বড় বাগদা চিংড়ির এই স্পেশাল পদটির নাম হলো গুলনার জলপরি।এই পদটি স্পেশাল ঘোলের মধ্যে ডুবিয়ে ভাপে রান্না করা হয়। আজকের রেসিপি হলো গুলনার জলপরি।

 

বড় বাগদা চিংড়ির এই স্পেশাল পদটির নাম হলো গুলনার জলপরি।এই পদটি স্পেশাল ঘোলের মধ্যে ডুবিয়ে ভাপে রান্না করা হয়। আজকের রেসিপি হলো গুলনার জলপরি।



গুলনার জলপরি



সূচনা:- এই পদ বা রান্নাটি বড় বাগদা চিংড়ির (মাংসল) একরকম স্পেশাল ঘোলের মধ্যে ডুবিয়ে ভাপে রান্না করা হয়।এই পদ বা রান্নাটি বাড়িতে খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন।


সামগ্রী বা উপকরণ:-

১. বাগদা চিংড়ি ১২ টি বড় সাইজের

. বাদাম তেল ভাজার জন্য প্রয়োজনমতো

. রসুন বাটা ৫০ গ্ৰাম (তিন বড় চামচের মতো)

. আদা বাটা ৫০ গ্ৰাম (তিন বড় চামচের মতো)

. লেবুর রস ৬০ থেকে ৭০ মিলি লিটার অর্থাৎ (চার বড় চামচ এর মতো একটু কম বেশি হলে অসুবিধা নেই)

. নুন পরিমাণমতো

. মল্ট ভিনিগার ১০০ মিলি লিটার অর্থাৎ (সতেরো বড় চামচ এর মতো একটু বেশি বা কম হলেও অসুবিধা নেই)

. আটা সিকি কাপ (এটি হলো সামগ্ৰী)


আবার উপকরণ:-

. দই ৩০০ গ্ৰাম

২. ধনে পাতা বাটা ২০ গ্ৰাম

. শাহি জিরা গ্ৰাম

. ডিম থেকে টি

. কাঁচা লঙ্কা থেকে টি

. নুন পরিমাণমতো



এবার প্রনালীঃ-

প্রথমে চিংড়ি মাছের খোসা ছাড়াতে হবে, কিন্তু খেয়াল রাখবেন যে চিংড়ি মাছের শেষের দিকটার খোসা বাদ যাবে না। শুধু লেজের দিকটা পরিস্কার করে ধুয়ে মুছে নিয়ে, কিছুটা শুকিয়ে নিতে হবে।



এবার মশলা প্রস্তুতি অর্থাৎ ম্যারিনেশনের জন্য:-

প্রথমে আদা বাটা, রসুন বাটা, নুন আর লেবুর রস একটা বড় বাটিতে সিরকার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে হবে।এই মিশ্রণের মধ্যে চিংড়ি মাছ গুলো ঢেলে তারপর একঘন্টার জন্য রেখে দিতে হবে।



এবার ঘোল প্রস্তুতি:-

প্রথম ধাপ:- দই এর উপরের নরম অংশটুকু ,একটুকরো কাপড়ের মধ্যে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে হবে যতক্ষণ না জল ঝরে পড়ে, কাপড়ের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে। সেটাকে একটা বাটির মধ্যে নিয়ে ফেটিয়ে নিতে হবে। এরপর ধনেপাতা পরিস্কার করে ধুয়ে কুচিয়ে নিতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপ:- এই সব উপকরণ গুলো দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে ভালো করে।ঘোলে দেবার জন্য অন্যান্য জিনিসগুলো দইয়ের মধ্যে দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি ভারি বা গাঢ় হয়ে এলে প্রয়োজনমতো জল মেশাতে হবে।



একটি ওভেনের প্রয়োজন:- 

এই ওভেনে এই ঘোলটিকে ৩০০ ডিগ্ৰী ফারেনহাইটে গরম করতে হবে।



এইবার দ্বিতীয়বার প্রনালীঃ -

এইবার একটি কড়াই নিন, সেই কড়াইতে পরিমাণমতো ঘি দিয়ে গরম করতে হবে। এবার চিংড়ি মাছ গুলোকে "ভিনিগার" থেকে উঠিয়ে নিয়ে, বাকি মশলা তার ওপর ছড়িয়ে দিতে হবে। তারপর ঘোলের মধ্যে চিংড়ি মাছ গুলোকে ডুবিয়ে, মাঝারি আঁচে হালকা করে ভেজে নিতে হবে।


এবার রোস্টিং শেষ ধাপ:-

রোস্টিং এর সময় 'রোস্টিং ট্রে' তে ঘি মাখিয়ে চিংড়ি মাছ গুলোকে এমন করে রাখতে হবে, যেন একটা আরেকটার ওপরে না পড়ে। এরপর অ্যালুমিনিয়াম পাত্র দিয়ে ঢেকে দিন ভাপা বার জন্য, ভাপা বার জন্য গরম ওভেনে ছয় থেকে আট মিনিট রাখতে হবে।এর থেকে বেশি সময় ওভেনে রাখবেন না একদিকে একটু খেয়াল রাখবেন।



গুলনার জলপরি




সব শেষে গার্নিশিং :-

এবার পাত্রটি উঠিয়ে নিয়ে পরিবেশনের পাত্রে লেবুর টুকরো আর পুদিনাপাতার চাটনি সহযোগে পরিবেশন করা যেতে পারে।আর এটি খেতেও জমে যাবে। আর একটি মাথায় রাখবেন যে, চিংড়ি মাছের আকারটি পুরোপুরি আস্ত রাখার জন্য তিন ইঞ্চি কাঠের শলাকার মধ্যে বিঁধিয়ে ঘোলে ডোবাতে হবে।আর সবশেষে কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।আর আপনাদের সহযোগিতা আমার কাছে খুব মূল্যবান।আর কোন যদি ভুল করে থাকি তাহলে ক্ষমা করবেন।
 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.