আজকে দেখাবো "মাশরুমের মশলাকারি"।আর মাশরুম এর স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কিছু জানা অজানা তথ্য।
একটি ছোট্ট টিপস :-
খাদ্যগুণে সমৃদ্ধ মাশরুম অত্যন্ত স্বাস্থ্যপ্রদ একটি খাবার। মাশরুমের পুষ্টিমান তুলনামূলকভাবে অত্যধিক এবং এর প্রোটিন অতি উন্নতমানের এবং মানব দেহের জন্য বহু উপকারী।
আসুন আজকে আমরা জেনে নেই, খাবার মাশরুম এর কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা:-
• রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে :-
মাশরুমে উচ্চমাত্রার আঁশ থাকে, সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে এবং
প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
সাহায্য করে এবং হৃদপিণ্ডের কাজে সহায়তা করে।
• ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে :-
মাশরুমের ফাইবার বা আঁশ পাকস্থলি দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখতে সাহায্য করে। মাশরুম রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে। উচ্চ ফ্যাট সমৃদ্ধ লাল মাংসের পরিবর্তে মাশরুম গ্রহণ করলে ওজন কমানো সহজ হয়। একটি গবেষণায় জানা যায় যে, লাল মাংসের পরিবর্তে সাদা মাশরুম গ্রহণ করলে ওজন কমে।
• ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে :-
মাশরুমে নিয়াসিন ও রিবোফ্লাবিন থাকে
যা ত্বকের জন্য উপকারী। এই ছত্রাকে ৮০-৯০ ভাগ জল
থাকে যা ত্বককে নরম
ও কোমল রাখে।
• অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
:-
মাশরুমে পলিফেনল ও সেলেনিয়াম নামের
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এতে মানুষের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সালফার ও থাকে। এই
অত্যাবশ্যকীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো মারাত্মক কিছু রোগ, যেমন- স্ট্রোক, স্নায়ুতন্ত্রের রোগ এবং ক্যান্সার থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
• রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে :-
এটি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শিটাকে মাশরুম দৈনন্দিন কিছু অসুখ যেমন- কফ ও ঠান্ডা
থেকে রক্ষা করে।
• ভিটামিন ডি ধারণ করে
:-
সূর্যের আলোর সংস্পর্শে যে মাশরুম উৎপন্ন
হয় তাতে প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে, যা
ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের শোষণ
বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
• ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় :-
নিয়মিত মাশরুম খেলে ব্রেস্ট ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সার
হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। মাশরুমের
ফাইটোকেমিক্যাল টিউমারের বৃদ্ধিতে বাঁধার সৃষ্টি করে।
• স্নায়ুতন্ত্রের উপকার :-মাশরুমের ভিটামিন বি স্নায়ুর জন্য
উপকারী।
• ডায়াবেটিস জন্য উপকার :-
মাশরুম গ্রহণ করলে রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। মাশরুমে এনজাইম ও প্রাকৃতিক ইনসুলিন
থাকে যা চিনিকে ভাঙ্গতে
পারে।
• পরিপাকে সাহায্য করে :-
এতে থাকা ফাইবার ও এনজাইম হজমে
সহায়তা করে। এটি অন্ত্রে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার কাজ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
• মাশরুমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও এলার্জি একথায়
অপকারিতা :-
মাশরুমে যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতা রয়েছে যেমন,স্বাস্থ্যকর মাশরুম থেকে বন্য মাশরুমকে আলাদা করা একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে সহজ নয়। বন্য মাশরুম খাওয়া মানুষের মধ্যে গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে এবং এমনকি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। যেহেতু মাশরুমে উপস্থিত বিটা-গ্লুকানগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উদ্দীপিত করে, তাই আর্থ্রাইটিস , লুপাস , হাঁপানি এবং মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের মতো অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এটি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত বা না খাওয়া উচিত। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের "মাশরুমের মশলাকারি" রেসিপিটি দেখে নেওয়া যাক।আর বন্ধুরা কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।
• ডিসক্লেইমার : - ওপরে মাশরুমের কয়েকটি উপকারিতা ও অপকারিতা গুলি
জানানোর চেষ্টা করলাম। আর ওপরের সব
তথ্য গুলি সঠিক নাও হতে পারে।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ
উপকরণ :-
১. মাশরুম ছোট ২ টি
২. বাদাম তেল ১০০ গ্ৰাম
৩. কাজুবাদাম ১০০ গ্ৰাম
৪. পেঁয়াজ বাটা ২৫০ গ্ৰাম
৫. শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো ১৫ গ্ৰাম
৬. টম্যাটো ২০০ গ্ৰাম
৭. কিচেন কিং ১ চা -চামচ
৮. হলুদ আধ চা -চামচ
৯. ধনেপাতা ২৫ গ্ৰাম
১০. আদা, রসুন, লঙ্কা ৫০ গ্ৰাম (সম পরিমাণে নিয়ে সব একসঙ্গে বাটা)
১১. হলুদ গুঁড়ো আন্দাজমতো
১২. জিরে আন্দাজমতো
১৩. নুন পরিমাণমতো
কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -
প্রথম ধাপ :- প্রথমে একটি কড়াই নিন, সেই কড়াইতে বাদাম তেল গরম করুন। তারপর তেলে জিরে দিন। এরপর হালকা আঁচে আধ মিনিট রাখুন। এবারে বেটে রাখা পেঁয়াজ কড়াইতে দিয়ে বাদামি না হত্তয়া পর্যন্ত নাড়াচাড়া করুন। এরপর নুন,আদা, রসুন ও লঙ্কা বাটা দিয়ে আরও মিনিট খানেক রান্না হতে দিন। কিছুক্ষণ পরে শুকনো লঙ্কাগুঁড়ো, হলুদ, গরমমশলা, কড়াইতে ছাড়ুন। এবার টম্যাটো মিক্সিতে দিয়ে ফেটিয়ে রাখবেন।এই পেষা টম্যাটো কড়াইতে মশলার মিশ্রণে দিন। এতেই কাজুবাদাম গুঁড়ো দিয়ে মিনিট চারেক রান্না হলে, তারপর মাশরুম ছাড়ুন।
পাঁচ থেকে আট মিনিট রান্না
করার পর, আঁচ থেকে নামিয়ে উপরে ধনেপাতা দিয়ে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।