আজকে দেখাবো 'স্পেশাল হান্ডি কাবাব' কি ভাবে রান্না করবেন?Special Handi Kebab।

 

আজকে দেখাবো 'স্পেশাল হান্ডি কাবাব' কি ভাবে রান্না করবেন?


স্পেশাল হান্ডি কাবাব

একটি ছোট্ট টিপস :-

বাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব হলে কি করনীয় -

এই প্রচণ্ড গরমে তার ওপর ঘরের ভেতর পোকামাকড়ের উপদ্রবে এক বিরক্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। মাঝে মাঝে এই উপদ্রব কষ্টের কারণ হয়েও দাঁড়ায়। বিশেষ করে এই সময় ঘরে তেলাপোকার আনাগোনা বেড়ে যায় অনেক হারে।তাই জেনে নেওয়া উচিত কীভাবে ঘরকে রাখবেন পোকামাকড় মুক্ত।


কালোজিরা হলো একটি প্রাকৃতিক আশ্চর্য দান।এই কালোজিরায় রয়েছে পোকামাকড় দূর করার বিশাল ক্ষমতা। ঘরের যেখানে পোকামাকড়ের উপদ্রব বেশি সেখানে কালোজিরা ছিটিয়ে রাখতে পারেন। পোকামাকড়ের উপদ্রব কমে যাবে। কিন্তু কিছুদিন পর পর কালোজিরা পাল্টে দেবেন।


একইভাবে নিমপাতা প্রকৃতির এক আশ্চর্যজনক দান।এই পাতায় রয়েছে পোকামাকড় দূর করার অসীম ক্ষমতা। ঘরের যে কোন কোনায়, আলমারিতে, তোশকের নিচে শুকনো নিমপাতা দিয়ে রাখুন। দেখবেন ঘরে কোনো পোকামাকড়ই আসবে না।


অনেক সময় ঘরে লাইন দিয়ে পিঁপড়ে চলাফেরা করতে দেখা যায়।এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে লেবুর রসের সাহায্য নিতে পারেন। পিঁপড়েরা লেবুর রস একদমই সহ্য করতে পারে না।তাই ঘরের যেখানে পিঁপড়ার উপদ্রব সেখানে লেবুর রস ছিটিয়ে দিন। দেখবেন পিঁপড়েরা পালাতে শুরু করেছে।


তেলাপোকা তাড়াতে দারচিনি লবঙ্গের তুলনা নেই। ঘরের বিভিন্ন স্থানে দারচিনি লবঙ্গ ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়ে রাখুন। তেলাপোকা দৌড়ে পালাবে। এছাড়াও ঘরের মধ্যে থাকবে এই দারচিনি লবঙ্গের সুগন্ধ।


যদি সব পদ্ধতি ব্যর্থ হয়, তাহলে ভিনিগারের প্রতি আস্থা রাখতে পারেন। ঘরের মেঝে মোছার সময় জলে দুই থেকে তিন টেবিল চামচ ভিনিগার মিশিয়ে দিন।ঘর থেকে পিঁপড়া, আরশোলা, তেলাপোকা সব দূর হয়ে যাবে।


এবারে চিরতরে বাড়ি থেকে দূর করুন- ইঁদুর,মাছি, টিকটিকি, ছারপোকা,মশা, তেলাপোকা

নানা কারণে ঘর বাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব হয়।আর একবার কোন পোকামাকড় ঘরে বসবাস শুরু করলে তা আর সহজে যেতে চায় না। বিশেষ করে মশা,মাছি, ইঁদুর ইত্যাদি।আর বেশিরভাগ বাড়িতেই তো একেবারে ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে প্রচুর পরিমাণে ইঁদুর এবং টিকটিকি। কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে খুব সহজে এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে এদের দূর করা সম্ভব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এসব উপদ্রব থেকে রক্ষার কিছু উপায়।

১. ইঁদুর - ঘর বাড়ির খুব সাধারণ একটি সমস্যা হলো ইঁদুরের।এই ইঁদুর দূর করবে পেপারমেন্ট। ইঁদুর পেপারমেন্টের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। একটি তুলোর বলে পেপারমেন্ট অয়েল ডুবিয়ে নিন। এবার তুলোর বলটি ইঁদুরের বাসার কাছে রেখে দিন।এই পেপারমেন্টের গন্ধ ইঁদুরের শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশ করে তাদের নিঃশ্বাস নেওয়া বন্ধ করে দেবে।এর ফলে তারা পালাতে শুরু করবে।


২. মাছি - মাছি তাড়ানোর অনেক উপায় আছে। কিন্তু সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হলো তুলসী পাতা। বারান্দায় বা জানালার কাছে একটি তুলসী গাছ রাখুন। দেখবেন মাছি আপনার বাসায় আসছে না। এছাড়া বিভিন্ন এ্যাসেণ্সিয়াল অয়েল যেমন ল্যাভেন্ডার এবং ইউক্যালিপ্টাস অয়েল মাছি তাড়াতে অনেক বেশি কার্যকর।


৩. টিকটিকি
- ঘরের আরেকটি উপদ্রব হলো টিকটিকি।এই টিকটিকি হাত থেকে বাঁচার জন্য ঘরে কোনে বিশেষ করে ভেন্টিলেটরের কাছে ডিমের খালি খোসা ঝুলিয়ে রাখুন। ডিমের গন্ধ টিকটিকিকে দূরে রাখবে।তবে সেদ্ধ নয়, অবশ্যই কাঁচা ডিমের খোসা ঝোলাবেন। এছাড়াও ঘরে ময়ূরের পালক রাখতে পারেন। এরফলে টিকটিকি ঘরের ত্রিসীমানায় ঘেষবে না।


৪. তেলাপোকা - তেলাপোকা নেই এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া ভার। ঘরোয়া কিছু রান্নার মশলা দিয়ে দূর করুন এই তেলাপোকাকে। কি ভাবে তাইতো? তাহলে জেনে নিন - গোলমরিচ গুঁড়া, পেঁয়াজ, রসুন এবং জল দিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন।এই পেষ্ট কিছুটা তরল করে তৈরি করবেন। এবার এটিকে একটি স্প্রের বোতলে ভরে রাখুন। যেখানে তেলাপোকা দেখবেন সেখানে স্প্রে করুন। দেখবেন তেলাপোকা পালিয়ে গেছে। শুধু তেলাপোকা না অন্যান্য পোকামাকড়ের হাত থেকে আপনার ঘরকে রক্ষা করবে।


আবার শশা দিয়ে দূর করতে পারেন আপনার ঘরের তেলাপোকাকে। তাহলে চলুন দেখে নেই -

এতদিন তো তেলাপোকা তাড়াতে বাজারে চলতি স্প্রে ব্যবহার করেছেন তাইতো।তাতে খুব একটা লাভ হয়েছে বলে তো মনে হয় না। বরং তাতে ক্ষতিই হয় বেশি।এই স্প্রে কোন ভাবে যদি খাবারে পড়ে তাহলে অসুস্থ হত্তয়া অনিবার্য। তবে এবার এইসব ঝুঁকি হাঁটিয়ে ফেলুন ঘরোয়া উপায়ে।
দোকান থেকে কিছু অ্যালুমিনিয়ামের ফয়েল কিনে আনুন।তার মধ্যে ছোট ছোট করে শশা কেটে রেখে দিন রান্নাঘর কিংবা শোয়ার ঘরে।ফয়েল না পেলেও চিন্তা করবেন না। অ্যালুমিনিয়ামের যে কোন পাত্রে অর্থাৎ খালি ডিব্বা বা বাটিতে শশা কেটে রেখেদিন যেখানে আরশোলার উপদ্রব সব থেকে বেশি।আর আরশোলা থেকে মুক্তি পাবেন চটজলদি। শুধু তাই নয় আপনার পকেটের সাশ্রয় হবে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে শশার টুকরোর গন্ধ মিশে যেই গন্ধ বেরোয় তা আরশোলার চিরশত্রু।আর এই কারণেই আপনার ঘর থেকে ছুটে পালাবে এই আরশোলা।



৫. ছারপোকা - ছারপোকা দূর করতে পেঁয়াজের রস অনেক বেশি কার্যকরী। একটি স্প্রের বোতলে পেঁয়াজের রস ভরে নিন। তারপর এটিকে স্প্রে করে দিন বিছানা, সোফার চারপাশে যেখানে ছারপোকা রয়েছে।


৬. মশা - সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এই মশা। আর মশা তাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের স্প্রে ব্যবহার করা হয় বা করে থাকেন। কিন্তু মশা তাড়ানোর সবচেয়ে সহজ আর কার্যকরী উপায় হলো নিমের তেলের ব্যবহার। প্রতিদিন শরীরে নিমের তেল ব্যবহার করুন। এটি আপনাকে মশা থেকে দূরে রাখবে এবং তার সাথে আপনার ত্বক সুস্থ এবং ভালো রাখবে।


•  প্রাকৃতিক উপায়ে মশা তাড়াতে ব্যবহার করুন লেবু লবঙ্গ - আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই বিরক্তিকর উপদ্রব হচ্ছে মশা।আর এই মশার স্প্রে, মশার কয়েল কোনো কিছুতেই যেন কাজ হয় না। এছাড়া গন্ধ যুক্ত কয়েল বা মশার ওষুধে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট হয়, এবং দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যাও। অন্যদিকে মশা নামক এই প্রানী অতি ক্ষুদ্র হলেও মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।তাই আজ আপনাদের জন্য রইলো মশা তাড়ানোর সহজ একটি ঘরোয়া উপায়।


এরজন্য শুধু দরকার একটি লেবু কিছু লবঙ্গ। কমবেশি সবার ফ্রিজেই থাকে কয়েকটা লেবু।তবে ফ্রিজে থাকতে থাকতে লেবু পেকে গেলে সেটা আবার কেউই খেতে চান না।এই পুরোনো লেবু ব্যবহার করেই আপনি মশা তাড়াতে পারেন। লেবুর ফ্লেবার বেশিরভাগ মানুষই বেশ পছন্দ করেন, তাছাড়া এটি মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়। সুতরাং ফ্রিজে রাখা পুরোনো লেবু টুকরো করে কেটে এতে গেঁথে দিন লবঙ্গ। এবার এটাকে ঘরের কোনো খোলা জায়গায় রেখে দিন।এতে যেমন ঘরে লেবুর মিষ্টি একটি সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়বে, তেমনি মশা এবং পোকামাকড় ঘর থেকে অনেক দূরে থাকবে।তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের রেসিপিটি 'হান্ডি কাবাব' দেখে নেওয়া যাক।আর কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।



ডিসক্লেইমার :- এটি একটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঘরের পোকামাকড় উপদ্রব থেকে রক্ষার পাওয়ার একটি নিয়ম। যদি আপনাদের এটি মনে হয় যে, উপকার পাবেন তাহলে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। আর আশা করি এটিতে উপকার পাবেন।




যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-

১. পাঁঠার মাংসকেজি

২. পেঁয়াজথেকেটি,রসুন,আদা, ধনে,জিরে একসঙ্গে বাটা আন্দাজমতো

৩. লাল লঙ্কা গুঁড়োচা -চামচ

৪. সরষের তেল ২৫০ থেকে ৩০০ গ্ৰাম

৫. লেবুটি

৬. তেজপাতা, গরমমশলা, শুকনো লঙ্কা,আন্দাজ মতো

৭. পেঁপে বাটা অল্প পরিমাণে

৮. আটা ২০০ থেকে ২৫০ গ্ৰাম

৯. নুন পরিমাণমতো



স্পেশাল হান্ডি কাবাব


কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -

প্রথম ধাপ :- প্রথমে মাংসগুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে,সব মশলা আর নুন লেবুর রস দিয়ে মাখুন। এরপর পেঁপে বাটা, গরমমশলা, তেজপাতা শুকনো লঙ্কা মাংসে মাখিয়ে আরও কুড়ি মিনিট রেখে দিন। এরপর একটি বড় হাঁড়ি নিন, সেই হাঁড়িতে তেল ঢেলে আঁচে বসান। তাতে পেঁয়াজকুচি দিয়ে লাল করে ভেজে ওপর থেকে মশলা মাখানো মাংস দিয়ে দিন, সঙ্গে আন্দাজমতো জল দিয়ে ঢাকা দিন। তারপর অন্যদিকে আটা জল দিয়ে শক্ত করে মেখে রাখবেন। পরবর্তীতে কাজে লাগবে।

এবারে হাঁড়ির ঢাকার চারপাশে এই মাখা আটা এমনভাবে লাগান যাতে হাঁড়ির ভাপ বেরিয়ে না যায়। মিনিট কুড়ি থেকে তিরিশ মিনিট রান্না করার পর দেখবেন মাংস সেদ্ধ হয়ে যাবে। এবারে আঁচ থেকে হাঁড়ি নামিয়ে রুটি অথবা ভাতের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।ব্যস এই ভাবেই তৈরি করে ফেলুন এই প্রসিদ্ধ 'হান্ডি কাবাব' 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.