একদম নতুন পদ্ধতিতে একটি নতুন রেসিপি যেটি হলো 'নারকেলের কিমা কাবাব'।
একটি ছোট্ট টিপস :-
ত্বকের কালো ছোপ ছোপ দাগ দূর করার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন কিছু ঘরোয়া উপায় -
সূচনা :- বেশিরভাগ সময় ময়লা, ধুলোবালি, রোদ,ও কিছু ভুল ডায়েট আর দুশ্চিন্তার কারণে আমাদের ত্বকে কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে।যা কোন ক্রিম বা লোশন দিয়ে সহজে যায় না।তবে ঠিকঠাক চিকিৎসায় ব্রণ এবং দাগের হাত থেকে মুক্তি মেলে ঠিকই। কিন্তু তার জন্য যেসব ওষুধ বা ক্রিম জাতীয় জিনিস ব্যবহার করতে হয় সেগুলি যেমন ব্যয়বহুল, তেমনি সেইসব ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় ও থেকে যায়।তবে এ বিষয়ে চিন্তা করতে নিষেধ করেছেন বিভিন্ন গবেষকরা।
আর গবেষকরা মনে করেন,এ ধরনের ত্বকের অসুবিধায় ঘরোয়া
পদ্ধতিতে চিকিৎসা খুব কার্যকরী হয়। কারণ ঘরোয়া চিকিৎসায় যে সব উপকরণ ব্যবহার করা
হয় সেগুলিতে কেমিক্যালের উপস্থিতি একেবারেই থাকে না বললেই চলে।ফলে এর থেকে ত্বকের
ক্ষতি হত্তয়ার আশঙ্কা ও থাকে না।আর এতে খুব যে বেশি টাকা খরচ হয় তাও কিন্তু নয়।এ
ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপায়ে এই দাগ দূর করতে পারেন,যার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
তাহলে চলুন আর দেরি না করে ঘরোয়া উপায়ে কি কি উপাদান দিয়ে ত্বকের দাগ দূর করবেন
তা নিন্মে দেত্তয়া হলো।
১. টকদই :- এই টকদই পুরো মুখে লাগিয়ে অত্যন্ত ৩০ মিনিট
অপেক্ষা করুন।এই ভাবেই টানা কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ ব্যবহার করতে হবে।আর এই প্যাক
দিনে অন্তত দুবার ব্যবহার করুন। এটি আপনার ত্বকের জন্য উপকারী এবং এর ফলাফল আপনি নিজেই
বুঝতে পারবেন।
২. নিমপাতা :- নিম হলো একটি ঔষধি গাছ, এই গাছের গুনাগুন
যতই করা হবে ততই কম বলে মনে হবে।এই নিম গাছের ডাল থেকে শুরু করে, পাতা,রস,সবই কাজে
লাগে।নিম গাছের কোন অংশই বাদ দেওয়া হয় না।এই গাছটি সর্বগুণ সম্পন্ন।এই নিম গাছের
পাতা কিছু পরিমাণে নিয়ে বেটে যদি ত্বকে লাগানো যায় তাহলে ত্বক খুব কোমল ও কালো দাগ
থেকে ও মুক্তি পাবেন।এই নিমের পেস্টটি ও টানা চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ ব্যবহার করতে হবে।আর
এই পেস্টটি রাত্রে শোয়ার সময় লাগালে সবথেকে ভালো হয়, আর এটি যদি না পারেন তাহলে
দুপুরে লাগালে ও চলবে।আর নিম পাতার এই বাটা যদি মাথায় উকুনের সমস্যা থাকে তাহলে মাথায়
লাগাতে পারেন। এর ফলে উকুনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
৩. হলুদ ও দুধ :- দুধ ও সামান্য লেবুর রসের সঙ্গে হলুদ
গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে লাগান। কিছুক্ষণ পরে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।এই ভাবে
সপ্তাহে অন্তত তিনদিন এই প্যাক মুখে লাগান।আর পারলে কাঁচা হলুদ খান, এতে আপনার ভেতর
থেকে ত্বক উজ্জ্বল ও পরিস্কার হবে।
৪. নারকেল তেল :- নিয়মিত মুখে নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ
করলে কালো ছোপ ছোপ দাগ সহজেই দূর হবে। যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয়, তাহলে নারকেল তেল
ব্যবহার করবেন না।
৫. চন্দনের গুঁড়ো :- চন্দনের গুঁড়ো কালো দাগ দূর করার
পাশাপাশি ত্বককে নরম ও মসৃণ করে। গোলাপ জল সঙ্গে চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে লাগান।
শুকিয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন, এতে কালো দাগ দূর হবে।
৬. ওটস :- স্ক্রাব হিসেবে ওটস বেশি কার্যকর। আধা কাপ
ওটসের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন।এই প্যাক মুখে লাগিয়ে
পাঁচ থেকে ছয় মিনিট ম্যাসাজ করুন,আর ম্যাসাজ করতে করতে শুকিয়ে এলে পরিস্কার জলে মুখ
ধুয়ে ফেলুন।এই ভাবে সপ্তাহে অন্তত দুইদিন এই প্যাক দিয়ে স্ক্রাবিং করুন।
৭. কাজুবাদাম :- ১০ টি বাদাম সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন।
পরদিন সকালে বাদাম বেটে এর সঙ্গে চন্দনের গুঁড়ো ও অল্প পরিমাণে মধু মিশিয়ে প্যাক
তৈরি করুন।এই প্যাক মুখে লাগিয়ে তিরিশ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবারে পরিস্কার জল দিয়ে
ধুয়ে ফেলুন।এই ভাবে চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ করুন ফলাফল নিজেই বুঝতে পারবেন।
৮. টম্যাটো :- টম্যাটো ফ্রিজে রাখুন। এরপর ফ্রিজ থেকে
ঠাণ্ডা টম্যাটো বের করে কেটে মুখে হালকা ভাবে ঘষুন।কালো দাগ দূর করতে দিনে অন্তত দুবার
এই ভাবে মুখে ঠান্ডা টম্যাটোর রস লাগান।
৯. শশা :- মুখের উজ্জ্বলতা ও আদ্রতা বজায় রাখতে শশা
খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কয়েকটি শশার টুকরো নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে
তাতে সামান্য মধু ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগান। কয়েকদিনের মধ্যে ভালো ফল পাবেন। এটি
ও কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ ব্যবহার করুন ভালো ফল পাওয়ার জন্য।
১০. অ্যালোভেরা :- অ্যালোভেরা রস মুখের দাগের উপর আলতো
ভাবে মালিশ করুন। প্রতিদিন মালিশ করলে কিছু দিনের মধ্যেই মুখের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
কিন্তু অ্যালোভেরা রসটি হত্তয়া চাই ন্যাচারাল এবং খাঁটি। এটি কমপক্ষে চার সপ্তাহ ব্যবহার
করুন। ভালো ফল পাবেন।
১১. আর কিছু সাধারণ পরামর্শ :-
• রোদে যাওয়ার আগে নিয়মিত ন্যাচারাল সানস্ক্রিন ব্যবহার
করুন।আর যত পারবেন রোদ থেকে দূরে থাকুন।
• ত্বক সবসময় পরিষ্কার রাখুন।
• ন্যাচারাল ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না।
• দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার ভালো করে মুখ ধোয়ার চেষ্টা
করুন।
• নিয়মিত আট থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমান আর দুশ্চিন্তা থেকে
দুরে থাকুন।
• আর ওপরের দেওয়া পদ্ধতির গুলির মধ্যে যে কোন একটি পদ্ধতি
ব্যবহার করবেন আর সঙ্গে একটু ধৈর্য্য।
• আর যত পারবেন কাঁচা ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
• আর যত পারবেন মশলাযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকবেন। এতে
পেটের সমস্যা কম হবে।আর পেটের সমস্যা কম হলে ত্বকের সমস্যা কম হবে,এতে আপনার ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
ডিসক্লেইমার :- ওপরের উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতিতে পরামর্শ
স্বরূপ।আর এটি একটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের কালো দাগ দূর করার একটি উপায়। যদি আপনাদের
এটি মনে হয় যে, উপকৃত হবেন তাহলে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। আর আশা করি এটিতে উপকার
পাবেন। আর যদি মনে হয় উপকার পাবেন না,তাহলে ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে পারেন।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-
১. বড় ১ টি নারকেল
২. কিমা ২০০ গ্ৰাম (সেদ্ধ করা)
৩. কিসমিস ২৫ গ্ৰাম
৪. আলু ২ থেকে ৩ টি সেদ্ধ করা
৫. খোসা ছাড়ানো চিনাবাদাম ২৫ থেকে ৩০ গ্ৰাম
৬. পেঁয়াজ ২ টি কুচানো
৭. সুজি ৫০ গ্ৰাম
৮. আদা বাটা ২ চা -চামচ
৯. হলুদ গুঁড়ো ২ চা -চামচ
১০. রসুন ৪ থেকে ৫ কোয়া (বাটা)
১১. লঙ্কা গুঁড়ো স্বাদমতো
১২. সাদা জিরে ১ চা -চামচ
১৩. গরমমশলা পরিমাণমতো
১৪. রিফাইন্ড তেল পরিমাণমতো
১৫. ব্রেডক্রাম্ব ১ কাপ
১৬. ডিম ২ টি
১৭. ভিনিগার ১ চা -চামচ
১৮. পুরের জন্য আলু সেদ্ধ ৩ থেকে ৪ টি (কুচানো)
১৯. ধনেপাতা ১ আঁটি কুচানো
২০. লেবুর রস ৩ টেবিল চামচ
২১. নুন পরিমাণমতো
কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -
প্রথম ধাপ :- প্রথমে কুরানো নারকেল,আলু,কিমা,সুজি, কিসমিস,
ভিনিগার একসঙ্গে ভালো করে মেখে পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট রেখে দিন। এরপর পুরের জন্য পেঁয়াজকুচি,আলু,
লেবুর রস, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা, চিনেবাদাম ও নুন একসঙ্গে মেখে নিন। তারপর একটি কড়াই
নিন, সেই কড়াইতে তেল গরম করুন। ওতে কিমার মিশ্রণ দিয়ে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট নাড়াচাড়া
করে নামিয়ে নিন।
এবারে সেই কড়াইটি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়ার
পর, সেই কড়াইতে আরও কিছুটা তেল গরম করে তাতে সাদা জিরে ফোড়ন দিন। এবারে আদাবাটা,
রসুনবাটা, পেঁয়াজকুচি, গুঁড়ো মশলা দিয়ে ভাজা ভাজা করে কিমার মিশ্রণ ছেড়ে আবার নেড়েচেড়ে
খানিকটা করে লেচি বানান। প্রত্যেক লেচির ভেতরে কিছুটা করে পুরের মশলা ভরে রাখুন।
এবারে একটি পাত্রে ডিম ফেটিয়ে নিন।পুর ভরা লেচি ডিমের
গোলায় ডুবিয়ে ব্রেডক্রাম্বের ওপর গড়িয়ে গরম তেলে ভেজে তুলুন।ব্যস বাড়িতে এই ভাবেই
তৈরি করে ফেলুন এই 'নারকেলের কিমা কাবাব'। এবার সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন
করুন।