টক মিষ্টি কিমা কি ভাবে রান্না করবেন? একবারে নতুন পদ্ধতিতে টক মিষ্টি কিমা রান্না করুন।
0
মার্চ ১৪, ২০২৪
একটি ছোট্ট টিপস:-
আমার যে খাবার গুলি রান্না করি সেগুলি খাবার পরে বেচে গেলে সেগুলিকে ফ্রীজে রেখে দেই।আর একটি ফ্রীজ ঘরে থাকলে গরমকে কে আর গ্ৰাহ্য করে বলুন? গরমের দিনে যেসব খাদ্যবস্তু এবেলা রান্না করে রাখলে ওবেলা খারাপ হয়ে যায়,সেই সব খাদ্যবস্তু অনায়াসে ফ্রীজের মধ্যে ঢুকিয়ে কমপক্ষে এক সপ্তাহ রাখা যায়।তাই
এই সব কমপ্রেসার প্রভৃতি যন্ত্রাংশ ফ্রীজের পিছন দিকে লাগানো থাকে।এর সঙ্গে থাকে থার্মোস্টেট।এর সাহায্যে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ হয়।ফ্রীজকে দীর্ঘস্থায়ী করে ভালো রাখতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলবেন। সেই নিয়ম গুলি হলো -
১. দেওয়াল ঘেঁষে কখনো ফ্রীজ রাখবেন না। দেওয়াল থেকে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার দূরে রাখতে হবে।যাতে ফ্রীজের পিছন দিয়ে বাতাস ভালো ভাবে যাতায়াত করতে পারে।
২. ফ্রীজের সামনের দিকটা একটু উঁচু ও পিছনের দিকটা সামান্য নিচু করে বসাবেন।তার ফলে ফ্রীজের সামনের ডানা সহজভাবে খোলা ও বন্ধ করা যাবে।
৩. ফ্রীজ কিনে এনেই তাতে খাদ্যবস্তু রাখা চলবে না।প্রথমে ফ্রীজ কিনে এনে বসিয়ে শূন্য অবস্থায় কমপক্ষে একঘন্টা চালু করবেন। তারপর ত্ততে যা রাখার রাখবেন।
৪. যদি কোন ড্রিঙ্ক বা শরবতের বোতল তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডা করতে চান, তাহলে চিল ট্রে তে মাত্র আধ ঘন্টা রাখবেন তাহলে দেখবেন ঠাণ্ডা হয়ে গেছে।এরবেশি রাখলে চিল ট্রে তে প্রচন্ড ঠান্ডায় বোতলের তরল পদার্থ জমে শক্ত হয়ে যাবে।
৫. ফ্রীজে কান দিয়ে শুনলে একটা কমপ্রেসারের যান্ত্রিক শব্দ শোনা যায়। কিন্তু তার পরিবর্তে যদি অন্য কোন ও শব্দ শোনা যায়, তাহলে দেরি না করে, মিস্ত্রি ডেকে মেরামত করার ব্যবস্থা করবেন।
৬. কাঁচা অথবা রান্না করা যে খাদ্যবস্ত ফ্রীজে রাখবেন,প্রত্যেকটিতে ঢাকা দিয়ে রাখবেন।ওর ওপরে যেন পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখবেন না। তাহলে খাদ্যবস্তু ঠিক মতো ঠান্ডা না পেয়ে খারাপ হয়ে যেতে পারে।সব থেকে ভালো উপায় হল, পাতলা কাগজ ব্যাবহার করা, তাহলে আর এই ভয়টা থাকে না।
৭. কাঁচা সাক সবজি রাখতে হলে পলিথিনের প্যাকেটে ভরে রাখতে হবে। তাহলে টাটকা থাকবে এবং নরম ও থাকবে।
৮. ফলের মধ্যে কলা,ফুটি, তরমুজ,খরমুজ প্রভৃতি ফল ফ্রীজে রাখবেন না।
৯. কোন ও জিনিস গরম গরম অবস্থায় ফ্রীজে রাখবেন না।আগে ঠাণ্ডা করে নিয়ে, তারপর ফ্রীজে রাখবেন।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ:-
কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -
প্রথম ধাপ:- প্রথমে কিমা ভালো করে ধুয়ে পরিস্কার করে নিন। তারপর কিমা ধুয়া হয়ে গেলে, একটি প্রেসার কুকার নিন, সেই প্রেসার কুকারে এক কাপ জল দিয়ে কিমা গুলি সেদ্ধ করে নিন।এই বার আলু সেদ্ধ করে খোসা চটকে রাখুন। এরপর সেদ্ধ হত্তয়া কিমা জল থেকে তুলে পাত্রে ছড়িয়ে রেখে শুকিয়ে নিন। এবার ক্যাপসিকাম গুলি লম্বালম্বি ভাবে ছয় টুকরো করুন। তারসঙ্গে শশা,বিন ও গাজর সুরু সরু লম্বা করে কেটে নিন।
দ্বিতীয় ধাপ:- এবার একটি পাত্র নিন। সেই পাত্রে ডিম ফেটিয়ে তাতে ময়দা ও দুধ আলাদা ভাবে মিশিয়ে নিন। ওতে নুন, বেকিং পাউডার ও জল দিয়ে গোলা তৈরি করুন।গোলাটা যেন খুব ঘন না হয় সেটি খেয়াল রাখবেন।
তৃতীয় ধাপ:- এবার একটি কড়াই নিন। সেই কড়াইতে তেল দিয়ে তেল গরম করুন।তাতে সেদ্ধ করা কিমা ও আলু একসঙ্গে চটকে গোল করে গড়ে সেই গোলায় ডুবিয়ে তেলে লাল করে ভেজে তুলে রাখুন। তারসঙ্গে প্রতিটি সবজি আলাদা করে ভেজে তুলে রাখুন।
Tags