আজকে দেখাবো গোয়ার একটি প্রসিদ্ধ পদ যেটি হলো 'গোয়ার ফিস (চিংড়ি অথবা পমফ্রেট মাছের) কারী'।
একটি ছোট্ট টিপস :-
শরীর গরম হয়ে গেলে কি করনীয় -
গরমের সময় খাবারের দিকে একটু বেশি ও বিশেষ খেয়াল রাখতে হয় এই শরীরের দিকে।এই গরমের সময় শরীর গরম হয়ে গেলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন - মুখে ব্রণ, মুখে দানা দানা ওঠা, বমি বমি ভাব, পেটের নানা সমস্যা থেকে শুরু করে আরও বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখার জন্য তাকে ঠাণ্ডা রাখা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। আমাদের এই প্রকৃতির আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে যা আমাদের পেট ঠান্ডা করার জন্য যথেষ্ট। তবে জলের পাশাপাশি প্রাকৃতিক কিছু খাবার আছে যা আমাদের শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা করে দিবে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক খাবার গুলো কি কি।
১. ডাবের জল :- তপ্ত আবহাওয়ায় শরীর ঠিক রাখতে ডাব বা নারকেলের জলের তুলনা হয় না কারোর সাথে। বাইরে কোন কৃত্রিম অর্থাৎ কোল্ড ড্রিঙ্কস বা অন্য কোন বরফ গোল জল না খেয়ে, ডাবের জল খান। এই ডাবের জল খাওয়ার ফলে দেখবেন শরীর নিজে নিজেই ঠান্ডা হয়ে গেছে। প্রাকৃতিকের কাছে কোন কৃত্রিম জিনিস চলে না।
২. শশা :- এই শশা শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা করে থাকে। গোটা শশা হোক বা সালাড এটি গরমের সময় খুব উপকারী। গরমের সময় এমনি প্রতিদিন শশা খান। এটি শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে ভিতর থেকে ঠান্ডা করে থাকে।
৩. পুদিনা পাতা :- গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে পুদিনা পাতার জুড়ি নেই। প্রতিদিন এক গ্লাস পুদিনা পাতার রস পান করুন,এর ফলে আপনার শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা হবে বা থাকবে।
৪. ডালিম :- নিয়মিত ডালিমের রস খেলে শরীরে জলের ঘাটতি হয় না এবং শরীর প্রাকৃতিক ভাবে ঠান্ডা হয়।আর ডালিম খেলে শরীরে রক্ত হয়।
৫. জিরা বা মৌরি :- রাতে কিছুটা জিরা বা মৌরি ভিজিয়ে রাখুন, সকালে উঠে পান করুন। এটি সারাদিন শরীর ঠান্ডা রাখবে।
৬. একটি কথা সবসময় মাথায় রাখবেন যে কোন খাবার বা পানীয় পরিমাণমতো খেলে শরীরের উপকার পাবেন আর যদি পরিমাণ থেকে বেশি খান তাহলে শরীরের ক্ষতি হবে।
কয়েকটি পয়েন্ট :-
• গরমে বেশি তেল ও মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
• শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য লবন ও চিনি দেয়া লেবুর শরবত, ডাবের জল, দইয়ের ঘোল খেতে পারেন।
• রাস্তায় কাটা ফল বা ফলের রস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।পারলে টাটকা ফল খেতে পারেন।
• পেট পরিষ্কার রাখতে বেশি পরিমাণে জল ও শাক সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
• গরমে রাতে হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।সালাড বেশি পরিমাণে খান।
• শরীরের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে প্রাণিজ প্রোটিন না খেয়ে,উদ্ভিজ প্রোটিন খাওয়ার চেষ্টা করুন।আর যদি অ্যাসিডিটি না থাকে তাহলে ডাল খেতে পারেন।আর যদি ডালকে রান্না করার আগে পাঁচ থেকে দশ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে পারেন, তবে ডাল থেকে অ্যাসিডিটি হত্তয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন আজকের রেসিপিটি দেখে নেওয়া যাক 'গোয়ার ফিস কারী'। বন্ধুরা কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-
১. হাফ কেজি প্রণ(চিংড়ি) অথবা একটি মাঝারি সাইজের পমফ্রেট মাছ (গোটা ও দিতে পারেন অথবা পিষ করে ও দিতে পারেন)
২. নারকেল কুরানো অর্ধেক মালা
৩. ২ টি মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ কুচানো
৪. ৩ টি লম্বালম্বি চেরা কাঁচালঙ্কা
৫. ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ তেল
৬. জিরে গুঁড়ো হাফ চা -চামচ
৭. হলুদ গুঁড়ো হাফ চা -চামচ
৮. রসুন ৪ কোয়া
৯. দেড় ইঞ্চি লম্বা আদার টুকরো
১০. একটি তেঁতুলের ছোট সাইজের বল করে নিয়ে হাফ কাপ জলে ভিজিয়ে কাই করে নিতে হবে
১১. নুন পরিমাণমতো
কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -
প্রথম ধাপ :- প্রথমে নারকেল কোরা গরম জলে ভিজিয়ে ঘন দুধটা বের করে নিতে হবে। এরপর ছিবড়া গুলো আবার গরম জলে ভিজিয়ে দ্বিতীয় প্রস্থ নারকেল দুধ বের করে নিন। এবার ছিবড়া গুলো ফেলে দিন, ছিবড়া গুলো আর কোন প্রয়োজন নেই। এবারে একটি প্যান নিন, সেই প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ ভাজুন দু'বার। দ্বিতীয় প্রস্থ নারকেল দুধ, কাঁচালঙ্কা,জিরের গুঁড়ো, হলুদ, রসুন ও আদা এতে মেশান ফুটতে শুরু করলে মাছ এবং ঘন নারকেলের দুধ ঢেলে দিন। এবারে আঁচ কমিয়ে রান্না করুন, যতক্ষন না মাছ সেদ্ধ হয় এবং গ্ৰেভিটা ঘন হয়ে আসে। এবার তেঁতুলের কাই এবং নুন মিশিয়ে আরও আট থেকে দশ মিনিট আঁচে রাখুন। এরপর নামিয়ে নিন।ব্যস এই ভাবেই তৈরি করুন এই 'গোয়ার ফিস কারী' পদটি। এবার গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।আর এই পদটি খুব কম সময়ের মধ্যে তৈরি করতে পারবেন। বন্ধুরা একবার বাড়িতে ট্রাই করে দেখতে পারেন।