কই মাছের পাতুরি। খুব কম সরঞ্জামে কই মাছের পাতুরি রান্নার পদ্ধতি।কই মাছের পাতুরি রান্না ।

 

কই মাছের পাতুরি।খুব কম সরঞ্জামে কই মাছের পাতুরি রান্নার পদ্ধতি।

একটি ছোট্ট টিপস:-
গ্যাসের উনুন সম্পর্কে কিছু কথা:- আজকাল প্রায়ই সব পরিবারেই এর প্রচলন অধিক রয়েছে।এতে সুবিধা অনেক রয়েছে। এতে কয়লা,কাঠ, কাগজ, কেরোসিন তেল কোন কিছুর প্রয়োজন হয় না। ধোঁয়ার কোন গল্পই নেই। আঁচের কমবেশি নিয়ে হয়রানি ও হতে হয় না।আর কালি পড়াও কোন চিন্তা নেই।কালি পড়ে বাসন পত্র ও নষ্ট হয় না।

ব্যবহার করার কিছু নিয়ম:-
(১) গ্যাস সিলিন্ডার সবসময় খুবই নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে। বাড়িতে যদি ছোট ছেলেমেয়েরা থাকে, তাহলে তাদের নাগালের বাইরে সিলিন্ডার রাখা উচিত। সিলিন্ডারের ঠিক ওপরে রাখতে হবে প্লেটের মতো ঢাকার জিনিস।

(২) গ্যাস ধরানোর আগে সিলিন্ডারের নব খুলবেন, তারপর গ্যাস লাইটার অথবা দেশলাই জ্বেলে বার্নার জ্বালাবেন।

(৩) গ্যাস সিলিন্ডার যেখানে থাকবে তার কাছাকাছি স্টোভ, হিটার, কেরোসিন স্টোভ কোন কিছুই ব্যবহার করবেন না। সতর্ক না থাকলে দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে।

(৪) গ্যাস বা উনুনের কাজ শেষ হলে বার্নার আর সিলিন্ডারের নব ভালো ভাবে বন্ধ করে দেবেন।

(৫) বন্ধ অবস্থায় যদি গ্যাসের কোন গন্ধ পাওয়া যায়, সঙ্গে সঙ্গে নাকে একটা কাপড় জড়িয়ে সিলিন্ডারের নব আর রেগুলেটর নাট পরীক্ষা করে দেখবেন।যদি কোন কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে গ্যাস কোম্পানিতে সঙ্গে সঙ্গে খবর পাঠাবেন।

(৬) নতুন সিলিন্ডার বাড়িতে এলে ভালোকরে পরীক্ষা করে নেওয়া দরকার।গ্যাস কোম্পানির লোক দ্ধারা পুরাতন সিলিন্ডারটি বার করে নতুন সিলিন্ডার ঠিক মত লাগিয়ে নেবেন। দেখে নেবেন কোথাও লিক হচ্ছে কিনা।ও ওয়াশার নতুন কিনা দেখে নেবেন। রেগুলেটর লাগিয়ে স্প্যানার দিয়ে কষে বন্ধ করেছে কিনা নজর রাখবেন। নতুন সিলিন্ডার লাগানোর সময় কাছাকাছি কোন আগুনের স্পর্শ যেন না থাকে।

(৭) যে নলের সাহায্যে সিলিন্ডার থেকে উনুন পর্যন্ত গ্যাস পৌঁছায়,সেটি ২ বছর অন্তর অন্তর পাল্টিয়ে নেওয়া উচিত।এতে নলের লীক থেকে অনেকটা সুরক্ষা পাওয়া যায়।

যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-

১. বড় কই মাছ ৯ থেকে ১০ টি

২. সরষে ২ চামচ

৩. সাদা সরষে ২ চামচ

৪. গোলমরিচ গুঁড়ো ১ চামচ

৫. পেঁয়াজ বাটা ১টি

৬. লঙ্কা গুঁড়ো আধ চামচ

৭. পাতিলেবুর রস ১ চামচ

৮. কাবাব চিনি গুঁড়ো আধ চামচ

৯. ঘি ৫০ থেকে ৬০ গ্ৰাম

১০. নুন প্রয়োজনমতো

১১. ডিম ২ টি

১২. কলাপাতা ৮ থেকে ৯ টি

কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -

প্রথম ধাপ:- প্রথমে মাছ গুলি ধুয়ে নিন। তারপর নুন ও জলে ১০ থেকে ১২ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর আবার পরিস্কার জলে মাছ গুলি ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। এবার মাছ গুলির গা ছুরি দিয়ে চিরে চিরে দিন। তারপর ডিম ভেঙ্গে ফেটিয়ে সব মশলা, ঘি, লেবুর রস ও নুন দিয়ে মিশ্রন তৈরী করে মাছে মাখিয়ে ডিম মশলা মাছের ভেতরেও ঢুকিয়ে দিন।

দ্বিতীয় ধাপ:- এবারে কড়াইতে অল্প তেল মাখিয়ে কলাপাতা বিছিয়ে দিন (ত্রুসত্তয়াইজ)। এবার হাতে করে তেল ও মাছ মশলা মাখা পাতার ওপর সাজিয়ে দুই দিকের বাড়তি কলাপাতা মুড়ে সরু কাঠি বা সুতো দিয়ে এঁটে দিন।যাতে পাতা খুলে না যায়। এবার কড়ায় গরম আঁচে বসিয়ে ঢাকা দিন।অল্প পরেই দেখবেন নিচের পাতা পুড়ে হলদে হয়ে যাবে।এই ভাবেই আগুনে বসিয়ে কিছুক্ষণ রাখলেই পাতার মধ্যে মাছ সেদ্ধ হয়ে যাবে।মাঝে মাঝে খেয়াল রাখবেন মাছ সেদ্ধ হয়েছে কিনা। এবার পাতা খুলে মশলা সমেত গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।