ছুটির দিনে ব্রেকফাস্টে এই "খাস্তা কচুরি" খেতে জমে যাবে।
একটি ছোট্ট টিপস :-
• সাধারণত আমরা নিরামিষ রান্নায় হিং ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু প্রতিদিন যে কোন রান্নায়
সামান্য একটু করে যদি হিং ব্যবহার করা যায় তাহলে বাতের ব্যথায় উপশম হবে।আর নটে শাক, পালং শাক,কলমিশাক রান্না করবার সময় একটু হিং এর জল দেবেন।আর
শীতকালে হিং এর কচুরি খেতে
খুবই ভালো লাগে।
• আর এই হিং এর
বৈজ্ঞানিক নাম হলো Ferula assa-foetida।
• বিশ্বের অনেক অঞ্চলে এই হিং খাদ্য
একটি স্বাদের এজেন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়।আর বিভিন্ন রোগের প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই গাছটি মধ্য
এশিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে আছে, বিশেষ করে ইরাক, তুরস্ক, পশ্চিম আফগানিস্তানে পাওয়া যায়।আর হিং এর প্রজাতি ও
অনেক রকমের রয়েছে। যেগুলো কমবেশি ইউরোপ এবং উওর আফ্রিকায় পাওয়া যায়।
• এই হিং এর গন্ধ তীক্ষ্ম
হয়, অবিরাম গন্ধ ও করে। এটি
এখন ভারতীয় রান্নায় একটি সাধারণ উপাদান হিসেবে গণ্য করা হয়।আর এই হিং এর
ব্যবহার পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভারতেই ব্যবহৃত হয়। আর শতাংশ হিসেবে
যদি বলা হয় তাহলে ১০০% শতাংশের মধ্যে ৭০% শতাংশই ভারতের ব্যবহৃত হয়।এই গাছের আঠা মূলত বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।আঠাটি ও সুগন্ধি যুক্ত
হয়।
হিং এর কিছু পুষ্টিগুণ অর্থাৎ কি কি পুষ্টিগুণ উপাদান রয়েছে সেগুলি হল :-
কার্বোহাইড্রেট -৬৮%, প্রোটিন -৪%,তন্তূ-৪%, চর্বি -১%, খনিজ পদার্থ -৭%,আরো বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে।
হিং এর কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে জানবো :-
• হার্টের জন্য উপকারী
• রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে
• ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
• হজমে সাহায্য করে
• এই হিং ব্যথা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি দেয়
হিং এর কিছু অপকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া :-
• এই হিং যদি বেশি পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে মুখ ফুলে যেতে পারে
• এই হিং অতিমাত্রায় খাওয়া ফলে হজমের সমস্যা হতে পারে, যেমন পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া, এবং মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে।
চলুন আর কথা না
বাড়িয়ে আজকের রেসিপিটি খাস্তা কচুরি দেখে নেওয়া যাক।
ডিসক্লেইমার : - ওপরে হিং এর ব্যবহারের বিষয়ে
কয়েকটি উপকারিতা ও অপকারিতা গুলি
জানানোর চেষ্টা করলাম। আর ওপরের সব
তথ্য গুলি সঠিক নাও হতে পারে।তাই আপনারা একবার নিজেরাও যাচাই করে দেখে নেবেন।