আজকে জানাবো "তন্দুরি চিকেন বিরিয়ানি" রেসিপি।Tandoori Chicken Biryani Recipe |
একটি ছোট্ট টিপস :-
বিকল্প এক চিকিৎসা পদ্ধতি যেটি হলো অ্যাকুপ্রেসার :-
একটি ভিন্ন ধরনের ও বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির নাম হলো অ্যাকুপ্রেসার।এই বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতিতে শরীরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশে (অ্যাকুপ্রেসার বিদ্যার মাধ্যমে অর্থাৎ কোন এক প্রেসার পয়েন্টে ) চাপ সৃষ্টি করে বা ম্যাসাজের মাধ্যমে শারীরিক অসুবিধা থেকে রোগীকে মুক্তি দেওয়া হয়।এটিকেই বলা হয় অ্যাকুপ্রেসার।
অ্যাকুপ্রেসার বা রিফ্লেক্সোলজির নাম হয়তো শুনেছেন আপনি।এই বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতিতে শরীরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশে অ্যাকুপ্রেসার বিদ্যার মাধ্যমে কোন এক প্রেসার পয়েন্টে চাপ দিয়ে বা ম্যাসাজের মাধ্যমে শারীরিক সমস্যার থেকে রোগীকে রোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। অ্যাকুপ্রেসার হিসেবে আমাদের শরীরের তেমনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রেসার পয়েন্ট রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো কানের ছিদ্রের ঠিক পাশে।এই অংশে একটি আঙুল দিয়ে স্রেফ এক মিনিট যদি চেপে ধরে রাখা যায় তাহলেই মুক্তি মিলবে শরীরের কিছু গুরুতর সমস্যার হাত থেকে। এই অ্যাকুপ্রেসার পদ্ধতি ব্যবহার করার জন্য অ্যাকুপ্রেসার বিশেষজ্ঞ দের প্রয়োজন হয়। আমাদের মতো সাধারণ মানুষ হয়তো এটি সঠিকভাবে করতে পারবে না।
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক,কি করতে হবে আপনাকে।যে কোন কানের ছিদ্রটির পাশে উপরের ছবিটির মতো করে তর্জনী দিয়ে চেপে ধরুন। এবার আপনার মুখটা কয়েকবার হাঁ করুন এবং বন্ধ করুন। দেখবেন কানের পাশে যে জায়গাটা আঙুল দিয়ে চেপে ধরেছেন,সেই জায়গাটাও নড়ছে।মুখ খোলা ও বন্ধ করার সময় যে জায়গাটা সবচেয়ে বেশি নড়বে, আঙুলটা রাখুন সেই জায়গায়। এবার এক মিনিট তর্জনী দিয়ে চেপে ধরে রাখুন ওই জায়গায়টি।ব্যস তাহলেই আপনার কাজ শেষ। এটি মনে রাখবেন, চাপের মাত্রা হবে মৃদু, খুব জোরে চেপে ধরবেন না। এটি দিনে এক থেকে দুই বার অনুশীলন করবেন। চাইলে (যদি মনে হয়)চার থেকে পাঁচ বার পর্যন্ত এটা করতে পারেন।
এবার জেনে নিন,এই অভ্যাসটির ফলে শরীরের কি উপকার হবে। অ্যাকুপ্রেসার বিদ্যার মতে,এই অংশের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে আমাদের পাচনতন্ত্রের বা পরিপাক প্রক্রিয়ায়। ফলে কানের পাশে এইভাবে মিনিট কয়েকের চাপের ফলে যে উপকার গুলি আপনি পেতে পারেন তা হলো এই রকম -
১. হজমশক্তির উন্নতি
২. অম্বল, গ্যাস, বদহজম থেকে মুক্তি
৩. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধান
৪. আর সবশেষে হজম ঠিকঠাক হত্তয়ার কারনে মেদ এবং ভুঁড়ির হাত থেকে ও মুক্তি পাবেন। হয়তো আপনার বিশ্বাস হবে না, তাহলে নিজেই যাচাই করে নিন এই উপায়ের কার্যকারিতা। একবার ট্রাই করে দেখেই নিন।আর এই উপায়টি কমপক্ষে মাস দুয়েকের অভ্যাস করলেই বুঝতে পারবেন ঠিক কতখানি উপকার পাচ্ছেন।
৫. আর যদি নিজে না পারেন এই উপায়টি করতে, তাহলে একজন অ্যাকুপ্রেসার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিন।
তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের "তন্দুরি চিকেন বিরিয়ানি" রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।
ডিসক্লেইমার :- এটি একটি অ্যাকুপ্রেসার উপায়ে ও চাপের সৃষ্টির মাধ্যমে শারীরিক সমস্যার সমাধানের উপায়।আর এটি একটি প্রাকৃতিক ও হারবাল চিকিৎসা। যদি আপনাদের এটি মনে হয় যে, উপকার পাবেন তাহলে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন।আর আশা করি এটিতে উপকার পাবেন। আর যদি আপনাদের মনে হয় উপকার পাবেন না অথবা মনের মধ্যে কোন দ্বিধাবোধ হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং ডাক্তারের নিয়ম ও কথা মতো মেনে চলুন।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-
১. ৪ থেকে ৫ পিস আস্ত রান
২. ১/২ কেজি সুগন্ধি কালোজিরা পোলাও এর চাল
৩. ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি
৪. ২ টি চামচ আদা ও রসুনের পেষ্ট
৫. ১ চা -চামচ লঙ্কা গুঁড়ো
৬. ১ চা -চামচ জিরে গুঁড়ো
৭. ১ চা -চামচ ধনে গুঁড়ো
৮. ১/২ কাপ টকদই
৯. ২ চা -চামচ হোম মেইড তন্দুরি মশলা
১০. ১/২ কাপ সরিষার তেল
১১. নুন পরিমাণমতো
১২. লেবুর রস পরিমাণমতো
১৩. প্রয়োজনমতো তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি ও লবঙ্গ, সামান্য পরিমাণে জাফরান রং
১৪. চিনি ১ চামচ
১৫. ঘি ২ চামচ
১৬. পরিমাণমতো জল
১৭. ধনেপাতা কুচি ৩ চা -চামচ
১৮. পুদিনাপাতা ২ চা -চামচ
১৯. কাঁচা লঙ্কা চেরা ৩ থেকে ৪ টে (প্রয়োজনমতো)
কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -
প্রথম ধাপ :- প্রথমেই আপনাকে বাড়িতে তন্দুরি মশলাটি তৈরি করে নেবেন। কারণ দোকানের প্যাকেটজাত মশলা চেয়ে হাতে বানানো তাজা মশলা তেই বেশি ভরসা করা উচিত। ঘরের মশলার মতো স্বাদ আর কোথাও পাওয়া যায় না।এই মশলা তৈরি করতে যা যা লাগবে তাহলো, মেথি, গোলমরিচ, লবঙ্গ, জয়ত্রী, জায়ফল, এলাচ, দারুচিনি গুঁড়ো এগুলো সব ১ চা -চামচ পরিমাণে নিয়ে সব একসাথে মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ডারে গুঁড়ো করে নিতে হবে।ব্যস মশলা রেডি। এবারে মুরগির পিস গুলোকে, তেল ও সব ধরনের মশলা, স্বাদমতো নুন, টকদই ও তৈরি করা তন্দুরি মশলা সব একসাথে ভালো করে মেখে ম্যারিনেট করে রাখতে হবে কমপক্ষে দুই থেকে তিন ঘণ্টা। সবচেয়ে ভালো হয় সারারাত ম্যারিনেট করে রাখলে। এরপর ফ্রাইপ্যানে সামান্য তেল গরম করে তাতে এপিঠ ওপিঠ একটু লালচে করে ভেজে নিবো। তারপর একটা পাত্রে উঠিয়ে রাখবো এবং এক টুকরো কয়লা গ্যাসে ভালো করে আগুনের মতো পুড়িয়ে নিবো এবং কয়লাটা ভেজে রাখা মুরগির ভিতরে ছোট একটা স্টিলের বাটিতে দিয়ে সরিষার তেল ঢেলে ধোয়া বেরোবার সাথে সাথে থেকে দিবো।এই ভাবেই কিছুক্ষণ ঢেকে রেখে দিবো।
দ্বিতীয় ধাপ :- এবারে ১/২ কেজি পোলাও এর চাল ধুয়ে পরিষ্কার করে জল ঝরিয়ে নিতে হবে।আর একটি হাঁড়িতে পরিমাণমতো জলে সামান্য তেল, নুন,১ চামচ লেবুর রস, এলাচ, দারুচিনি দিয়ে জলটা ফুটিয়ে নিবো এবং এরমধ্যে চাল গুলো দিয়ে ৭০ ভাগ চালসেদ্ধ করে নিবো। এবং জল ছেঁকে নিবো। এরপর যে হাঁড়িতে বিরিয়ানি রান্না করবো, সেই হাঁড়িতে পরিমাণমতো সরিষার তেল গরম করে তাতে তেজপাতা, এলাচ, লবঙ্গ ও কয়েকটি আস্ত গোলমরিচ দিয়ে একটু নেড়ে এক কাপ পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ব্রাউন করে ভেজে নিবো এবং এরসাথে ১ চামচ আদাবাটা, রসুনবাটা, ধনে গুঁড়ো, টম্যাটো কুচি ও ম্যারিনেট করা মুরগির মশলার গ্ৰেভীটা সহ সব একসাথে মশলাটা কষিয়ে নিবো, এরপর সামান্য জল দিবো, এবারে মশলা কষে উপরে তেল ভেসে উঠলে এরমধ্যে চিকেন গুলো দিয়ে চিকেন ভালো করে কষিয়ে নিবো। এবার এতে সামান্য জল ও ১ চামচ চিনি দিয়ে দিবো। এবারে সবশেষে মাংস কষে মাখামাখা হয়ে এলে এর উপরে রান্না করা পোলাও টা দুই লেয়ারে বসিয়ে দিবো।এক লেয়ার দিয়ে উপরে পেঁয়াজ বেরেস্তা, কাঁচা লঙ্কা চেরা, ধনেপাতা কুচি, পুদিনাপাতা কুচি, লেবুর রস, দিয়ে আবারো ঠিক একইভাবে আরেক লেয়ার দিয়ে দিবো। তারপর ঘি ও সামান্য জাফরান রং গুলিয়ে উপরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দিয়ে দিবো। এবং হাঁড়ির নিচে তাত্তয়া দিয়ে বিরিয়ানি দমে দিবো, প্রথমে হাই হিটে ৫ মিনিট পরে লো আঁচে কিছুক্ষণ রাখবো। এবার ধনেপাতা ও পুদিনাপাতা এর কালার পরিবর্তন হয়ে এলেই নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।আর এই রান্নার বিরিয়ানিটি ৪ জনের জন্য প্রযোজ্য।আর এই বিরিয়ানি রেসিপিটি রান্না করতে সময় লাগবে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের মতো।