দারুন স্বাদযুক্ত এই শুকনো হালুয়া বা সাধারণ হালুয়া {Dry halwa}। আর এখানে হালুয়ার সম্পর্কে কিছু জানানোর চেষ্টা করলাম।
0BengaliKitchenজুন ২০, ২০২৪
দারুন
স্বাদযুক্ত এই শুকনো হালুয়া
বা সাধারণ হালুয়া। আর এখানে হালুয়ার
সম্পর্কে কিছু জানানোর চেষ্টা করলাম।
একটি ছোট্ট টিপস :-
• দারুন স্বাদযুক্ত, লোভনীয় স্বাদ, এবং স্বাস্থ্য উপকারিতায় এই শুকনো হালুয়া
বা সাধারণ হালুয়া হতে পারে আপনার জন্য, এটি সাধারণত শীতকালে খাওয়া ভালো কিন্তু আপনি চাইলে অন্যান্য মরশুমে ও কমবেশি খেতে
পারেন। এই শুকনো হালুয়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন।এই ভিটামিনের ফলে মানুষের শরীরে অনেক উন্নতি ঘটে।আর এই হালুয়ার স্বাদে
দেখবেন বাটি ভর্তি হালুয়া মূহুর্তের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে।আর এর সঙ্গে এই
কাজুবাদাম ও কিসমিস থাকায়
শরীরের অনেক রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা ও বেড়ে উঠবে।
• আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ঘরে তৈরি করা হালুয়া বাইরের খাবারের চেয়ে অনেক স্বাস্থ্যকর। আপনারা জানেন যে এখন বাইরের
খাবারের যে পুষ্টিগুণ পাওয়া
যায় তার চেয়ে বেশি ঘরের খাওয়ারের ১০০ গুন বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ।আসা করি,আপনারা এই কথাটিতে একমত
হবেন।
• আর এই হালুয়া বেশি
প্রচলিত আছে এমন কিছু দেশ যেগুলি হলো ভারত, পাকিস্তান, ইরান,ইরাক,লেবানন, উজবেকিস্তান, রাশিয়া, বেলারুশ,ইউক্রেন, তুরস্কে,ইত্যাদি দেশে। আর অনেক দেশে
এটি আবার জাতীয় খাবার হিসেবে ও বিবেচিত করা
হয়,তার মধ্যে একটি দেশ হলো তুরস্কে। হ্যাঁ তুরস্কে এটি একটি জাতীয় খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়।আর এই হালুয়া অনেক
ধরনের হয় বা রয়েছে।আর সবচেয়ে
বেশি পুষ্টিকর হালুয়া হলো বেসনের হালুয়া। স্বাস্থ্য উপকারিতায় সমৃদ্ধ এবং সুস্বাদু এই বেসনের হালুয়া।
এটি দেশি ঘি দিয়ে ভাজা
হয় এবং এর একটি ভালো
স্বাদ এবং গঠন ও রয়েছে যা
বেসন বরফির কথা মনে করিয়ে দেয়।
• আর সবশেষে সবচেয়ে ভালো হালুয়া তৈরি হয় এই আমাদের ভারতে।ভারতে
অনেক ধরনের হালুয়া আছে। কিছু দেশের নির্দিষ্ট অঞ্চলের জন্য অনন্য। এটি ভারতের জনপ্রিয় মিষ্টি গুলির মধ্যে একটি,যা সাধারণত সুজি
থেকে তৈরি হয়। উপকূলীয় কর্ণাটকের ভাটকাল শহরটি তার অনন্য বা প্রসিদ্ধ কলার
হালুয়ার জন্য বিখ্যাত,যা সম্পূর্ণ কাজু,
পেস্তা,বা বাদাম দিয়ে
মিশ্রিত করা হয় অর্থাৎ তৈরি করা হয়। এখানে কিছু হালুয়ার সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করলাম। চলুন বন্ধুরা আর কথা না
বাড়িয়ে আজকের শুকনো হালুয়ার রেসিপিটি দেখে নেওয়া যাক। আপনাদের কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ
উপকরণ :-
১. আটা ১ কিলো
২. চিনি ৪০০ গ্ৰাম
৩. এলাচ১০গ্ৰাম
৪. ঘি৩৫০গ্ৰাম
৫. দারুচিনি১০গ্ৰাম
৬. কাজুবাদাম২০০গ্ৰাম
৭. কিসমিস১০০গ্ৰাম
৮. কপূর২চিমটে
৯. নারকেলভাজা১০০গ্ৰাম
১০. তেজপাতা৪টি
কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -
প্রথম ধাপ :- প্রথমে আটা চেলে ১টা এলাচ ও দারুচিনি পৃথকভাবে
পাউডার করে নিন। তারপর কিসমিস ভালো করে পরিস্কার করে নিন। তারপর নারকেল পাতলা ও ছোট ছোট
করে টুকরো করে কেটে নিন। এবার একটি কড়াই নিন, সেই কড়াইটি উনানে বসান, কড়া গরম হলে অল্প একটু ঘি দিয়ে কাজুবাদাম
ভেজে তুলে নিন তারপর নারকেল দিন এটিকে ও অল্প ভেজে
তুলে নিন। এবারে কড়াইতে ঘি দিন, তারপর
তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে আটা ঢেলে দিন। অল্প আঁচে ভাজতে ভাজতে আটা যখন লাল হবে এবং সুগন্ধ বের হবে তখন নামিয়ে চিনি ঢেলে আরও কিছুক্ষণ নাড়ুন। এতে চিনি আটার সাথে মিশে যাবে। এবার ভাজা আটার সাথে নারকেল, কাজুবাদাম, কিসমিস ও এলাচ পাউডার,
কপূর একসাথে মিশিয়ে ঢেকে রাখুন। ঠাণ্ডা হলে খেতে দেবেন।
এই হালুয়াতে যেন জল না লাগে
এদিকে একটু খেয়াল রাখবেন। এটা ইচ্ছে করলে কৌটোতে ১ মাস রাখা
যেতে পারে।