আজকের রেসিপিটি হলো পেঁপের হালুয়া। এখানে পেঁপের কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করলাম।
একটি ছোট্ট টিপস :-
পেঁপের এমন একটি গাছ যার প্রায় সব অংশই ব্যবহার করা যায়। পেঁপেতে রয়েছে অনেক রকমের ভিটামিন যেমন, ভিটামিন ই,সি,ও বিটা ক্যারোটিন।এর বীজে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড। পেঁপের পাতার ও বহু উপকারিতা রয়েছে। ভারতের স্বাস্থ্যবিষয়ক বলেছেন যে , পেঁপের পাতা স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী, তেমনি ত্বকের জন্য উপকারী। পেঁপের পাতায় রয়েছে পাপাইন,যা হজমে সাহায্য করে।পেট ফুলে যাওয়া এবং অন্যান্য হজম সংক্রান্ত ব্যাধি প্রতিরোধ করে। এটি হজমের পাশাপাশি কারপেইনের মতো শক্তিশালী যৌগ খুশকি ও চুল পড়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
আসুন পেঁপের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানি :-
কম খরচে এবং উচ্চ পুষ্টিগুণের কারনে পেঁপে একটি সাধারণ ফল। পেঁপেতে রয়েছে প্রোটিন, চর্বি এবং তেল, এনজাইম,পলিস্যাকারাইড, ভিটামিন এবং খনিজ সহ প্রচুর ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে। পেঁপেতে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম হলেও, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আর কাঁচা পেঁপের মধ্যে পুষ্টি উপাদান গুলি হলো :-
প্রোটিন - ০.৪৭ গ্ৰাম, কার্বোহাইড্রেট - ১০.৭গ্ৰাম,চর্বি- ০.২৫ গ্ৰাম, চিনি - ৭.৮২ গ্ৰাম, ফাইবার - ১.৭ গ্ৰাম, সোডিয়াম - ৮ মিলিগ্ৰাম, ক্যালসিয়াম - ২০ মিলিগ্ৰাম, ম্যাগনেসিয়াম -২১ মিলিগ্ৰাম, পটাশিয়াম - ১৮০ মিলিগ্ৰাম,আয়রন - ০.২৫ মিলিগ্ৰাম, ফসফরাস - ১০ মিলিগ্ৰাম,দস্তা - ০.০৮ মিলিগ্ৰাম, ম্যাঙ্গানিজ - ০.০৪ মিলিগ্ৰাম,তামা-০.০৪৫ মিলিগ্ৰাম, রিবোফ্লাভিন - ০.০২৭ মিলিগ্ৰাম, ভিটামিন সি - ৬০.৯ মিলিগ্ৰাম, থায়ামিন - ০.০২৩ মিলিগ্ৰাম, নিয়াসিন - ০.৩৫৭ মিলিগ্ৰাম, ভিটামিন বি ৬- ০.০৩৮ মিলিগ্ৰাম, ফোলেট , ভিটামিন -এ, বি-ক্যারোটিন, ভিটামিন -ই, ভিটামিন -কে,লাইসিন,লিউসিন, গ্লাইসিন, গ্লুটামিক অ্যাসিড,ও আর ও বিভিন্ন ধরনের পেঁপের পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
এবারে কাঁচা পেঁপের কয়েকটি উপকারিতা :-
• পাচনতন্ত্রের জন্য (হজম) কাঁচা পেঁপের বহু গুণ।
• ত্বকের জন্য কাঁচা পেঁপের গুন বিশাল।
• ক্যান্সারের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে কাঁচা পেঁপে।
• কাঁচা পেঁপে দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
• দাঁতের ব্যথা ও মাড়ির রোগ কমাতে সাহায্য করে।
• জয়েন্ট গুলোতে ব্যথা এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে।
এবারে কাঁচা পেঁপের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা :-
• পেঁপের সাদা দুধের রসে (ক্ষীর) কিছু এনজাইম (পেপেইন) থাকে,যা গর্ভাবস্থার সমস্যার কারণ হতে পারে।
• এটি নির্দিষ্ট হরমোনের মাত্রা প্রভাবিত করতে পারে।অতত্রব, এটি মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
• আর যার এই পেঁপে তে কোন রকম এলার্জি রয়েছে, তিনি এই পেঁপে না খাওয়াই উচিত। অর্থাৎ পেঁপেকে এড়িয়ে চলাই ভালো।
ডিসক্লেইমার :-
আয়ুর্বেদিক ভেষজ গুলির নির্দিষ্ট পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। এবং প্রতিটি মানুষের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে প্রতিক্রিয়া হতে পারে। সঠিক নির্দেশনার জন্য এটি ব্যবহার করার আগে আপনি একটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন এবং তা নিশ্চিত করুন।