আজকে দেখাবো রাজেস্থানের একটি প্রসিদ্ধ খাবার যার নাম হলো "বট্টি"।Rajasthani Dal Bati Churma Recipe |Rajasthani Food|

 

আজকে দেখাবো রাজেস্থানের একটি প্রসিদ্ধ খাবার যার নাম হলো "বট্টি"


রাজেস্থানের প্রসিদ্ধ খাবার বট্টি

একটি ছোট্ট টিপস :-

হজমের জন্য খাবার গ্ৰহণের সঠিক কয়েকটি নিয়ম কানুন?

সূচনা :- আমাদের এই দৈনন্দিন জীবনে হজমের সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ খোঁজে পাওয়া দূরূহ। সাধারণত ভুল খাবার দাবার গ্ৰহণের কারণে এই নানাবিধ সমস্যা আমাদের শরীরে দেখা দেয়।এই সব সমস্যার প্রধান কারণ হচ্ছে সঠিক নিয়ম কানুন মেনে না চলা। কিন্তু জীবনে একেবারে সহজ কিছু নিয়ম মেনে চললেই নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আমরা যেসব শারীরিক সমস্যায় পড়ি, তার মধ্যে কয়েকটি হলো - পেটে গ্যাস হয়ে অস্বস্তি, খাওয়ার পরে ক্লান্তি, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি।এই সব সাধারণ সমস্যার খুব সহজ সমাধান হচ্ছে,প্রথমত দেখতে হবে আমরা কি খাচ্ছি কেমন করে খাচ্ছি,এই বিষয়টি কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। খাবার গ্ৰহনের কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললেই এই সব সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি পেয়ে একটা স্বাস্থ্যকর ভালো জীবন পেতে পারি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে কিছু নিয়ম রয়েছে তা নিম্নে তুলে ধরা হলো -

১. প্রথমত খাওয়ারটিকে উপভোগ করুন :- খাবার আমাদের জীবনের সব থেকে বড় অংশ।এই খাবার আমাদের জীবন বাঁচায়।এই খাবার আমরা যদি আনন্দের সঙ্গে খাবারটা খাই তাহলে সেটা শরীরের জন্য বেশি উপকার হয়। যখন আমরা খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি তখন আমাদের পাকস্থলী একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হয়। অর্থাৎ খাবারের যে স্বাদ গন্ধ থাকে সেটা আমাদের হজমকে উন্নত করতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী খাওয়ার প্রক্রিয়া চেতনা উন্নয়নের পাশাপাশি আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।


২. খাবারের সময়ে অন্য কাজ বন্ধ রাখুন
:- আমাদের খাবার থেকে পুষ্টি প্রক্রিয়া এবং শোষণ করার জন্য আমাদের শরীরের একটি আপলিপটিং (uplifting) এবং স্থায়ী পরিবেশ প্রয়োজন হয়। যদি এটি না হয় তাহলে হজমে সমস্যা হতে পারে। আমাদের ব্যস্ত জীবনে খাবার খাওয়ার সময়টুকু অনেকে বের করতে পারে না। তখন কোন কাজ করতে করতে আমরা খাবারটা খাই, কিন্তু সঠিক হজমের জন্য অন্য কোন কাজ করা বন্ধ করতে হবে। যেমন, কম্পিউটারের কাজ করার সময়ে কিংবা গাড়ি চালাবার সময়ে অথবা মোবাইলে কথা বলতে বলতে ইত্যাদি,খাওয়া একদম উচিত নয়। খাবার হলো আমাদের জীবনের একটি সবচেয়ে বড় অংশ, সেটিকে একেবারে শান্তি ভাবে খাওয়া উচিত।


৩. পাচক অগ্নিকে ত্বরান্বিত করা :- আমরা খাওয়ার শুরু করার আগে পাকস্থলীতে খাবার হজম করতে একটি পাচক রস অগ্নিকাণ্ড বা পাচক অগ্নি উদ্দীপক তৈরি হয় যার দ্বারা হজম প্রক্রিয়া উন্নতি হয়। দুর্বল পাচকরস অগ্নি হলে খাওয়ার পরে শরীরে ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।


আয়ুর্বেদ মতে খাবারের পরে আধা ইঞ্চি আদা, একটু লেবুর রস এবং এক চিমটে লবণ দিয়ে খেতে বলা হয়ে থাকে।এতে লালা গ্ৰন্থি গুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে, প্রয়োজনীয় এনজাইম তৈরি করে যাতে খাদ্য থেকে পুষ্টি সহজে আমাদের শরীরে শোষিত হয়।
আমাদের খাবার হজমে পাচক অগ্নির ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অগ্নি শিখা যদি খুব কম হয় তাহলে খাদ্য রান্না করতে দীর্ঘ সময় লাগবে তেমনই একইভাবে, যদি আগুন খুব বেশি হয় তবে খাবার পুড়িয়ে দিতে পারে। আমাদের শরীরের ভিতরের ব্যাপারটাও তেমনি। পাকস্থলীর পাচক রসের ভারসাম্য করা উচিত যাতে আমাদের খাবারকে দক্ষ এবং মসৃণ ভাবে হজম করতে পারে।

৪. অতিমাত্রায় ঠাণ্ডা পানীয় এড়িয়ে চলুন :- যতটা পারবেন অতিরিক্ত ঠাণ্ডা জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন। অর্থাৎ রেফ্রিজারেটরের থেকে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানীয় সঙ্গে সঙ্গে পান করবেন না। এতে হজমের সমস্যা হতে পারে।তাই রেফ্রিজারেটরের থেকে বের করা ঠাণ্ডা পানীয় কিছুক্ষণ বাহিরে রেখে তারপর সেটাকে পান করা উচিত। কারন রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা আর বাহিরের প্রকৃতির তাপমাত্রা অনেকক্ষানি পার্থক্য থাকে।এই তাপমাত্রা পার্থক্যের জন্য আমাদের শরীরে অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।


৫. রাত্রে খাবার সময়মতো খেয়ে নিন :- আমাদের বিশেষ করে রাত্রে সময়মতো খাবার খেয়ে নেওয়া উচিত। আপনি যদি রাত্রে দেরি করে খাবার খান, তাহলে আপনার ঘুম ঠিকমতো হবে না। আর পরের দিন কর্মক্ষমতা ঠিক মতো পাবেন না। কারন,আমাদের শরীর চায় পরিমাণমতো বিশ্রাম যেটি আমাদের দেওয়া উচিত।আর এই প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের শরীরের একটা সম্পর্ক রয়েছে, এরসঙ্গে সূর্যের আলো যতই কমতে থাকে আমাদের হজম শক্তি কমতে থাকে।তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাত্রের খাবার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খেয়ে নিতে হবে। সেই সঙ্গে খাবারটা যেন হয় সহজপাচ্য অন্যথায় হজমের সমস্যা সৃষ্টি হবে।

আর একটি কথা মনে রাখবেন, যখন সূর্যের প্রখর আলো বা রোদ থাকে দুপুরে, ঠিক তেমনই আমাদের হজম প্রক্রিয়া সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকে, দুপুরের বেলাতে।আর তাই দুপুরের খাবার হতে হবে দিনের সবচেয়ে ভারী। তাছাড়া সকালের টিফিন বা খাবারটাও পরিমাণমতো সঠিক সময়ে গ্ৰহন করতে হবে।

৬. এবারে খাবারের পরে দই :- আমরা সবাই জানি,যে দই খাবারকে হজম করতে সাহায্য করে।তাই প্রত্যেক খাবারের পরে যদি এক গ্লাস দইয়ের সরবত পান করার অভ্যাস করেন তবে আপনার কখনোই হজমে সমস্যা হবে না।সব থেকে ভালো হয়, যদি আপনি চিনি ছাড়া এই সরবত তৈরি করে খেতে পারেন তাহলে খুব ভালো হয়।আর যদি না পারেন তাহলে চিনি দিয়ে খেতে পারেন।


৭. হজমের জন্য সবথেকে ভালো ত্রিফলা :- হ্যাঁ বন্ধুরা ত্রিফলা হচ্ছে একটি শক্তিশালী আয়ুর্বেদ যা শরীরে পুষ্টির শোষণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কোলনকে পরিস্কার করে। বেশিরভাগ লোকের জন্য ত্রিফলা mild laxative  এবং এই কারণেই এটি পাচনতন্ত্র থেকে টক্সিন পরিস্কার করার জন্য চমৎকার। প্রথমে মাঝারি মাত্রায় ত্রিফলা খেয়ে অভ্যাস করে নিন। তারপর দীর্ঘদিন এটি খাওয়ার পর একটি গভীর বিশুদ্ধ প্রভাব শরীরে দেখতে পাবেন নিশ্চিত।


ডিসক্লেইমার :- ওপরের উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতিতে পরামর্শ স্বরূপ।আর এটি একটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে হজমের জন্য খাবার গ্ৰহণের সঠিক কয়েকটি নিয়মের একটি উপায়। যদি আপনাদের এটি মনে হয় যে, উপকৃত হবেন তাহলে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। আর আশা করি এটিতে উপকার পাবেন। আর যদি মনে হয় উপকার পাবেন না,তাহলে ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে পারেন।





যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-

১. বেকিং পাউডারচামচ

২. আটাকাপ

৩. ঘি আড়াই কাপ

৪. নুন পরিমাণমতো


রাজেস্থানের প্রসিদ্ধ খাবার বট্টি


কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -

প্রথম ধাপ :- প্রথমে একটি বড় কড়া বা কানাউঁচু থালা নিন। এরপর চালুনি দিয়ে আটা চেলে নিন। তারপর আটা, বেকিং পাউডার এবং নুন কড়াইতে ঢালুন। আটার স্তূপে ছোট গর্ত করে দেড় কাপ জল ঢালুন এবং আটা মাখতে থাকুন। ভালো করে ঠেসে নিন। তারপর মাখা আটা ভিজে কাপড়ে ঢাকা দিয়ে দশ থেকে বারো মিনিট রেখে দিন। এরপর আটা মাখার সময়ে এক তৃতীয়াংশ কাপ ঘি মেশান। আবার ভালো করে আটা ঠাসতে থাকুন। তারপর ঠিক আগের মতোই ভিজে কাপড় চাপা দিয়ে দশ থেকে পনেরো মিনিট রেখে দিন। আটার তালকে ষোলটি সমান ভাগে ভাগ করে লেচি তৈরি করুন। আবার ওই আলাদা আলাদা আটার গোলা ভিজে কাপড়ে চাপা দিয়ে দশ থেকে বারো মিনিট রেখে দিন। একেকটি লেচিকে প্রায় আড়াই ইঞ্চি ব্যাস যুক্ত পেড়ার আকার দিন

ঢাকা দিয়ে রেখে দিন বেক করার জন্য। ওভেন ৩৫০ ডিগ্ৰী ফারেনহাইটে গরম করুন। বেকিং ট্রেতে ঘি মাখিয়ে নিয়ে তার ওপরে তৈরি পেড়া গুলি সাজান এবং ওভেনে ঢুকিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট বেক করুন। ওভেন থেকে বের করে প্রতিটি বট্টির এক পিঠে ছোট্ট গর্ত করুন চামচ দিয়ে ওই গর্তে ঘি ঢুকিয়ে দিন।

এবারে গরম গরম থাকতে অন্য কোন ঝোল বা কারিজাতীয় খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.