কাঁচকলার শুক্তো।কাঁচকলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানানোর চেষ্টা করলাম।
একটি ছোট্ট টিপস :-
পাকা কলার উপকারিতার কথা সকলেই জানি। আর পাকা কলার গুন ও কমবেশি সকলেই জানেন।কিন্তু, কাঁচা কলারও যে এত গুণ তা অনেকেরই জানা নেই, তাহলে আসুন আজকে কাঁচকলার গুনের কিছু কথা জেনে নেওয়া যাক। আসলে কলা গাছের প্রায় সব অংশেরই দারুণ উপকার রয়েছে মানবশরীরে।কলা গাছের কমবেশি সকল অংশই বেশ উপকারী, তাহলে উপকারের কিছু জেনে নেওয়া যাক।
কাঁচা কলা খাওয়ার উপকারিতা কী :-
• কাঁচা কলাতেও প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, কাঁচাকলা খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই হ্রাস হয়।
• কাঁচা কলায় থাকে এনজাইম, যা ডায়েরিয়া এবং পেটের নানা সংক্রমণ দূর করে। তাই ডায়রিয়া হলে চিকিৎসকেরা কাঁচা কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন।
• হজমের সমস্যা কিংবা পেট খারাপেও খুব ভাল কাজ করে কাঁচা কলা। কাঁচা কলা সেদ্ধ করে লবণ দিয়ে খেতে পারলে তা শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
• কাঁচা কলায় রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি৬ ও ভিটামিন-সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফেট রয়েছে।
• কাঁচা কলা অনেক ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক। কাঁচা কলায় উপস্থিত ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করতে সহায়ক। কাঁচা কলা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর।
• কাঁচা কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা না বাড়িয়ে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা নিশ্চিন্তে কাঁচা কলা খেতে পারেন। শরীর ও স্বাস্থ্য দুটোই থাকবে ভাল।
কাঁচকলার কিছু অপকারিতা :-
• যেমন কাঁচকলার উপকারিতা রয়েছে তেমনি তার অপকারিতা ও রয়েছে।আর যাদের এই সবজিটিতে কোন রকম অ্যালার্জি রয়েছে, তারা এই সবজি খাওয়া থেকে দুরে থাকুন।আর যদি খাওয়ার ইচ্ছে করে তাহলে বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ করেই খাবেন।
চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের কাঁচকলার শুক্তো রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।
• বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁচকলা বেশি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস পেতে পারে। ফলে এনার্জির পরিমাণ কমে যেতে পারে। যাঁরা ডায়াবেটিসের ওষুধ খান, তাঁদের এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়। না হলে রক্তে সুগারের মাত্রা অনেকটা কমে যেতে পারে। এককথায় বলা যেতে পারে যে কোন জিনিস পরিমাণ মতো খেলে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না, তবে পরিমাণের থেকে বেশি খেলে তা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই যে কোন জিনিস পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-
১. কচি কাঁচকলা ৪ টি
২. কালোজিরে আধ চা -চামচ
৩. পাঁচফোড়ন ১ চিমটে
৪. চিনি আধ চা -চামচ
৫. হলুদ গুঁড়ো ১ চিমটে
৬. সরষের তেল ১ চা -চামচ
৭. আদা বাটা ১ চা -চামচ
৮. কাঁচালঙ্কা ১ থেকে ২ টি
৯. নুন অল্প পরিমাণে