মুগডালের হালুয়া কি ভাবে রান্না করবেন? আর মুগডালের কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা।
একটি ছোট্ট টিপস :-
মুগডালের কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা জানানোর চেষ্টা করলাম :-
ভাতের সঙ্গে ডাল না হলে কি আর বাঙালি খাবার জমে! তবে শুধু ভাত নয়, রুটি কিংবা পরোটার সঙ্গেও প্রয়োজন হয় ডালের। গরমের এই সময়ে হালকা ধরনের খাবার খেতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যে অন্যতম হলো মুগ ডাল। এই ডালের গন্ধ ও স্বাদ বেশ আকর্ষণীয়। গরমে মুগ ডাল পাতে তো রাখবেনই, সেইসঙ্গে এর উপকারিতাও জেনে রাখুন। চলুন জেনে নেওয়া যাক মুগ ডাল খাওয়ার উপকারিতা-
• ওজন কমাতে সাহায্য করে :- সবাই চান বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফিট থাকতে। এই কাজে সাহায্য করতে পারে মুগ ডাল। আপনি যদি নিয়মিত মুগ ডাল খান তাহলে তা আপনার ওজন ঝরাতে কাজ করবে। দুই ধরনের মুগ ডাল পাওয়া যায়, একটি খোসা ছাড়া হলুদ রঙের আর একটি খোসাসহ সবুজ রঙের। এই দুই রকমের মুগ ডালই ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। এতে ক্যালোরি কম থাকে, ফাইবার থাকে বেশি। যে কারণে মুগ ডাল খেলে তা ক্ষুধা নিবারণ করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। ক্যালোরি কম থাকায় বাড়তি ওজনের ভয় থাকে না।
• হজমে সাহায্য করে :- গরমে খাবার একটি এদিক-সেদিক হলেই হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে গরমের এই সময়ে আপনি খাবারের তালিকায় নিয়মিত রাখুন মুগ ডাল। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ এবং স্টার্চ রেজিসটন্ট। যে কারণে মুগ ডাল হজম করা বেশ সহজ। ভেজানো মুগডাল চিবিয়ে খেলেও উপকার পাবেন। হজমের সমস্যা দেখা দিলে মুগ ডাল সেদ্ধ করে খেতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন।
• হার্ট ভালো রাখে :- আপনার হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করবে মুগ ডাল। এই ডালে থাকে
ফাইবার, পটাশিয়াম, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। ভেজানো মুগ ডাল খেলে তা ব্লাড সুগার
কমাতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। নিয়মিত মুগ ডাল খেলে হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমে।
• গরমে উপকারী :- গরমের সময়ে নিয়মিত মুগ ডাল খেলে অনেক উপকার পাবেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটি আমাদের শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। গরমের দিনে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে, যা অনেকটাই কমিয়ে
দেয় এই মুগ ডাল।
সেইসঙ্গে ত্বক ভালো রাখতে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে উপকারী এই ডাল।
এটি পেটের জটিলতার কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত মুগ ডাল খেলে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। একটি কথা মাথায় রাখা উচিত, যে কোন জিনিস পরিমাণ মতো খেলে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না আর পরিমাণের থেকে বেশি খেলে শরীরের ক্ষতি হয়।
প্রতিদিন কতটুকু মুগ খাওয়া উচিত?
মুগ ডাল আপনার দৈনন্দিন খাদ্যের একটি স্বাস্থ্যকর সংযোজন হতে পারে। বৈচিত্র্যময় এবং সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে অন্যান্য খাবারের সাথে তাদের গ্রহণের ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন প্রায় 1/2 কাপ (৫০ গ্রাম) পরিবেশন করা সাধারণত বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ এবং উপকারী বলে মনে করা হয়।
• ডিসক্লেইমার : - ওপরে মুগডালের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলি জানানোর চেষ্টা করলাম। আর ওপরের সব তথ্য গুলি সঠিক নাও হতে পারে।
এবার পরিবেশন করার সময় কিসমিস, বাদাম ও তবক দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
মুগডালের কিছু অপকারিতা :-
এটি পেটের জটিলতার কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত মুগ ডাল খেলে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। একটি কথা মাথায় রাখা উচিত, যে কোন জিনিস পরিমাণ মতো খেলে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না আর পরিমাণের থেকে বেশি খেলে শরীরের ক্ষতি হয়।
প্রতিদিন কতটুকু মুগ খাওয়া উচিত?
মুগ ডাল আপনার দৈনন্দিন খাদ্যের একটি স্বাস্থ্যকর সংযোজন হতে পারে। বৈচিত্র্যময় এবং সুষম খাদ্য নিশ্চিত করতে অন্যান্য খাবারের সাথে তাদের গ্রহণের ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন প্রায় 1/2 কাপ (৫০ গ্রাম) পরিবেশন করা সাধারণত বেশিরভাগ মানুষের জন্য নিরাপদ এবং উপকারী বলে মনে করা হয়।
• ডিসক্লেইমার : - ওপরে মুগডালের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলি জানানোর চেষ্টা করলাম। আর ওপরের সব তথ্য গুলি সঠিক নাও হতে পারে।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-
১. মুগডাল ২৫০ গ্ৰাম২. দুধ ১ লিটার
৩. ঘি ১০০ গ্ৰাম
৪. চিনি ২৫০ গ্ৰাম
৫. মেওয়া ১০০ গ্ৰাম
৬. এলাচ গুঁড়ো ২-৩ টি
৭. কয়েক সুতো কোর
৮. সাজাবার জন্য কিসমিস পরিমাণমতো
৯. সাজাবার জন্য বাদাম পরিমাণমতো
১০. তবক প্রয়োজনমতো
কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -
প্রথম ধাপ:- প্রথমে ডালটি কে ১ ঘন্টার মতো ভিজিয়ে রাখবেন। তারপর সেটিকে মিক্সিতে ভালো করে বেটে নিন। এরপর একটি কড়াই নিন, সেই কড়াইতে পরিমাণমতো ঘি দিয়ে, বাটা ডাল বাদামি করে ভাজুন। এবারে (থাফ) লিটার দুধের ক্ষীর করে রাখুন। এবার বাটা ডালের সঙ্গে ক্ষীর মিশিয়ে আঁচে বসিয়ে আস্তে আস্তে নাড়তে থাকুন। অল্প ভেজে তাতে চিনি ও অল্প জল দিয়ে নেড়ে হালুয়ার মতো করে নামিয়ে নিন।এবার পরিবেশন করার সময় কিসমিস, বাদাম ও তবক দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।