আজকের রেসিপিটি হলো "ইলিশ মাছ দিয়ে বেগুন আলুর ঝোল"।Ilish Macher jhol Recipe Bengali |
একটি ছোট্ট টিপস :-
চর্মরোগে এর হারবাল চিকিৎসা :-
চর্মরোগে এর হারবাল চিকিৎসা বলতে এখানে খাবারে অ্যালার্জি, আর ও নানা ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসা, অথবা পোকামাকড়ের কামড়, চুলকানি, অথবা দৈনন্দিন খারাপ জলের ব্যবহার, অথবা ঠাণ্ডা আবহাওয়ার জন্য আরো ইত্যাদি নানান কারণে এই চর্মরোগ হতে পারে। আমরা সকলেই জানি, ত্বকের কোনো সমস্যা হলে খুব সহজেই তা আমাদের চোখে পড়ে। আর এই চর্মরোগ এখনকার সময়ে বেশিরভাগ মানুষেরই হয়ে থাকে। তবে এটির জন্য ভয়ের কোনো কারণ নেই। কারণ এই রোগের থেকে মুক্তির ও উপায় রয়েছে।আপনি ঘরোয়া উপায়েই এর স্থায়ী সমাধান পেতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১. নিম :- আমরা চর্মরোগের কথা বললে সর্বপ্রথম মনে পড়ে নিমের কথা। কেননা নিমের মতো প্রাকৃতিক ওষুধ আর কোথায়। আমরা সকলেই জানি নিম হলো সর্বগুণে সম্পন্ন একটি গাছ।এই নিমে রয়েছে এমন একটি উপাদান যা যেকোন জ্বালাময়ী ভাব কমিয়ে দিতে সক্ষম। বিশেষ করে চুলকানি বা ত্বকের নানান রকমের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এই এই নিম পাতা।
২. ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা):- যেমন নিম সর্বগুণ সম্পন্ন তেমনি ঘৃতকুমারী সর্বগুণে সম্পন্ন। ঘৃতকুমারী মধ্যে একাধিক গুন রয়েছে। ত্বকের যে কোনো সমস্যায় এর রস লাগান, দেখবেন ত্বক ম্যাজিকের মতো ভালো হয়ে গেছে। ত্বকের বহু সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই ঘৃতকুমারী। কিন্তু কয়েকদিন ধৈর্য ধরে এই ঘৃতকুমারী রস ত্বকে লাগাতে হবে, তারপর ভালো ফলাফল আশা করতে পারেন।
৩. তুলসী :- হাজারো গুণে সম্পন্ন এই তুলসী।নানা ধরনের ক্ষত,লাল ছোপ, পোড়া, চুলকানি সহ ত্বকের যে কোনো সমস্যায় তুলসী পাতা বেটে রস লাগালে সঙ্গে সঙ্গে উপকার পাওয়া যায়। আরও তুলসী পাতা যদি কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারেন তাহলে শরীরের পক্ষে খুব উপকারী।
৪. অলিভ অয়েল :- যাদের শুষ্ক ত্বকে সমস্যা অনেক বেশি হয়। তাদের জন্য এই অলিভ অয়েল।এই অলিভ অয়েলে থাকা ভিটামিন ত্বকে মিশে গিয়ে আদ্রতা বজায় রাখে।যা শুষ্ক ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে নিয়মিত মাখলে ত্বক ভালো থাকে।
৫. ঘামাচি ও চুলকানি :- তুলসী পাতা ও দূর্বার ডগা বেটে গায়ে মাখলে ঘামাচি ও চুলকানি ভালো হয়ে যায়।এটি ঘামাচি ও চুলকানির জন্য।
৬. দাদ ও অন্যান্য চর্মরোগ :- স্থানীয় ভাবে তুলসী পাতার রস দাদ ও অন্যান্য চর্মরোগে ব্যবহার করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।এই পাতার রস ফোঁটা ফোঁটা করে কাটা জায়গায় দিলেও কাটা জায়গাও ভালো হয়ে যায়।
৭. চর্মরোগের কয়েকটি টিপস :- প্রথমত, নিয়মিত তেঁতো(চিরতার পাতা রস)খাবার চেষ্টা করুন।যার ফলে ত্বকের নানান সমস্যা থেকে অল্প হলেও মুক্তি পাবেন।আর এই তেঁতো খাবার নিয়ম হলো, সকালে খালি পেটে খাওয়ার চেষ্টা করুন, এতে শরীরের উপকারের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ও উন্নতি হবে।
দ্বিতীয়ত, যতটা পারবেন হালকা খাবার খান,আর বেশি তেল মশলা যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।
তৃতীয়ত, যতটা সম্ভব কাঁচা ফলমূল খাবার চেষ্টা করুন, এতে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা যদি মাথায় রাখতে পারেন, তাহলে ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
ডিসক্লেইমার :- এটি একটি ঘরোয়া উপায়ে চর্মরোগে এর হারবাল চিকিৎসা পদ্ধতি । যদি আপনাদের এটি মনে হয় যে, উপকার পাবেন তাহলে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। আর যদি ট্রাই করেন তাহলে উপরের যেকোন একটি উপায় ও পদ্ধতি ট্রাই করবেন।ও সেটি নিয়মিত কিছু দিন করবেন, তারপর ফলের আশা করতে পারেন।আর আশা করি এটিতে উপকার পাবেন। আর যদি আপনাদের মনে হয় উপকার পাবেন না অথবা মনের মধ্যে কোন দ্বিধাবোধ হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং ডাক্তারের নিয়ম ও কথা মতো মেনে চলুন।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-
১. ইলিশ মাছ ৩ থেকে ৪ পিস
২. আলু ২৫০ গ্ৰাম
৩. বেগুন ২৫০ গ্ৰাম
৪. আস্ত গোটা কাঁচালঙ্কা ৪ টি
৫. পেঁয়াজ কুচি কাপ
৬. রসুন বাটা ১/২ চা -চামচ
৭. জিরে - ধনে গুঁড়ো পরিমাণমতো
৮. হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা -চামচ
৯. লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা -চামচ
১০. জল পরিমাণমতো
১১. তেল ৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ
১২. নুন পরিমাণমতো
কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -
প্রথম ধাপ :- প্রথমে ইলিশ মাছের পিসগুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। তারপর ভালো করে জল ঝরিয়ে নিন। এরপর আলু বেগুন টুকরো করে কেটে নিন। এবারে একটি পাত্র নিন, সেই পাত্রে তেল দিয়ে তেল গরম করুন, তেল গরম হয়ে এলে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিন। এবার পেঁয়াজের রঙ হালকা বাদামী হয়ে এলে তাতে রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিন। এরপর এর মধ্যে একে একে হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো,জিরে - ধনে গুঁড়ো এবং নুন দিন। এরপর চুলার আঁচ মাঝারি রেখে বেশ কিছুটা সময় নিয়ে মশলাটা কষিয়ে নিন। প্রয়োজন পড়লে অল্প গরম জল যোগ করুন। এবার মশলা কষাতে কষাতে মশলার ওপর তেল উঠে এলে তাতে প্রথমে আলু দিন। এরপর আলু কিছুক্ষণ ধরে কষিয়ে নিন। এবারে আলু কষানো হয়ে গেলে ১/২ কাপের মতো গরম জল দিয়ে ভালো করে সব নেড়ে এরপর এর মধ্যে বেগুন গুলো দিয়ে দিন। এবার বেগুন আলু নেড়ে দিয়ে পাত্র ঢেকে দিন। কিন্তু মাঝে মাঝে হালকা করে সব নেড়ে দিন। কিন্তু চুলার আঁচ মাঝারি করে রাখতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ :- এবারে বেগুন ভালো করে কষানো হয়ে এলে আর জল কমে গেলে ওতে পরিমাণমতো গরম জল দিন। তারপর জল ভালো করে ফুটে উঠলে তার মধ্যে ইলিশ মাছের পিসগুলো দিন। এবার আর চামচ দিয়ে বেশি নাড়াচাড়া করবেন না। শুধুমাত্র প্যানের হাতল ধরে ঘুরিয়ে সব নেড়ে দিবেন। এরপর প্যান ঢেকে দিন।মাছ গুলো ভালো করে ফুটে উঠলে সাবধানে মাছের আরেকপাশ উল্টে দিন। এরপর মাঝারি আঁচে মাছ গুলো রান্না করুন। এবার তরকারির ঝোল ঘন হয়ে এলে এবং ঝোলের ওপর তেল উঠে গেলে চুলা বন্ধ করে দিন। মাছের তরকারি এইভাবেই কিছুক্ষন ঢেকে রেখে দিন। এবারে পরিবেশন করুন গরম গরম ভাতের সঙ্গে এই দারুন "ইলিশ মাছ দিয়ে বেগুন আলুর ঝোল" রেসিপিটি। বন্ধুরা একবার বাড়িতে ট্রাই করে দেখবেন আর কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না। আজকের এই রেসিপিটি ৩ থেকে ৪ জনের জন্য প্রযোজ্য (অর্থাৎ ৩ থেকে ৪ জন খেতে পারবে)।আর এই রেসিপিটি রান্না করতে সময় লাগবে প্রায় ৩৫ থেকে ৪৫ মিনিটের মতো।