আজকের রেসিপিটির হলো "চিংড়ি মাছের দোপেঁয়াজা" একদম নতুন পদ্ধতিতে।Chingri Macher Dopiaza (চিংড়ি মাছের দোপেয়াজা) - Shrimp/Prawns Dopiaza Recipe|

 

আজকের রেসিপিটির হলো "চিংড়ি মাছের দোপেঁয়াজা" একদম নতুন পদ্ধতিতে।


চিংড়ি মাছের দোপেঁয়াজা


একটি ছোট্ট টিপস :-


ব্রণ সমস্যার ঘরোয়া সমাধান ঘরোয়া কিছু টিপস:-

সূচনা:-  অনেক রকম ফলমূল ভেষজ উপাদানের প্রাকৃতিক প্যাক আমাদের ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।এই ব্রণ একটি বয়সে একটি সময়ের মধ্যে হয়। আবার তা ঠিক হয়ে যায়।এই ব্রণোর সমস্যা হলো একটি বড় সমস্যা।এই পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই, যিনি এই ব্রণোর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তাহলে আসুন জেনে নেই এই ব্রণ দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়। নিম্নে উপায় গুলি দেওয়া হলো।

১. নিমপাতার প্যাক:- আমার জানি নিমপাতার মতো সর্বগুণ সম্পন্ন আর কোথাও নেই। নিমপাতা হলো সবচেয়ে ভালো একটি উপাদান এই ব্রণোর জন্য। নিমপাতা কিছুটা নিয়ে, সেটিকে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে শিলে বেটে নিন।ব্যস আপনার প্রাকৃতিক প্যাক তৈরি।এই প্যাক যদি রাত্রে ঘুমানোর আগে আপনার পুরো মুখে লাগাতে পারেন, তাহলে মুখের ব্রণ খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু এই প্যাক রোজ অথবা একদিন ছাড়া ছাড়া লাগাতে হবে তাও প্রায় পাঁচ থেকে সাত সপ্তাহের মতো। এই প্যাক লাগানোর ফলে এর রেজাল্ট আপনি নিজে নিজেই বুঝতে পারবেন।আর পারলে সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন চিরতার রস খেতে পারেন। এরফলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।


২. হলুদ অ্যালোভেরা প্যাক
:- ত্বকের ব্রণ সম্পর্কে কথা বলতে গেলে অ্যালোভেরা ফেসপ্যাক গুনাগুন না বললেই নয়।এই অ্যালোভেরা এনজাইম,পলিসেকারিডস এবং পুষ্টি উপাদানে ভরপুর।যা হলো অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে। অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ভাবে ত্বকের বিষাক্ত উপাদান দূর করে।আর ত্বকের পুষ্টি জোগায়, সঙ্গে ত্বকে কোমলতা আনে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সঙ্গে হলুদ প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে যা ত্বককে ভালো রাখে। এবারে প্যাকটি কিভাবে তৈরি করবেন - এক টেবিল চামচ হলুদ, দুধ, মধু এবং সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মেশাতে পারেন।এই মিশ্রণটি এবার অ্যালোভেরা জেলের (অ্যালোভেরাটি একবারে খাঁটি হলে ভালো হয়) সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত ত্বকের স্থানে ব্যবহার করতে পারেন বা প্যাকটি পুরো মুখে লাগাতে পারেন।১৫ থেকে ২০ মিনিট পর আপনার মুখ পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।


৩. শশা :- শশার মধ্যে রয়েছে নানা গুনাগুন।এই গুন গুলির মধ্যে,একটি গুন হলো ত্বকের সমস্যার সমাধান করা।এই শশার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ডি,, এবং ই। এটি প্রতিটি ত্বকের জন্য খুবই ভালো। আপনি পারলে শশা থেঁতো করে একটি প্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন,এই প্যাকটি ২০ থেকে ২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন মুখ। এছাড়াও শশা গোল গোল করে কেটে কমপক্ষে একঘন্টা জলেতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই জল খেয়ে নিতে পারেন অথবা ওই জল দিয়ে নিজের মুখ ধুয়ে নিতে পারেন।


৪. গ্রিন টি :- গ্ৰিন টি ব্রণের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকরী।গরম জল দিয়ে গ্ৰিনটি টি বানান। তারপর সেই গ্ৰিন টি একদম ঠাণ্ডা করে ব্রণ বা গোটা জায়গায় ব্যবহার করুন, তুলোর সাহায্য নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।সে ক্ষেত্রে ভালো করে ত্বকের ওপর মিশতে পারবে এই চায়ের মিশ্রণটি। যদি টি ব্যাগট থেকে গ্ৰিন টি বানান, তাহলে ঠাণ্ডা গ্ৰিন টি ব্যাগটিও রাখতে পারেন ত্বকের ওপর।আর এই প্যাকটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পর ধুয়ে নিন।আর এমনি এই গ্ৰিন টি খেতে পারেন, এরফলে আপনার শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।


৫. টক জাতীয় ফলের প্যাক :- কমলা লেবু মতো টক জাতীয় ফলে অ্যাসট্রিনজেন উপাদান রয়েছে। যা ত্বকের ব্যাকটেরিয়া কমায় এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে। এই ফলের রস মুখে ঘষে লাগানোর পর অন্তত ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর হালকা উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এর রেজাল্ট নিজেই বুঝতে পারবেন।


৬. মধু :- সর্ব গুণসম্পন্ন এই মধু ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।এই মধু ত্বকে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।সব ধরনের ত্বকের জন্যই এটি উপযোগী।


৭. দুধ :- দুধ হলো চর্বির উপাদান সম্পন্ন।এই চর্বির উপাদানের কারণে এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য উপকারী। কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকের জন্য নয়। তৈলাক্ত ত্বকে দুধের ব্যবহার না করাই ভালো। এতে ত্বক আরও তৈলাক্ত হয়। তৈলাক্ত ত্বকের মানুষ এটিকে এড়িয়ে চলুন।


৮. লেবুর রস
:- লেবুর রস তুলোয় করে ব্রণের জায়গায় লাগিয়ে নিতে পারেন। লেবুর রসের সঙ্গে দারুচিনির গুঁড়ো করে মিশ্রণ তৈরি করে, রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে সেটা ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখতে পারেন। সকালে হালকা উষ্ণ  জল দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।


৯. রসুন :- রসুন হলো ব্রণের বড় শত্রু। এটি ব্যবহার করা খুব সহজ।এক দুই কোয়া রসুন দুই টুকরো করে কেটে নিন। তারপর ব্রণের জায়গায় রসটা লাগান।দুই থেকে পাঁচ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।


১০. যত পারবেন তিত্তো জাতীয় খাবার খান। এরফলে আপনার রক্ত পরিষ্কার হবে,আর রক্ত পরিষ্কার হলেই, আপনার ত্বক পরিস্কার হবে।আর সঙ্গে রাখতে পারেন বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ফলমূল,যা আপনার শরীরের পক্ষে যা লাভদায়ক।আর ওপরের ঘরোয়া উপায় গুলি মধ্যে এক একটি উপায় এক একটি মানুষের ওপর ভিন্ন ভাবে কাজ করতে পারে,তাই যেটি যার ত্বকের জন্য লাভ দায়াক, সেই উপায়টি ব্যবহার করতে পারেন। যদি আপনাদের মনে হয় যে এই উপায় গুলি লাভদায়ক, তাহলে ট্রাই করে দেখতে পারেন।

চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের  "চিংড়ি মাছের দোপেঁয়াজা" রেসিপিটি দেখে নেওয়া যাক।


ডিসক্লেইমার :- ওপরের উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতিতে পরামর্শ স্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পদ্ধতি আর ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন অথবা কথা বলুন, সেই নিয়ম মতো মেনে চলুন।


যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ:-

১. চিংড়ি মাছ ১৫০ থেকে ২০০ গ্ৰাম

২. মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ কুচিকাপ

৩. কাঁচা লঙ্কাটি (মাঝখান থেকে চিরে নেবেন)

৪. আদা বাটাচা -চামচ

৫. হলুদ গুঁড়োচা -চামচ

৬. লঙ্কা গুঁড়োচা -চামচ

৭. জিরে গুঁড়োচা -চামচ

৮. ১ টি টম্যাটো অর্ধেক অংশ

৯. ধনেপাতা কুচিটেবিল চামচ

১০. তেলথেকেটেবিল চামচ

১১. নুন পরিমাণমতো


চিংড়ি মাছের দোপেঁয়াজা


কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -

প্রথম ধাপ :- প্রথমে চিংড়ি মাছ গুলো নিন, তারপর সেই চিংড়ি মাছের মাথা এবং খোসা ছাড়িয়ে ফেলুন, এরপর মাছ গুলোকে ধুয়ে পরিস্কার করে নিন। এবারে চিংড়ির সাথে সামান্য লবণ হলুদ মেখে নিন। এরপর একটি কড়াই নিন, সেই কড়াইতে তেল গরম করুন, তেল গরম হলে লবণ হলুদ মাখা চিংড়ি মাছ সামান্য ভেজে তুলে রাখুন। এবারে সেই তেলে পেঁয়াজ এবং লঙ্কা দিয়ে দিন। পেঁয়াজ ভাজা ভাজা হয়ে এলে ওতে সামান্য জল দিয়ে একে একে আদা বাটা, লঙ্কা, হলুদ, জিরা এবং লবণ দিয়ে দিন। এরপর মশলাটিকে ভালো করে কষতে থাকুন। মশলা ভালো মতো কষানো হয়ে গেলে,এর মধ্যে কুচি করা টম্যাটো দিয়ে দিন। এবারে সময় নিয়ে সব ভালো মতো কষতে থাকুন। প্রয়োজনে অল্প অল্প জল যোগ করুন।

মশলা কষতে কষতে মশলার উপরে তেল উঠে গেলে ওতে ভাজা চিংড়ি গুলো দিয়ে সব একসাথে নাড়তে থাকুন। এবারে চুলার আঁচ মাঝারি রেখে কড়াইতে ঢাকনা দিয়ে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট রাখুন।মাঝে একবার মাছ গুলো নেড়ে দিতে হবে,যাতে কড়াইয়ের নিচে লেগে না যায়। এরপর চিংড়ির উপর ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিন। এবার গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন এই মজাদার "চিংড়ি মাছের দোপেঁয়াজা" এই রেসিপিটি দুই থেকে তিন জনের জন্য।আর যদি বেশি মানুষের জন্য রান্না করতে হয় তাহলে উপকরণের মাত্রা গুলি বাড়াতে হবে। বন্ধুরা কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.