ডাল মাখানি।একে বারে রেস্টুরেন্টের মত নিজের বাড়িতেই রান্না করে ফেলুন ডাল মাখানি।

 

ডাল মাখানি।একে বারে রেস্টুরেন্টের মত নিজের বাড়িতেই রান্না করে ফেলুন ডাল মাখানি।



ডাল মাখানি



একটি ছোট্ট টিপস:-

প্রেসার কুকারের ব্যবহারের কিছু তথ্য জেনে রাখা উচিত:-

কুকারে রান্না করা আজকাল বেশ সহজ আমাদের সময় বাঁচায়।আর ইকনমিক কুকারে রান্না বহুদিন থেকেই চলছে। সামান্য গুল দিয়ে এই কুকারে রান্না করা যায়।আর এতে কোন রকম বিপদের ঝুঁকি থাকে না। তবে প্রেসার কুকার চলছে আজকাল। এতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে রান্না করা যায়। প্রেসার কুকারে সেফটি ভাল্ব থাকে বলে এর ভেতরের বাড়তি বাস্প টুকু বেরিয়ে যেতে পারে।এটি যে কোন আঁচেই প্রেসার কুকারে রান্না করা যায়।

প্রেসার কুকারে ব্যবহারে কিছু সেফটি টিপস :-

() প্রেসার কুকার ব্যবহার করার আগে প্রতিবার সেফটি ভাল্ব হুইসলিং ভাল্ব (শিয়ের শব্দ ওঠে সেটি) পরীক্ষা করে নিতে হবে।

() পাত্র সম্পূর্ণ ভর্তি করে খাদ্যবস্তু দেবেন না।

() খাদ্যবস্তুর প্রকৃতি বুঝে পাত্রে সেই পরিমাণ জল নেবেন,যদিও জল একটু বেশি হয়ে যায় তাহলে সেই রকম কোনো ক্ষতি নেই তবুও খেয়াল রাখতে হবে।

() কুকারকে বেশি সময় আঁচে রাখবেন না।বাস্প জমে উঠলেই থেকে মিনিটের জন্য নামিয়ে নেবেন। ভিতরের বাস্পকে খাদ্যবস্তু প্রস্তুতের জন্য সময় দিতে হবে। আবার আঁচে চড়াবেন এবং নামাবেন এই ভাবে কয়েকবার করলেই খাদ্যবস্তু তৈরি হয়ে যাবে, অর্থাৎ রান্না হয়ে যাবে।

() খাদ্যবস্তু তৈরি হয়ে যাবার পর কুকার আঁচ থেকে নামিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকনাটি খুলবেন না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে খুলবেন।না হলে বাস্পের তোড়ে খাদ্যবস্তু উপরে ছিটকে উঠতে পারে অথবা গরম ভাপ গুলি চোঁখে মুখে লেগে ক্ষতি হতে পারে।এই গুলি খেয়াল রাখবেন।

() যদি দেখা যায় বাস্প লিক করছে, তাহলে তাড়াতাড়ি কুকার আঁচ থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে ভিতরকার রবারের লাইনিং (গ্যাসকেট) চেক করুন।

() সেফটি ভাল্ব দিয়ে লিক করলে বা ভাল্ববের পিন বার বার বাইরে বেরিয়ে এলে সঙ্গে সঙ্গে ওটি পাল্টে ফেলবেন।

() রান্নার পর প্রতিটি অংশ ভালো ভাবে পরিস্কার করবেন। কিন্তু কাপড় কাচা সোডা বা সাবান ব্যবহার ভুলেও করবেন না।

() কুকার আঁচ থেকে নামাবার সময় সোজাসুজি ভাবে নামাবেন।যেন তাড়াহুড়োয় আড় না হয়ে যায়।এর ফলে ভিতরের বাস্পের মধ্যে একটা আলোড়ন সৃষ্টি হয়ে কুকার ফেটে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে,এই গুলি সবসময় খেয়াল রাখবেন।যদিও সেফটি ভাল্ব দিয়ে বেশিরভাগ বাস্প বেরিয়ে যায় তবুও এই বিষয় গুলো সতর্ক থাকা প্রয়োজন।যদি এর মাধ্যমে আপনার কোন উপকার পেয়ে থাকেন বা উপকার হয়ে থাকে তাহলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের ডাল মাখানি রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক আর কি ভাবে খুব সহজেই আপনি এই ডাল মাখানি রান্না করবেন।এই ডাল মাখানি রেসিপিটি উওর ভারতের বিশেষ ভাবে প্রচলিত।এক কথায় বলা চলে উওর ভারতের রেসিপি।





যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ:-

. কড়াইয়ের ডাল ২০০ গ্ৰাম

. রাজমা ৩০ গ্ৰাম

. মাখন ১০০ গ্ৰাম

. নুন প্রয়োজনমতো


প্রথমবার সাতঁলানোর জন্য উপকরণ:-

. ঘি ১০০ গ্ৰাম

. শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো টেবিল চামচ

. কাঁচা লঙ্কা থেকে টি কুচানো

. আদা থেকে ইঞ্চির মতো কুচানো

. পেঁয়াজ টি কুচানো


দ্বিতীয়বার সাতঁলানোর জন্য উপকরণ:-

. ঘি ২৫ থেকে ৩০ গ্ৰাম

. কসুরি মেথি চা -চামচ‌‌‌

. রসুন ছোট একটি কুচানো

. হিং চিমটের মতো

. দারচিনি টেবিল চামচ



সাতঁলানোর কথা অর্থ অর্থাৎ এর মানে:- গরম তেলে মাছ আধ ভাজা করে, আমিষ অথবা নিরামিষ তরকারি সুবাসিত করার জন্য গরম ঘি বা তেলে সম্বরা অর্থাৎ ফোড়ন দেওয়া হয়


আর সম্বরা কথার অর্থ হলো:- সম্বরা অর্থাৎ এক কথায় ফোড়ন দেওয়া,তেলে কিংবা ঘিতে গরম করে তাতে পাঁচফোড়ন, লঙ্কা, তেজপাতা প্রভৃতি দিয়ে সেদ্ধ করা ডাল ঢেলে দেওয়াকে সম্বরা বলে। আশা করি আপনারা বুঝতে পারবেন।



ডাল মাখানি



এবার কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -

প্রথম ধাপ:- প্রথমে দুই ধরনের ডাল একসঙ্গে সারারাত অর্থাৎ পুরো রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন দুই লিটার জলে প্রয়োজনমতো নুন দিয়ে ডাল সেদ্ধ করুন। এবার সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ডালটিকে কাঁটা অথবা কোন কিছু দিয়ে ফেটিয়ে নিন। তারপর প্রথমবারের সাতঁলানোর ঘি কড়াইতে ঢেলে আঁচে বসান।গরম হয়ে এলে পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে আদা লঙ্কা ছাড়ুন। দেখুন সোনালী রঙের মতো ভাজা ভাজা হলে তাতে টম্যাটো দিয়ে নাড়াচাড়া করে রান্না হতে দিন। ভালো করে ভাজা হলে ডালের মধ্যে ঢেলে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে আঁচে বসান। ফুটে উঠলে দেখতে পাবেন তেল ভেসে উঠেছে, এরপর সেটিকে নামিয়ে নিন।


দ্বিতীয় ধাপ:- এবার দ্বিতীয়বার সাতঁলানোর জন্য রাখা ঘি গরম করে তাতে দারচিনি দিন। এরপর আস্তে আস্তে রসুন দিয়ে সেটিকে বাদামি রঙ করে ভেজে তাতে ডাল ঢালুন, তারপর তাতে কসুরি মেথি হিং দিয়ে নামিয়ে নিন।এই ভাবেই তৈরি হয় ডাল মাখানি। খেয়াল রাখবেন পরিবেশন করার সময় মাখন দিয়ে পরিবেশন করবেন। অনেকে অনেক রকম ভাবে এই ডাল মাখানি করে থাকেন। কিন্তু আমারা এই ভাবেই ডাল মাখানি করে থাকি।যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা করবেন। 
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.