আজকে জানাবো দক্ষিণ ভারতের একটি প্রসিদ্ধ পদ বা রেসিপি যার নাম হলো 'পালং মাশরুম'।
একটি ছোট্ট টিপস :-
রাত্রে অনিদ্রা কাটানোর ও দূর করার ঘরোয়া কয়েকটি ছোট্ট উপায় -
যারা অনিদ্রায় ভোগেন তারাই শুধুমাত্র বুঝতে পারেন এর যন্ত্রণা কতোটা বেশি।সারা রাত শুধু এপাশ ওপাশ করে কাটিয়ে দেন ঘুমের আশায়। কিন্তু ঘুমের আর দেখা মেলে না। আবার অনেকে ডাক্তারের পরামর্শে স্লিপিং পিলের সহায়তা নিয়ে থাকেন ঘুমের জন্য। আবার অনেকে বিনা প্রেসক্রিপশনে স্লিপিং পিল খেয়ে থাকেন। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই হোক আর বিনা প্রেসক্রিপশনেই হোক না কেন স্লিপিং পিলের রয়েছে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই ঘুম না আসার কারণে স্লিপিং পিল খেয়ে অন্য দিকে স্বাস্থ্যহানি করার কোন প্রয়োজন নেই।এর চাইতে নজর দিন প্রাকৃতিক জিনিস বা উপাদানের উপর,যা শরীরের ক্ষতি তো দূরে থাক, শরীরের উপকার বেশি হবে।এমন কিছু খাবার রয়েছে যা কাজ করবে অনেকটা ঘুমের ঔষধের মতোই। জানতে চান সেই খাবার গুলো কি কি? চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক।
১. মধু :- ঘুমুতে যাওয়ার আগে মাত্র ১/২ চা চামচ মধু খাওয়ার অভ্যাস ঘুমাতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা যায় মধুর প্রাকৃতিক চিনি আমাদের দেহের ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায় এবং ট্রাইপ্টোফেন নামক হরমোন খুব সহজে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে। এতে করে ঘুমের উদ্রেক হয়।
২. দুধ :- ঘুমের ঔষধের মতো কাজ করতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী যে খাবারটি তা হচ্ছে দুধ। গবেষকগণ বলেন দুধের ক্যালসিয়াম মেলাটোনিন উৎপন্ন করে যা আমাদের দেহের ২৪ ঘন্টার ঘুম ও জেগে থাকার সাইকেলটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তাই ঘুম না আসলে ১ গ্লাস উষ্ণ গরম দুধ খেয়ে নিন। দেখবেন খুব সহজেই ঘুম চলে আসবে।
৩. হারবাল চা বা গ্ৰিন টি :- গ্ৰিন টি বা হারবাল চায়ে রয়েছে থায়ানিন যা ঘুমের জন্য বিশেষ ভাবে সহায়ক। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১ কাপ গ্ৰিন টি বা অন্য যে কোন ভালো হারবাল চা অনিদ্রা দূর করতে, ও গভীর ঘুমুতে এবং ঘুমের অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
৪. কাঠবাদাম
:- কাঠবাদামকে সুপার ফুড বলা হয়। কারণ কাঠবাদামে ভিটামিন ও মিনারেলস আমাদের নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। কাঠবাদামের মিনারেল ম্যাগনেসিয়াম ঘুমের উদ্রেক করে। অর্থাৎ ঘুম পেতে সাহায্য করে। জার্নাল অফ অর্থ মলিকিউলার মেডিসিনের একটি গবেষণায় প্রকাশিত হয়, যখন আমাদের দেহে ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা কমে যায় তখন আমাদের অনিদ্রার সমস্যা শুরু হয়, কাঠবাদাম এই ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে দেয়।
৫. কলা :- নিউট্রিশনাল বায়োকেমিস্ট শন ট্যালবট বলেন, ঘুম না আসলে একটি কলা খেয়ে নিন,কলার পটাশিয়াম মস্তিষ্ককে রিলাক্স করতে সহায়তা করে।কলার থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও আমাদের মাংসপেশী শিথিল করতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী। ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট মাইকেল ব্রেউস বলেন, ঘুমুতে যাওয়ার আগে কলা খান বা কলার স্মুদি তৈরি করে পান করুন, ঘুম আপনাআপনিই চলে আসবে।
৬. আরো অন্যান্য খাবার যেগুলি ঘুমের জন্য সাহায্য করে সেগুলি হলো যেমন ডিম, মিষ্টি আলু ইত্যাদি। এখানে জানানোর চেষ্টা করলাম ঘরোয়া পদ্ধতিতে কি ভাবে অনিদ্রা দূর করা যায় তার কয়েকটি উপায়। আর ওপরের পদ্ধতি গুলি মেনে চললে আশা করা যায় আপনার ঘুমের সমস্যাটি অনেকক্ষানি সমাধান হয়ে যাবে।আর যদি না হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।আপনাদের কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের রেসিপিটি দেখে নেওয়া যাক যা হলো 'পালং মাশরুম'।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-
১. ৪০০ থেকে ৪৫০ গ্ৰাম মাশরুম
২. রসুন ১০ টি কোয়া (রসুনের টুকরোগুলি আলাদা করে রাখবেন)
৩. আধ কাপ তেল
৪. জল ১ কাপ
৫. আধ কাপ কাজু (টুকরো করে কাটা)
এবার পেস্টের উপকরণ :-
১. ১ টি বড় সাইজের টম্যাটো
২. ১ আঁটি পালংশাক (সেদ্ধ করে নেওয়া)
৩. আদা টুকরো দেড় ইঞ্চির মতো
৪. রসুন ৮ কোয়া
৫. ১ চামচ ধনে বাটা
৬. ৬ টি কাঁচালঙ্কা
৭. নুন পরিমাণমতো
৮. গোলমরিচ স্বাদ অনুযায়ী
কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -
প্রথম ধাপ :- প্রথমে একটি কড়াই নিন, সেই কড়াইতে তেল গরম করে বাদামি করে রসুন গুলি ভাজুন। তারপর ভাজা হলে,পেস্ট করা সমস্ত উপকরণ ওর মধ্যে দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ পরে মাশরুম গুলি দিয়ে ভালো করে ভাজুন। মশলা ভাজা ভাজা হয়ে তেল বেরিয়ে আসার আগে পর্যন্ত ভাজুন। এরপর জল দিয়ে ঢাকা দিন ও দশ থেকে বারো মিনিট এই ভাবেই আঁচে রাখুন। ব্যস এবারে নামিয়ে নিন। এবারে গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন, আর ওপরে কাজুর টুকরো ছড়িয়ে দিতে পারেন।ব্যস এই ভাবেই তৈরি করতে পারেন 'পালং মাশরুম' রেসিপি বা পদটি।আর এটি খুব কম সময়ের মধ্যে তৈরি করতে পারবেন শুধুমাত্র পেস্টের জন্য যতটা সময় লাগে। বন্ধুরা বাড়িতে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।