ক্যাপসিকামের মোগলাই পরোটা। ক্যাপসিকামের কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা সর্ম্পকে জানানোর চেষ্টা করলাম।
একটি ছোট্ট টিপস :-
নানা রঙের ক্যাপসিকাম দেখতে পাওয়া যায়, আর এগুলি যেমন দেখতে তেমনি চমৎকার, আর গুলির পুষ্টিগুণে ও অনন্য। পুষ্টির পাওয়া হাউস হিসেবে গণ্য করা হয় এই ক্যাপসিকাম বা বেল পেপারকে। এগুলি কাঁচা খেলে ও অনেক উপকার হয় শরীরে। নুডলস, চাউমিন, কিংবা স্যালাডে মিশিয়ে ও খাওয়া যায় এই ক্যাপসিকামকে। তেলে ও হালকা নেড়ে নিয়ে ও খেতে পারেন। তবে বেশিক্ষণ রান্না করলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
ক্যাপসিকামে কি কি উপাদান রয়েছে :-
• কার্বোহাইড্রেট
• প্রোটিন
• ক্যালোরি
• পটাশিয়াম
• ফোলেট
• ভিটামিন - কে ১
• ভিটামিন - বি ৬
• ভিটামিন - সি
• ভিটামিন - ই
• ফাইবার
• আয়রন
• ক্যালসিয়াম
• কপার
• ম্যাংগানিজ
• অ্যামিনো অ্যাসিড
• অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
• ইত্যাদি
ক্যাপসিকাম খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়:-
১. এই ক্যাপসিকামে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। এতে কার্বোহাইড্রেট তুলনামূলক ভাবে কম থাকে।আর ফাইবারের
একটি চমৎকার উৎস হিসেবে কাজ করে এই সবজিটি। ফলে
শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত খান এই ক্যাপসিকাম।
২. ক্যাপসিকামে উদ্ভিদ যৌগের উৎস। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি -ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে এতে। উদ্ভিদ যৌগে থাকে ফ্ল্যাভোনয়েডস, ভিটামিন- সি,ফেনোলিক যৌগ
এবং ক্যারোটিনয়েডের মতো উপাদান। এগুলি বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে আমাদের শরীরকে।
৩. এই ক্যাপসিকামে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
বিশেষ করে লাল ক্যাপসিকামে ভিটামিন সি থাকে অনেক
বেশি।এর কারণে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৪. ক্যাপসিকামে ক্যালোরি কম, কিন্তু ফাইবার বেশি। তাই ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে এই সবজিটি। তাই
নিয়মিত এই সবজিটি খেতে
পারেন।
৫. দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে এই বেল পেপার।
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, উপকারী এই সবজিতে থাকা
ক্যারোটিনয়েড ছানি এবং ম্যাকুলার অবক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৬. ক্যাপসিকামে থাকা ক্যাপসাইসিন উপাদানটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে বলে দাবি গবেষকদের। এছাড়াও ক্যাপসাইসিন স্থূলতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৭. রক্তাল্পতার কারণে রক্তের অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা কমে যায়।রক্ত শূন্যতার কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো আয়রনের ঘাটতি। ক্যাপসিকাম শুধু আয়রনেরই চমৎকার উৎস নয়, পাশাপাশি এটিতে রয়েছে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।এই ভিটামিনটি অন্ত্র থেকে আয়রনের শোষণ বাড়ায়।
ক্যাপসিকাম খাওয়ার কিছু অপকারিতা :-
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা ক্যাপসিকাম খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু আবার অনেকেই দেখা যায় অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাপসিকাম খেয়ে থাকেন। মোটেও এই কাজ করা
যাবে না বা করা
উচিত ও নয়। ক্যাপসিকামের
মধ্যে যেমন রয়েছে উপকারিতা তেমনি রয়েছে অপকারিতা। এবং অতিরিক্ত ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে শরীরে ক্ষতি বেশী হয়। তাই আমরা নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণে ক্যাপসিকাম খাওয়া উচিত, যাতে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
দিক গুলোর মুখোমুখি না হতে হয়।
চলুন ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে কি কি ক্ষতি
হতে পারে তার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
• ক্যাপসিকাম এর মধ্যে রয়েছে
এলার্জি জনিত রোগের সমস্যা। তাই যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে, এবং ক্যাপসিকাম খেলে এলার্জি হয়, তাদের ক্যাপসিকাম খাওয়া থেকে দূরে থাকাই ভালো।
• অতিরিক্ত ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে মানুষের শরীরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
• আপনি যদি অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে ক্যাপসিকাম খান তাহলে পেটে ব্যথা ও ডায়রিয়া হতে
পারে।
• একটি কথা সবসময় মাথায় রাখবেন যে,কোন খাবার
নির্দিষ্ট পরিমাণে খেলে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না।আর যদি পরিমাণ থেকে অতিরিক্ত খাওয়া হয় তাহলে শরীরের ক্ষতি বেশী হয়।
চলুন আর কথা না
বাড়িয়ে আজকের ক্যাপসিকামের মোগলাই পরোটা রেসিপিটি দেখে নেওয়া যাক।
ডিসক্লেইমার :- ওপরের উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতিতে পরামর্শ স্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পদ্ধতি আর ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন অথবা কথা বলুন, সেই নিয়ম মতো মেনে চলুন।