানো উচিত। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের রেসিপিটি 'সুলতান -ই-গোস্ত' রেসিপিটি দেখে নেওয়া যাক। বন্ধুরা কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-
১. পাঁঠার মাংস ৪০০ থেকে ৪৫০ গ্ৰাম
২. পেঁয়াজ ১০০ গ্ৰাম কুচানো
৩. কাশ্মীরি ডেগি মরিচ গুঁড়ো ২ চামচ
৪. রসুন বাটা ২ থেকে ৩ চামচ
৫. লবঙ্গ ৪ থেকে ৫ টি
৬. দারচিনি ১ ইঞ্চির মতো
৭. ছোট এলাচ ৩ থেকে ৪ টি
৮. বড় এলাচ ১ টি
৯. গোলমরিচ ৫ থেকে ৬ টি একসঙ্গে বাটা
১০. জিরে ১ চামচ
১১. ধনে ১ চামচ
১২. ঘি বড় ১ চামচ
১৩. মৌরি হাফ কাপ
১৪. হলুদ হাফ চামচ
১৫. ছোট মাঝারি সাইজের আলু ৫ থেকে ৬ টি
১৬. মিঠা আতর সামান্য পরিমাণে
১৭. কাঁচা পেঁপে বাটা খোসা সমেত ২ চামচ
১৮. কাসুরি মেথি সামান্য
১৯. পোস্ত সামান্য পরিমাণে
২০. নুন পরিমাণমতো
২১. দই সামান্য পরিমাণে
এবারে সাজানোর জন্য উপকরণ :-
১. ক্রিম অথবা মালাই ১ বড় চামচ
২. বাদাম কয়েকটি কুচানো
৩. কিসমিস ইচ্ছেমতো দেওয়া যেতে পারে
৪. ধনেপাতা কিছুটা
৫. সেদ্ধ ডিম ১ টি
মেইন প্রণালী :-
প্রথম ধাপ :- প্রথমে পেঁয়াজ কুচানো গুলি তেলে অল্প বাদামি করে ভেজে তুলে নিন। এরপর ধনে,জিরে, মৌরি,পোস্ত একসঙ্গে তাওয়াতে সামান্য হাল্কা ভেজে নিয়ে এই পেঁয়াজ ভাজার সঙ্গে একসঙ্গে বেটে নিন। এবারে আলু খোসা ছাড়িয়ে একটু হলুদ, নুন মাখিয়ে গরম তেলে ভেজে তুলুন।
মাংস আগেই ধুয়ে পরিষ্কার করে শুকিয়ে আদা, রসুন আর পেঁপে মাখিয়ে রেখে দেবেন ২ ঘন্টার মতো।
দ্বিতীয় ধাপ :- এবারে তেল বাকি ঘি দিয়ে দিন তাতে এরপর তাতে চিনি ছাড়ুন। টম্যাটো খোসা ছাড়িয়ে চটকে কাই বানিয়ে তাতে দিয়ে খানিকক্ষন রান্না করুন। এরপরে বাটা মশলা, গরমমশলা দিয়ে দিন। এরপর দই ভালো করে ফেটিয়ে অল্প অল্প করে দিয়ে নাড়তে থাকুন। তারপর মাংস ছেড়ে দিন তাতে। এরপর নুন, চিনি,আলু দিন। এবারে কিছুক্ষণ কষতে থাকুন।কষা হয়ে গেলে ২ কাপ মতো জল দিয়ে ঢাকা দিয়ে কম আঁচে সেদ্ধ করুন।
মাখা মাখা হয়ে এলে অর্থাৎ জল শুকিয়ে এলে তাতে ২ থেকে ৩ ফোঁটা মিঠা আতর মিশিয়ে নামিয়ে নিন।ব্যস এই ভাবেই বাড়িতে তৈরি করে ফেলুন 'সুলতান-ই-গোস্ত'।
এবার পরিবেশন :- এবারে পরিবেশন করার পাত্রে ধনেপাতা,কাসুরি মেথি ১ থেকে ২ চামচ (ইচ্ছে অনুযায়ী), সেদ্ধ ডিম কেটে ওপরে সাজিয়ে ক্রিম ফেটিয়ে ঢেলে দিন। এরপর বাদাম আর কিসমিস দেবেন।