মুলোর শুক্তো। মুলোর কিছু উপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করলাম।Muloor Sukto

 

মুলোর শুক্তো। মুলোর কিছু উপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করলাম।





মুলোর শুক্তো




একটি ছোট্ট টিপস :-

মুলোর নাম শুনলেই বেশিরভাগ মানুষই মুখ কুঁচকে ফেলেন। আসলে এর কারণ হলো গন্ধের জন্য,এই গন্ধের জন্য অনেকের কাছে অপচ্ছন্দ। আবার কারো কারো কাছে এটি অনেক পচ্ছন্দের সবজি। কিন্তু যারা এই সবজিটিকে অবহেলা করছেন। সেই মুলো কিন্তু অনেক উপকারি। কিন্তু অতিরিক্ত খেলে আবার মহাবিপদ। আয়ুর্বেদ অনুসারে, আপনি যদি আপনার ডায়েটে মুলো রাখতে পারেন তবে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। যেমন পেটে ব্যথা এবং গ্যাসের মতো সমস্যা হবে না।
মুলোর যেমন অনেক উপকারিতা রয়েছে, তেমনি অতিরিক্ত মুলো খেলে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পরিমাণমতো খাওয়া উচিত।









তাহলে চলুন মুলোর কিছু উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক:-

• হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়:- এই সবজিটিতে রয়েছে 'অ্যাথোসায়ানিন' নামক একটি উপাদান,যা শরীরে প্রবেশ করার পর হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। অর্থাৎ হার্টের ক্ষমতা বেড়ে যায়। এরফলে কোন ও ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হত্তয়ার আশঙ্কা প্রায় কমে যায়।

• ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায় :- একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে বা প্রমাণিত হয়েছে যে, নিয়মিত মুলোর রস খাওয়া শুরু করলে শরীরে ভিটামিন সি, এবং ফসফরাসের মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে,এর ফলে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।আর একাধিক ত্বকের রোগ থেকে বাঁচায়।

• ইমিউনিটির ভালো করে :- মুলা এবং তার পাতায় উপস্থিত আয়রন এবং ফসফরাস শরীরে প্রবেশ করার ফলে দেহের অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে।আর সেই সঙ্গে শারীরিক ক্লান্তি ও দূর করে।

• কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে :-  আসলে এতে উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরী উপাদান হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।

• রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে :- মুলার রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম,যা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

• ভিটামিনের ঘাটতি দূর করে :- একাধিক স্টাডিতে পাওয়া গেছে যে, নিয়মিত মুলোর পাতা খাওয়া শুরু করলে দেহের ভিতরে নানা রকম ভিটামিনের পরিমাণ যেমন বাড়তে থাকে, তেমনি আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি ও দূর করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই দেহের উন্নতি ঘটে।আর শরীরের মধ্যে ক্ষতিকর টক্সিক বের করতে সাহায্য করে। যেমন ব্লাডার, কিডনি, প্রস্টেট এ জমে থাকা ক্ষতিকর উপাদান গুলিকে ও পরিস্কার করতে সাহায্য করে।



মুলার কিছু অপকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া :- 

অতিরিক্ত মুলা খেলে যে বিপদ হতে পারে সেগুলি হলো

  মুলা অতিরিক্ত খেলে কিডনি স্টোনের সমস্যা হতে পারে।

• অতিরিক্ত মুলা খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

• গ্যাস, বদহজম, বমির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত মুলা খেলে।

• অতিরিক্ত মুলা খাওয়ার ফলে থাইরয়েডের মতো সমস্যা বাড়তে পারে। তাই মুলা খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন।

• ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে এই মুলা।

• ব্লাড সুগারের রোগীদের বেশি পরিমাণে মুলা খাওয়া চলবে না।

চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের মুলোর শুক্তো রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।



ডিসক্লেইমার :- ওপরের উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতিতে পরামর্শ স্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পদ্ধতি আর ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন অথবা কথা বলুন, সেই নিয়ম মতো মেনে চলুন।






যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-

১. মুলো ২ টি

২. শিম ১০ থেকে ১২ টি

৩. বেগুন ১ টি

৪. ছোট একটি মালা নারকেল কোরা

৫. আলু ৪ টি

৬. সরষে ৩ চামচ

৭. বড়ি ১২ থেকে ১৪ টি

৮. আদা বাটা ১ চামচ

৯. ধনে পরিমাণমতো

১০. পাঁচফোড়ন পরিমাণমতো

১১. দুধ ১ কাপ

১২. তেজপাতা ২ টি

১৩. তেল বা ঘি ৬ থেকে ৭ চামচের মতো

১৪. চিনি আন্দাজ মতো

১৫. নুন পরিমাণমতো




মুলোর শুক্তো




কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -

প্রথম ধাপ :- প্রথমে একটি কড়াই নিন, সেই কড়াইতে তেল গরম করুন, তেল গরম হলে তাতে বড়ি ভেজে তুলে রাখুন। এরপর মুলোর খোসা ছাড়িয়ে লম্বালম্বি করে কাটুন।বাকি অন্যান্য আনাজ গুলি একই ভাবে কাটুন। এবারে কড়াইতে মুলো ও আলু দিয়ে কম আঁচে চাপা দিয়ে মিনিট পাঁচেক রান্না করুন। তারপর অন্য আনাজ দিয়ে নাড়াচাড়া করে চাপা দিন। এরপরে ধনে, সরষে বাটা জলে গুলে ছেঁকে মশলার জল হিসেবে কড়াইতে ঢেলে দিন। তারপর আনাজ সেদ্ধ হয়ে এলে নুন দিয়ে অন্য পাত্রে ঢেলে রাখুন।

দ্বিতীয় ধাপ :- এবার সমপরিমাণ পাঁচফোড়ন ও সরষে শুকনো শিলে আধবাটা করে নিন। এরপর একটি কড়াই নিন, সেই কড়াইতে ঘি অথবা তেল গরম করে তেজপাতা, সরষে, পাঁচফোড়ন, আদা বাটা দিয়ে তরকারি ঢেলে দিন। এতে নারকেল কোরা ও আন্দাজ মতো চিনি দিয়ে ফুটতে দিন। কিছুক্ষণ ফোটান, তারপর নামাবার আগে দুধ দিয়ে নামিয়ে নিন।ব্যস এটি এবার খাওয়া জন্য প্রস্তুত।এই ভাবেই তৈরি করে ফেলুন বাড়িতেই মুলোর শুক্তো। খুব কম সময়ের মধ্যে তৈরি করতে পারবেন এই মুলোর শুক্তো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে এই রেসিপিটি। 
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.