খুব সহজেই বাড়িতে রান্না করুন মেটের কাবাব।
একটি ছোট্ট টিপস :-
কিছু প্রাথমিক বা ঘরোয়া স্বাস্থ্য সেবা :-
১. শরীরের কোথাও কেটে গিয়ে রক্ত পড়তে থাকলে রক্তক্ষরণ
বন্ধ করা বা রক্তপাত কমানোই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হত্তয়া দরকার। পরিস্কার ব্যান্ডজ
বা গজ দিয়ে ক্ষতস্থান চেপে ধরুন।যদি হাত কেটে যায় তাহলে হাতকে কিছুক্ষণ উঁচু করে
ধরুন।এতে রক্তক্ষরণ কিছুক্ষণের মধ্যেই বন্ধ হয়ে আসবে, রক্তক্ষরণ অনেকটাই কমে আসবে।
এরপরে কোন এন্টিসেপটিক দিয়ে ওই স্থান পরিস্কার করে এন্টিবায়োটিক ওষুধ লাগিয়ে ড্রেসিং
করুন। যদি রক্ত বন্ধ না হয় বা কোন সেলাইয়ের প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের বা ডাক্তারের
শরণাপন্ন হোন। ড্রেসিং এ কাজ হলে একদিন পরপর ওষুধ নতুন করে লাগাবেন।
২. শরীরের কোথাও কোন আঘাত পেলে প্রথমেই আঘাতের স্থান
ও পরিমাণ নির্ধারণ করুন,যে কোন জায়গায় আঘাতটি লেগেছে।এই আঘাতের ফলে হাতে বা পায়ে
ফুলে গেলে সেখানে বরফ সেক দিন। কোন ভালো ব্যথার মলম হালকা করে লাগিয়ে দেওয়া যেতে
পারে। তবে কোথাও কেটে গেলে ওই ক্ষতের ওপর সরাসরি এ রকম মলম বা ক্রিম লাগাবেন না। আক্রান্ত
স্থানে ম্যাসাজ করবেন না। আক্রান্ত স্থান যতটা পারবেন বিশ্রামে রাখুন। পারলে ক্রেপ
ব্যান্ডেজ দিয়ে মুড়িয়ে দিতে পারেন।তবে অতিরিক্ত ফুলে গেলে বা চামড়া নিচে কালো হয়ে
গেলে হাড়টি ভেঙেছে ধরে নেয়া যেতে পারে।সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে এক্স রে
করে নিশ্চিত হোন ও যথাযথ চিকিৎসা নিন।
৩. আর আঘাত যদি মাথায় হয় তাহলে সতর্ক থাকা উচিত। আঘাতের
পর বমি, অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব, প্রচণ্ড মাথাব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে
হাসপাতাল বা চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হবে।আর বাড়িতে রাখা Fast Aid Box করবে ছোট খাটো
মেডিক্যাল ইমার্জেন্সী সামলানোর জন্য।
৪. কানে পোকামাকড় ঢুকে গেলে সরিষার তেল বা অলিভ ওয়েল
অল্প (সামান্য) পরিমাণ ঢেলে দিলে পোকা মরে যায় এবং বের হয়ে আসে। তাছাড়া এটিও করতে
পারেন, কিছুক্ষণ নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখলে সেই পোকামাকড় বেরিয়ে আসে। তাছাড়া যদি শক্ত
কিছু ঢুকে গেলে, নড়াচড়া না করে দ্রুত ডাক্তারের নিকট যাওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. মানুষের অমূল্য সম্পদের মধ্যে একটি হলো চোখ। নানা
কারণে চোখ দূর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে। যেমন - চোখে ধুলো বালি পড়তে পারে।কাজ করার সময়
কিছু ছিটকে এসে চোখে বিঁধতে পারে। কোনো রাসায়নিক পদার্থ চোখে পড়তে পারে। এই রূপ কিছু
চোখে পড়ে গেলে -
• প্রথমেই চোখ কখনই কচলানো যাবে না,এই সময়।
• তারপর চোখে যত পারবেন জলের ঝাপটা দিতে হবে।
• রোগীকে আলোর দিকে মুখ করে বসিয়ে আলতো ভাবে চোখের দুটি
পাতা খুলে দেখতে হবে। চোখে কোন বস্তু লেগে থাকলে কোন নরম জিনিস দিয়ে বা পরিস্কার রুমালের
কোনা ভিজিয়ে আলতো ভাবে বস্তুটি তুলে নিতে হবে। যদি অসুবিধা হয় তাহলে ডাক্তারের কাছে
যেতে হবে।
• রাসায়নিক কিছু চোখে পড়লে দুধ দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
• আর তাড়াতাড়ি তাড়াতাড়ি ডাক্তার বা হাসপাতালে পাঠানোর
ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. আর যদি দেহের স্নায়ুতন্ত্রের কাজের বিঘ্ন ঘটলে রোগীর
জ্ঞান লুপ্ত হয়ে যায়।এই অবস্থাকে বলা হয় অজ্ঞান বা অচেতন অবস্থা। বিভিন্ন কারণে
মানুষ অজ্ঞান হয় যেমন - রোগবশত, বিষক্রিয়াজনিত এবং দূর্ঘটনাজনিত, ও তাপের তারতম্যজনিত
কারণে। এই অবস্থায় প্রাথমিক কিছু চিকিৎসা রয়েছে যা নিম্নে দেওয়া হলো।
• প্রথমেই রোগীকে ফাঁকা ও বায়ুপূর্ণ স্থানে নিয়ে যেতে
হবে।
• রোগীর জামা কাপড়,জুতো, মোজা খুলে দিতে হবে।
• রোগীকে চিৎ করে শুইয়ে পর্যবেক্ষণ করে,কি করনীয় তা
স্থির করতে হবে।
• লোকজন বেশি হলে তা সরাতে হবে বা ফাঁকা জায়গা করতে
হবে।
• রক্তক্ষরণ হলে তার প্রতিবিধান করতে হবে।
• কোনো উত্তেজিত পানীয় বা খাদ্য খাওয়ানো যাবে না।
• বিষজনিত কারণে অজ্ঞান হলে রোগীকে উপুড় করে বুকের নিচে
বালিশ দিয়ে শুইয়ে দিতে হবে। রোগীর দুটি পা হাঁটু হতে উপরের দিকে ভাঁজ করে দিতে হবে।
• জ্ঞান ফেরার জন্য মুখে ঘন ঘন জলের ঝাপটা দিতে হবে।
• আর সব শেষে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগীকে ডাক্তারের কাছে
নিয়ে যেতে হবে।
৭. হাড়ের সংযোগ স্থান সঞ্চালনের সময় হঠাৎ মচকে গেলে
বা বেঁকে গেলে সংযোগ স্থান সংলগ্ন স্নায়ুতন্ত্রের ওপর টান পড়ে বা ছিঁড়ে গিয়ে যে
অসুবিধার সৃষ্টি হয় তাকে এক কথায় মচকানো বলে। ব্যায়াম বা অন্যান্য কাজ কর্মের সময়
মাঝে মাঝে ব্যথা পাওয়া বা মচকানোটা অস্বাভাবিক নয়। এসব দূর্ঘটনার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন
পড়ে। কিন্তু অনেক সময় চিকিৎসকের সাহায্য পেতে দেরি হয়।তাই আহত ব্যক্তির প্রাথমিক
চিকিৎসার দরকার হয়। এতে যে লক্ষণ গুলি দেখা যায় তা নিম্নে দেওয়া হলো।
• আহত স্থানে ব্যথা অনুভূত হবে।
• সন্ধিস্থল ফুলে যাবে।
• আহত স্থানে বিবর্ণ হয়ে নীল বা লাল আকার ধারণ করবে।
• স্বাভাবিক ভাবে নড়াচড়া করা যাবে না এবং চলার সময়
আহত স্থানে ব্যথা বৃদ্ধি পাবে।
প্রাথমিক চিকিৎসা -
• আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে আহত স্থানে ঠাণ্ডা জল বা বরফ লাগানোর
ব্যবস্থা করতে হবে।
• আহত স্থানটি নড়াচড়া করতে দেয়া যাবে না।
• মচকানো স্থানটি যথাসম্ভব আরামদায়ক অবস্থায় রাখতে
হবে।
• আহত স্থানে হাড়ভাঙার ব্যান্ডেজ প্রয়োগ করতে হবে।
• মাংসপেশী মচকে গেলে রোগীকে সহজ ও আরামদায়ক অবস্থায়
শোয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।যাতে নড়াচড়া কম হয়।
• সব শেষে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগীকে ডাক্তারের কাছে
নিয়ে যেতে হবে।
৮. রক্ত হলো এক প্রকারের তরল পদার্থ।এর রং লাল। হিমোগ্লোবিন
নামক লাল রঞ্জক পদার্থের উপস্থিতিতে রক্তের রং লাল দেখায়। শরীরের কোন স্থানে আঘাতের
ফলে বা কেটে গেলে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয়, এবং সেই ক্ষত হতে যে রক্ত বের হয়,তাকে রক্তক্ষরণ
বা রক্তপাত বলে।
রক্তক্ষরণ হতে পারে বিভিন্ন ভাবে যেমন -
• মুখ দিয়ে রক্ত পড়া - মুখের ভিতরের যেকোনো অংশ থেকে
রক্তপাত হলে বরফ চুষতে পারেন। তাহলে অনেকক্ষানি রক্তপাত বন্ধ হবে। এরপর রোগীকে কিছুক্ষণ
বিশ্রাম নিতে হবে।
• নাক দিয়ে রক্ত পড়া - আঘাতজনিত বা অন্য কোনো কারণে
নাক দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে চিত করে শোয়াতে হবে অথবা বসিয়ে
মাথা পেছনের দিকে হেলিয়ে রাখতে হবে। নাকের সামনে ও ঘাড়ের পেছনে ঠাণ্ডা কমপ্রেস দিতে
হবে। তখন মুখ দিয়ে শ্বাসকার্য চালাতে হবে। রক্তপাত বন্ধ হবার পর ও কিছুক্ষণ নাকের
ছিদ্র পথে তুলো দিয়ে রাখতে হবে।
• শরীরের কোন অংশ কেটে গেলে - কাটা স্থানটি কিছুক্ষণ
পরিস্কার হাতে চেপে ধরতে হবে।রক্ত বন্ধ হলে ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে। সাধারণত
তিনটি উৎস থেকে রক্তপাত হয়। যথা -
ক) কৈশিক নালি (Capillary) - একটানা স্রোতের ন্যায় রক্ত
বের হয়।
খ) শিরা (Vain) - গলগল করে রক্ত বের হয়।
গ) ধমনী (Artery)- ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হয়।
• দূর্ঘটনায় বেশিরভাগ রক্তপাত হয় কৈশিক নালি থেকে।
শরীরে কোনো বস্তু ঢুকে রক্তপাত হলে যা করবেন -
• ক্ষতস্থানের দুই পাশ চেপে ধরুন (তবে ক্ষতস্থানের ওপর
চাপ দেবেন না)।
• ক্ষতস্থান ও বস্তুটির ওপর আলতো করে গজ বা কাপড় মুড়িয়ে
দিন।
• বস্তুটির চারদিকে ক্ষতস্থানের ওপর প্যাড ব্যবহার করে
ব্যান্ডেজ বাঁধুন। ক্ষতস্থান থেকে বস্তুটি তুলে ফেলার চেষ্টা করবেন না।
• হাত বা পায়ের ক্ষেত্রে ক্ষত অঙ্গ উঁচু করে ধরুন।
• যদি মনে হয়, আঘাত প্রাপ্ত অঙ্গের হাড় ভেঙে গেছে,
তাহলে অঙ্গটি নড়াচড়া বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করুন।
রক্তপাতের প্রাথমিক কিছু চিকিৎসা -
• রোগীকে বসানো ও শোয়ানো যায় এমন স্থানে স্থানান্তর
করতে হবে।এতে রক্তপাত আপনা আপনি কমে যাবে।
• যে স্থান হতে রক্তপাত হচ্ছে, সেই স্থান হৃৎপিণ্ডের
সমতার উপর তুলে ধরলে রক্তপাত অনেকটা কমে যাবে।
• সামান্য কেটে গেলে ঐ স্থানে রক্ত জমাট বেঁধে আপনা আপনি
রক্তপাত বন্ধ হয়।
• কাটা স্থানে বৃদ্ধাঙ্গুলির চাপ প্রয়োগ করলে অনেক সময়
রক্তপাত বন্ধ হয়।
• আহত অঙ্গের নড়াচড়া বন্ধ করতে হবে।
• রক্তপাতের স্থানে বরফ ব্যবহার করতে হবে।
• রক্তপাত বন্ধের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাপ দিতে হবে।
• ক্ষতস্থান পরিস্কার কাপড় বা ব্যান্ডেজ দিয়ে বাঁধতে
হবে।
• সব শেষে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগীকে ডাক্তারের কাছে
বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
৯. কেউ বিষাক্ত কিছু খেয়ে ফেললে তাকে বমি করানোর চেষ্টা
করুন। এজন্য বেশি করে লবণ গুলানো জল খাওয়াতে পারেন এবং দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে
যেতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।
ডিসক্লেইমার :- ওপরের উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতিতে পরামর্শ
স্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পদ্ধতি আর ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা
চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন অথবা কথা বলুন, সেই নিয়ম মতো মেনে চলুন।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-
১. মেটে ২৫০ থেকে ৩০০ গ্ৰামের মতো (মুরগী অথবা খাসির)
২. ২ টি মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ কুচানো
৩. আদা বাটা ১ চামচ
৪. গরমমশলা গুঁড়ো হাফ চামচ
৫. গোলমরিচ ১ চামচ
৬. টকদই ৫০ গ্ৰাম
৭. ধনে বাটা হাফ চামচ
৮. চালগুঁড়ো বা সফেদা ৫০ গ্ৰাম
৯. ডিম ১ টি
১০. ভাজার জন্য ঘি বা তেল
১১. নুন প্রয়োজনমতো
১২. রসুন অল্প পরিমাণে
কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -
প্রথম ধাপ :- প্রথমে মেটে গুলি নিন, সেই মেটেকে ভালো
করে ধুয়ে ১ কাপ জল দিয়ে দই, নুন, ধনে, রসুন, দিয়ে সেদ্ধ করুন। তারপর জল মরে শুকনো
মতো হয়ে গেলে নামিয়ে শিলে মিহি করে বেটে নিন। এরপর মশলাসহ বাটা মেটের সঙ্গে পেঁয়াজ
ভেজে নিয়ে চাল গুঁড়ো বা সফেদা, গরমমশলা গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো ও ডিম ফেটানো দিয়ে
মেখে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি হাতের তালুতে রেখে চ্যাপটা গোল মতো করে যতগুলি কাবাব হয়
তৈরি করে নিন। তারপর পাত্রে অল্প ঘি বা তেল দিয়ে গরম করে তাতে কাবাব গুলি দিয়ে টিমা
আঁচে লালচে করে ভেজে নিন।ব্যস এই ভাবেই বাড়িতে তৈরি করে ফেলুন এই 'মেটের কাবাব' রেসিপিটি।আর
এই রেসিপিটি খুব সহজে ও কম সময়ের মধ্যে তৈরি করতে পারবেন।