আজকে দেখাবো স্পেশাল 'লাউ চিংড়ি' কি ভাবে বাড়িতে করবেন?
একটি ছোট্ট টিপস :-
ঘরোয়া পদ্ধতিতে নাক বন্ধ দূর করার কিছু উপায় -
• জলের গরম ভাপ নিন:- একটি গামলায় গরম জল নিন এবং এতে কিছুটা কপূর মিশিয়ে নিন। আপনার মুখ এর উপরে রেখে একটি বড় ও মোটা তোয়ালে দিয়ে মাথা ও জল সহ গামলাটি ঢেকে দিন যাতে গরম জলের ভাপটা সরাসরি আপনার নাকে যায়। গরম জলের তাপমাত্রাটা এমন হতে হবে যেন আপনার ত্বকের জন্য সহনীয় হয়। এবার ওই জলের মধ্যে শ্বাস নিন।এই ভাবে কিছুক্ষণ শ্বাস নিলে গরম বাতাস নাকের ভেতরের শ্লেষ্মাকে গলে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে। আবার এটি ও করা যেতে পারে, হালকা উষ্ণ গরম জল (যতটা শরীরে সহ্য করতে পারে )দিয়ে স্নান করলে ও একই রকম উপকার পাওয়া যায়।
• বেশি বেশি তরল খাবার খান :- জল,জুস,সূপ ইত্যাদি তরল জাতীয় খাবার বার বার খেলে নাকের ভেতরে শ্লেষ্মাকে পাতলা করে, সাইনাসের উপর চাপ কমে এবং চাপ কমা মানে প্রদাহ ও যন্ত্রণা কমা।নাক বন্ধের সাথে যদি গলা ব্যথা ও থাকে তাহলে গরম চা ও গরম সূপ খেলে ব্যথা অনেকক্ষানি কমে যায়। অতিরিক্ত ঠাণ্ডা জাতীয় জিনিসের কাছ থেকে দূরে থাকুন, অর্থাৎ ফ্রিজের ঠাণ্ডা জিনিসের কাছ থেকে দূরে থাকুন এই নাক বন্ধ থাকার সময়।যত পারবেন অতিরিক্ত ঠাণ্ডা জাতীয় জিনিসকে এড়িয়ে চলুন।
• কালোজিরার ঘ্রাণ নিন :- একটা ছোট রুমালে অথবা ছোট পরিস্কার কাপড়ে কিছু কালোজিরা নিয়ে ছোট্ট পুঁটুলি তৈরি করুন। পুঁটুলিটা হাতের তালুতে নিয়ে কিছুক্ষণ ঘষে গরম করে নিন। তারপর এটা নাকের কাছে নিয়ে শ্বাস নিন।এই ভাবে করার মাধ্যমে দেখবেন অনেকক্ষানি উপকার পাবেন।আর এই কালোজিরার তীব্র গন্ধ নাক পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।আর যদি আপনার কালোজিরাই কোন প্রকার এলার্জি থাকে তাহলে এটি করবেন না বা এড়িয়ে যেতে পারে।
কয়েকটি পয়েন্ট :-
• ঘুমানোর সময় মাথা যথা সম্ভব উঁচু বালিশে রেখে ঘুমান।
• যতবার প্রয়োজন হয় নাক পরিষ্কার করে ফেলুন এবং এর জন্য হাতের কাছে টিস্যু রাখুন।
• গন্ধহীন টিস্যু ব্যবহার করুন।
• মসলা যুক্ত খাবার বর্জন করুন। যতটা পারবেন হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। বেশি মসলা যুক্ত খাবার শরীরের পক্ষে ও ভালো নয়।
• অতিরিক্ত ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার বা জিনিসের কাছ থেকে দূরে থাকুন।
• পারলে ঘুমানোর সময় অল্প পরিমাণে কাঁচা সরষের তেল নাকে এবং মাথার তালুতে ও পায়ের তালুতে অল্প পরিমাণে লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন।এটির ফলে আপনি অনেকক্ষানি উপকার পাবেন।আর সরষে তেলের গুনাগুন আশা করি আপনারা সকলেই জানেন।
• যদি উল্লেখিত পদ্ধতি গুলো অনুসরণের পর ও নাক বন্ধ ভালো না হয় তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন অথবা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-
১. চিংড়ি ২৫০ গ্ৰাম
২. লাউ ৫০০ গ্ৰাম
৩. রসুন বাটা ৫ কোয়া
৪. পেঁয়াজ বাটা ২ টি
৫. হলুদ গুঁড়ো আধ চামচ
৬. আদা বাটা ১ চামচ
৭. গরমমশলা গুঁড়ো পরিমাণমতো
৮. লঙ্কা গুঁড়ো ১ চামচ
৯. তেজপাতা পরিমাণমতো
১০. চিনি ১ চামচ
১১. সরষের তেল ১০০ থেকে ১৫০ গ্ৰামের মতো
১২. নুন প্রয়োজনমতো
কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -
প্রথম ধাপ :- প্রথমে লাউয়ের খোসা ফেলে কুচো কুচো করে কেটে সামান্য নুন ও হলুদ দিয়ে আধ কাপ জলে ভাপিয়ে নিন। এরপর মাছের খোসা ছাড়িয়ে অর্থাৎ ফেলে পরিস্কার করে ধুয়ে রাখুন। এবার একটি কড়াই নিন, সেই কড়াইতে তেল গরম করে তাতে তেজপাতা ও গরমমশলা দিন। এরপর বাকি সব মশলা ছেড়ে কষুন। দেখবেন সুগন্ধ বেরোলে মাছ দিয়ে সামান্য নাড়াচাড়া করে লাউ দিন।ফুটলে নুন ও চিনি মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে পুরো সেদ্ধ করুন।এই ভাবে কিছুক্ষণ করার পর, প্রয়োজন পড়লে সামান্য জল দিতে পারেন। দেখবেন জল মরে পুরো সেদ্ধ হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এটি কিন্তু ঘন হবে। ঝোল থাকবে না। এটি মাখো মাখো হবে।ব্যস এই ভাবেই তৈরি করে ফেলুন বাড়িতেই 'লাউ চিংড়ির' এই রেসিপিটি।