মাছের ডিমের পকোড়া। এখানে মাছের ডিমের কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা সর্ম্পকে জানানোর চেষ্টা করলাম।Fish Egg Pakora।

 

মাছের ডিমের পকোড়া। এখানে মাছের ডিমের কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা সর্ম্পকে জানানোর চেষ্টা করলাম।




মাছের ডিমের পকোড়া



একটি ছোট্ট টিপস :-

বর্ষাকাল হোক কিংবা যে কোন সময়ে মাছ খেতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ বোধ হয় খুঁজে পাওয়া মুশকিল।আর এখানে মাছের কথা এলে প্রথমে বাঙালিদের জীবহে জল আসে,সে যে কোন মাছ হতে পারে।মাছ স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী,তা হয়তো কমবেশি সকলেরই জানা। মাছের পুষ্টিগুণ (Fish Health Benefits) সম্পর্কে আমরা জানলেও এর ডিমের (Fish Eggs) উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই বিশদে জানা থাকে না। তাই এখানে কিছুটা জানানোর চেষ্টা করলাম।আর বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাছের মতো মাছের ডিমেও রয়েছে অনেক উপকারিতা (Fish Eggs Health Benefits)। মাছের ডিমে এমন কিছু উপাদান ও পুষ্টিগুণ রয়েছে,যা শরীরের অনেক সমস্যা দূর করে। চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক, মাছের ডিম আমাদের স্বাস্থ্যের উপর কি কি প্রভাব ফেলে।




মাছের ডিম




মাছের ডিমের কিছু উপকারিতা :-

• বিশেষজ্ঞদের মতে, মাছের ডিমে থাকা এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্ককে ভালো রাখে।

 গবেষকদের মতে,মাছ মাছের ডিমে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিসের লক্ষণ গুলো কমায়।

মাছের ডিমে রয়েছে ভিটামিন- ,যা চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।

মাছের ডিমে থাকা স্বাস্থ্যকর উপাদান গুলো রক্ত পরিষ্কার করে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়,যা অ্যানিমিয়া থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

 মাছের ডিমে থাকা ভিটামিন -ডি, যা হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মাছের ডিম হার্টের রোগীদের জন্য উপকারী। এতে থাকা ওমেগা- থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন -ডি, বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

  মাছের ডিমে থাকা ওমেগা- থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধতে বাঁধা দেয়। ফলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।

এই মাছের ডিমে থাকা উপকারী উপাদান বয়সজনিত সমস্যা দূর করে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই মাছের ডিম। যাদের হাইপারটেনশনের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী স্বাস্থ্যকর।



মাছের ডিমের কিছু অপকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া  :-

• যেমন মাছের ডিমে গুন রয়েছে তেমনি বিপরীত দিক ও রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়ই বহু মানুষের অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয় এই মাছের ডিম থেকে। মাছের ডিম থেকে অ্যালার্জি দেখা গেলে, সেগুলি হলো ত্বকের নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বকে চুলকানি সমস্যা দেখা দেওয়া থেকে, মাথা যন্ত্রণা, মাথা ঘোরা, দুর্বলভাব দেখা দিতে পারে। তাই যাদের বিভিন্ন খাবারে অ্যালার্জির সমস্যা থাকে বা রয়েছে, তাদের অবশ্যই মাছের ডিম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া দরকার। প্রয়োজন পড়লে এই মাছের ডিম থেকে এড়িয়ে চলুন।




ডিসক্লেইমার : - ওপরে মাছের ডিমের বিষয়ে কয়েকটি উপকারিতা ও অপকারিতা গুলি জানানোর চেষ্টা করলাম। আর ওপরের সব তথ্য গুলি সঠিক নাও হতে পারে।তাই আপনারা একবার নিজেরাও যাচাই করে দেখে নেবেন। আর প্রয়োজন পড়লে বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকের পরামর্শ করুন অথবা কথা বলুন।সেই নিয়ম মতো মেনে চলুন।






যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-

১. পোনা মাছের ডিম ২৫০ গ্ৰাম

২. রসুন ৪ কোয়া

. পেঁয়াজ ১০০ গ্ৰাম

. আদা ৭০ গ্ৰাম

. কাঁচা লঙ্কা টে

. ধনেপাতা আধ আঁটি

. পাউরুটি টে স্লাইস

. শুকনো লঙ্কা টি

. জিরে চা -চামচ

১০. দারচিনি টি

১১. ছোট এলাচ টি

১২. লবঙ্গ টি

১৩. বিস্কুটের গুঁড়ো আন্দাজমতো

১৪. তেল পরিমাণমতো

১৫. নুন পরিমাণমতো





মাছের ডিমের পকোড়া




কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -

প্রথম ধাপ :- প্রথমে জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা আর গরমমশলা একসাথে শুকনো খোলায় সেঁকে গুঁড়ো করে রাখুন। এবারে মাছের ডিম ভালো করে ধুয়ে নুন মাখিয়ে অল্প তেলে ভেজে ঠাণ্ডা হলে বেটে নিন। এরপর একটি কড়াই নিন, সেই কড়াইতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে আধ ভাজা হলে তাতে ডিম বাটা দিয়ে মিনিট খানেক নেড়ে তাতে ধনেপাতা, নুন ও ভাজা মশলা দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। এরপর চার স্লাইস পাউরুটি টি নুন জলে ভালো করে ভিজিয়ে, তারপর সেই জল চেপে ভালো করে ঝরিয়ে, ডিমের সাথে ভালো করে চটকে নিয়ে এই ভাবেই খানিকক্ষন করে নিয়ে, সেগুলিকে চপের আকারে গড়ে বা গোল গোল পকোড়ার আকারে গড়ে নিয়ে, সেগুলিকে বিস্কুটের গুঁড়ো মাখিয়ে, সেগুলিকে গরম তেলে এক এক করে ভালো করে ভেজে তুলুন।ব্যস এই করে ফেলুন মাছের ডিমের পকোড়া। 
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.