একটি নতুন পদ্ধতিতে 'কাকোয়ারি কাবাব'।
একটি ছোট্ট টিপস :-
যৌন সমস্যার ঘরোয়া সমাধান -
সূচনা - যৌন সমস্যার ঘরোয়া সমাধান যৌনশক্তি বাড়াতে
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পন্ন ঔষধি কৌশল এবং মনোবৈজ্ঞানিক চিকিৎসা এখন প্রায় সকলে
হয়ে পড়েছে। আজকাল যৌনশক্তি বাড়াতে প্রাকৃতিক কামোদ্দীপক বা যৌনশক্তি বর্ধক খাদ্যই
অনেক বেশি কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত হয়।তাই বিবাহিত জীবনে যৌনতার ফিট থাকতে হলে, আপনাকে
দৈনন্দিন খাবার দাবারের প্রতি পূর্ণ মনোযোগী হতে হবে। কারণ সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালো বোঝাপড়া থাকার পাশাপাশি দরকার স্বাস্থ্যকর যৌন জীবন।অথচ
প্রায়ই দেখা যায়, যৌন সমস্যার কারণে সংসারে অশান্তি হয়। এমনকি বিচ্ছেদ পর্যন্ত হয়।তাই
আগে থেকে সতর্ক থাকলে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি নাও হতে পারেন আপনি। আপনার যৌন শক্তি
বৃদ্ধির জন্য কোন প্রকার ঔষধের প্রয়োজন নেই, তার জন্য দৈনন্দিন পুষ্টিকর খাবার দাবারই
যথেষ্ট। আপনার খাবার মেনু তে নিয়মিত ডিম, দুধ এবং পুষ্টিকর জাতীয় খাবার রাখুন আর
সঠিক নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করুন, তাহলে যৌন দূর্বলতায় ভুগবেন না। সঙ্গে পারলে
সঠিক ডায়েট পালন করুন।
১. পালং শাক ও অন্যান্য শাক সবজি:- পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম।এই ম্যাগনেসিয়াম শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। বিভিন্ন গবেষকদের মতে শরীরের রক্ত চলাচল বাড়লে যৌন উদ্দীপনা ও বাড়ে। পালং শাক ও বিভিন্ন রকম শাক, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি ইত্যাদি, এগুলোতে রয়েছে ফলেট, ভিটামিন বি সহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান।যা আপনার যৌন জীবনের জন্য খুব লাভদায়ক।
২. বাদাম ও বিভিন্ন ধরনের বীজ :- কুমড়োর বীজ,চিনা বাদাম,
কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মনোস্যাচুরেটেড
ফ্যাট আছে এবং এগুলো শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল তৈরী করে।যা যৌন হরমোন গুলোকে ঠিক মতো
কাজ করার জন্য এই কোলেস্টেরল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।তাই প্রতিদিন অল্প করে হলেও বাদাম
খাওয়ার চেষ্টা করুন। চিনা বাদামে প্রচুর জিঙ্ক থাকে।এই জিঙ্ক শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়াতে
সাহায্য করে এবং শক্তিশালী শুক্রাণু তৈরি করে।এই জিঙ্ক এর পরিমাণ কম থাকলে শরীরে শতকরা
২০ ভাগ কম বীর্য তৈরি হয়। যারা খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে কম জিঙ্ক গ্ৰহন করে তাদের বীর্য
এবং টেস্টোস্টেরনের ঘনত্ব দুটিই কমে যায়।
আর কুমড়ার বীচি এবং ওটমিল মতো সূর্যমুখীর বীজ হরমোন
বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে আপনার যৌন আকাঙ্খা ও বাড়ে। সূর্যমুখীর বীজে যে তেল থাকে
তা এই কাজটি করে। কুমড়ার বীচি জিঙ্ক এর অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক উৎস।এই জিঙ্ক টেস্টোস্টেরনের
মাত্রা বাড়ায়।ও যৌন ইচ্ছে বাড়াতে কুমড়ার বীচির কার্যকারিতা অনেক।
৩. ওটমিল :- ওটমিলে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোস্ট্রোজেন থাকে।যেসব
দানা জাতীয় শস্যে আবরণ থাকে তাদের মধ্যে এই গুণটি রয়েছে।যেমন - চাল,গম,রাই ইত্যাদি।ফাইটোস্ট্রজেন
আপনার যৌন জীবনের জন্য খুবই কার্যকরী একটি উপাদান।
৪. অ্যাভোকাডো :- অ্যাভোকাডোকে এর আকৃতির কারণে
একে নারী ফল হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। তবে শুধু এর আকৃতিই আকর্ষণীয় না,এতে প্রচুর ভিটামিন
বি ৬ এবং পটাশিয়াম থাকে।এর ফলে এটা খেলে আপনার যৌন ইচ্ছে এবং যৌন সামর্থ্য বৃদ্ধি
পায়।এই ফলটি গুন বিশাল।
৫. তৈলাক্ত মাছ :- তৈলাক্ত মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি
এসিড যা সুস্থ যৌন জীবনের জন্য অত্যন্ত উপকারী।এই সামুদ্রিক মাছে ও প্রচুর পরিমাণে
ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড DHA O EPA শরীরে ডোপামিন বাড়িয়ে দেয়
এবং মস্তিষ্কে উদ্দীপনা বাড়িয়ে তোলে। তৈলাক্ত ও সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরের রক্ত চলাচল
ও বৃদ্ধি পায় এবং গ্ৰোথ হরমোনের নিঃসরণ হয়। ফলে যৌন স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং যৌন
ক্ষমতা ও বৃদ্ধি পায়।
৬. কফি :- কফি আপনার যৌন ইচ্ছে বাড়ানোতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে। কফিতে যে ক্যাফেইন থাকে তা আপনার যৌনতার মুড ঠিক রাখে।
৭. ট্রাফল (এটি এক ধরনের ছত্রাক) :- ট্রাফলে পুরুষের
যৌন হরমোনের মতো এক ধরনের উপাদান থাকে। কিছু কিছু খাবারে ট্রাফলের এই বিশেষ কেমিক্যাল
ব্যবহার করা হয়।যার ফলে, যৌন আকাঙ্খা বৃদ্ধি পায়। যেমন ম্যাশড পটেটোতে ট্রাফলের ব্যবহার
করা হয়।
৮. জয়ফল :- ভারতীয় গবেষকদের মতে,জয়ফল থেকে এক ধরনের
কামোদ্দীপক যৌগ নিঃসৃত হয়। সাধারণ ভাবে এই যৌগটি স্নায়ুর কোষ উদ্দীপিত করে এবং রক্ত
সঞ্চালন বাড়ায়।ফলে আপনার যৌন ইচ্ছে বৃদ্ধি পায়। আপনি কফির সাথে মিশিয়ে জয়ফল খেতে
পারেন, তাহলে দুইটির কাজ একত্রে পাওয়া সম্ভব।
৯. মিষ্টি আলু :- এই মিষ্টি আলু মতো ভালো কোনো বিকল্পই
নাই, মিষ্টি আলু খুব ভালো ধরনের একটি যৌন ফুড হিসেবে ধরা হয়। আপনার শরীর কোনো সবজিতে
বিটা ক্যারোটিন পেলে তা ভিটামিন এ তে রুপান্তরিত করে।এই ভিটামিন এ নারীদের যৌনি এবং
ইউটেরাসের আকার ভালো রাখে। তাছাড়া এটি যৌন হরমোন তৈরিতে ও সহায়তা করে।
১০. ডিম :- ডিম সেদ্ধ হোক বা ভাজা,সব ভাবেই ডিম যৌন স্বাস্থ্যের
জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ৫ ও বি ৬ রয়েছে,
যা শরীরের হরমোনের কার্যক্রম ঠিক রাখে।আর মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের
সকালের টিফিনে একটি করে ডিম রাখুন। এতে আপনার শরীরে শক্তি যোগাবে সঙ্গে যৌন ক্ষমতা
ও বৃদ্ধি পাবে।
১১. তাজা ফলমূল :- যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে,
প্রতিদিন খাবারের তালিকায় তাজা ফলমূল রাখুন। যেমন - কমলালেবু, তরমুজ, আঙ্গুর, আপেল,
কলা, ইত্যাদি ফল যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উপকারী। একটি মেডিক্যাল
টিমের গবেষণার অনুযায়ী একজন পুরুষের প্রতিদিনের খাবারে তালিকায় অন্তত ২০০ মিলিগ্ৰাম
ভিটামিন সি থাকলে তার স্পার্মের কোয়ালিটি উন্নত হয়। আর তরমুজ শরীরে যৌন উদ্দীপনা
বৃদ্ধি করে।আর এই বিশেষজ্ঞরা তরমুজকে তুলনা করেছেন যৌন উদ্দীপক ওষুধ ভায়াগ্ৰার সাথে।আর
এই ফলমূল খাওয়া ফলে আপনার শরীরের ইমিউনিটি ক্ষমতাও বাড়বে।
১২. ঝিনুক :- যৌন জীবন আনন্দময় করে তুলতে ঝিনুক খুবই
কার্যকরী। ঝিনুকে বেশি পরিমাণে জিঙ্ক থাকে।এই জিঙ্ক শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং
লিবিডো বা যৌন ইচ্ছে বাড়ায়। ঝিনুক কাঁচা বা রান্না করে,যে অবস্থাতেই খাওয়া হোক,
ঝিনুক যৌন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৩. দুধ :- প্রাণিজ ফ্যাট আছে এই প্রকার খাদ্য আপনার
যৌন জীবনের উন্নতি ঘটায়। যেমন - খাঁটি দুধ, দুধের সর,মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই
ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি শরীরে যৌন হরমোন তৈরি হত্তয়ার
পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে সেগুলিকে
হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট। সঙ্গে পরিমাণমতো খেতে হবে। পরিমাণের থেকে
বেশি খেলে শরীরে ক্ষতি ও হতে পারে।
১৪. ডার্ক চকোলেট :- ডার্ক চকোলেট আছে ফেনিলেথ্যালামাইন
নামক একটি উপাদান যা শরীরে বাড়তি যৌন উদ্দীপনা তৈরী করে। গবেষণায় জানা গেছে যে ডার্ক
চকোলেট খেলে সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণবোধ ও বেড়ে যায়। এছাড়াও ডার্ক চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে।তাই প্রতিদিন শতকরা ৭০ ভাগ কোকো যুক্ত ডার্ক চকোলেটের ১ ইঞ্চির
একটি টুকরো খেয়ে নিন।মাত্র ৫০ থেকে ১০০ ক্যালরি আছে এই আকৃতির একটি টুকরোতে যা আপনার
যৌন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
১৫. কলিজা :- যৌন শক্তি বাড়াতে কলিজার প্রভাব ইতিবাচক।
কলিজায় প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে।এই জিঙ্ক শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেশি
পরিমাণে রাখে। যথেষ্ট পরিমাণে জিঙ্ক শরীরে না থাকলে পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসৃত
হয় না।
১৬. অ্যাসপারাগাস :- যৌন ইচ্ছে বাড়াতে প্রাকৃতিক খাবার
শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে সেগুলি খাওয়া উচিত। যৌনতার ক্ষেত্রে সবসময় ফিট থাকতে
চাইলে অ্যাসপারাগাস খেতে শুরু করুন।
১৭. রসুন :- যৌন সমস্যা থাকলে এখনই নিয়মিত রসুন খাওয়ার
অভ্যাস গড়ে তুলুন। স্মরণাতীতকাল থেকেই নারী পুরুষ উভয়েরই যৌন উদ্দীপনা বাড়াতে এবং
জননাঙ্গকে পূর্ন সক্রিয় রাখতে রসুনের পুষ্টিগুণের কার্যকারিতা সর্বজনস্বীকৃত। রসুনের
রয়েছে এলিসিন নামের উপাদান যা যৌন ইন্দ্রিয় গুলোতে রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়।
১৮. মধু :- যৌন দূর্বলতার সমাধানের মধুর গুণের কথা সবাই
কম বেশি জানা।তাই যৌন শক্তি বাড়াতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩/৪ দিন ১ গ্লাস গরম জলে ১
চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করুন। এতে উপকার পাবেন।
এই ওপরের উল্লেখিত দাবিগুলি যৌন সমস্যার ঘরোয়া সমাধান।
এটি পুরোপুরি ঘরোয়াভাবে যৌন সমস্যার সমাধানের একটি পদ্ধতি।
ডিসক্লেইমার :- ওপরের উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতিতে পরামর্শ
স্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পদ্ধতি আর ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা
চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন অথবা কথা বলুন, সেই নিয়ম মতো মেনে চলুন।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-
১. কিমা ৪৫০ গ্ৰাম (যে কোন মাংসের)
২. খোসা সহ কাঁচা পেঁপের বাটা ১ চামচ
৩. ছোলার ছাতু ২ চামচ
৪. গরমমশলা গুঁড়ো ১ চামচ
৫. পেঁয়াজ ৩ টি (কুচিয়ে নেবেন)
৬. ডিম ১ টি
৭. ঘি ১০ থেকে ১৫ চামচ
৮. লঙ্কা গুঁড়ো ১ চামচ
৯. তেল অথবা ঘি প্রয়োজনমতো
১০. পাতিলেবু আধখানা
১১. নুন পরিমাণমতো
কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -
প্রথম ধাপ :- প্রথমে কিমাটি নিন, সেই কিমার সঙ্গে পেঁপে
বাটা মাখিয়ে ১ ঘন্টা রেখে দিন। তারপর ওর সঙ্গে ছাতু, ডিম ফেটানো, লঙ্কা ও গরমমশলা
গুঁড়ো ভালোভাবে মিশিয়ে আরও ১ ঘন্টা রেখে দিন। এরপর ওতে আন্দাজ মতো নুন দিয়ে জল হাত
করে কিমা মশলা কিছু হাতে নিয়ে কয়েকটা শিকে বা স্কোয়্যার কাঠকয়লার আঁচে ৭ থেকে ৮
মিনিট ঘুরিয়ে সেঁকে নিন। এবারে একটি ফ্রাইপ্যান নিন, সেই ফ্রাইপ্যানে তেল বা ঘি গরম
করে পেঁয়াজ লালচে করে ভেজে তুলে নিন। তারপর প্যানে কিছু তেল বা ঘি গরম করে মাংস গাঁথা
শিক প্যানের ওপর নিয়ে সাবধানে কাবাব খুলে প্যানে ছেড়ে দিন। প্যানের হাতল ধরে নেড়ে
ভেজে ডিশে ঢেলে পেঁয়াজ ভাজা ও পাতিলেবুর রস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।আর পারলে প্লেটটি
সাজিয়ে সুন্দর ভাবে পরিবেশন করবেন।ব্যস এই ভাবেই তৈরি করে ফেলুন 'কাকোয়ারি কাবাব'
।