খুব কম সময়ে ও সহজে "কাঠি কাবাব"রান্নার পদ্ধতি।
একটি ছোট্ট টিপস :-
মুখে হরেক রকমের ঘায়ের কয়েকটি প্রাথমিক চিকিৎসা -
হরেক রকমের ঘা হয় মুখে। তন্মধ্যে যেগুলো খুব বেশি হয় অ্যাপথাস আলসার সেগুলোর মধ্যে একটি। দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে,এই বিষয়ে পর্যাপ্ত ধারনা বা জ্ঞান না থাকার কারণে প্রায়ই আমাদের কষ্ট ভোগ করতে হয়।আর যেন কাউকে এই সমস্যায় কষ্ট পেতে না হয়, সেই উদ্দেশ্যেই আমার আজকের আলোচনা।
• এবার এইগুলি চেনার উপায় (অর্থাৎ লক্ষণ ও উপসর্গ) :-
১. এই গুলি সাধারণত জিহ্বা,মাড়ি, ঠোঁট ও গালের ভেতরের দিকে হয়।
২. এই গুলি সাধারণত পৃষ্ঠস্থ বা অগভীর হয়ে থাকে।
৩. এই গুলির আকার সাধারণত গোলাকার বা ডিম্বাকার হয়ে থাকে।
৪. এই গুলি সাধারণত ১০ মি.মি. এর চেয়ে ছোট হয়, তবে কখনত্ত কখনত্ত এর চেয়ে বড় ও হতে পারে।
৫. এর রঙ সাদা,বা ফেকসে সাদা, অথবা হালকা হলুদ হয়ে থাকে, কিন্তু এর চারপাশটা ফোলা ও লালচে হয়।
৬. এতে কম বেশি ব্যথা হয়, খাবার খেতে গেলে জ্বালাপোড়া হয়।
৭. এই গুলি একসাথে একটি বা একসাথে কয়েকটি হতে পারে।
৮. এই গুলি সাধারণত ৪ থেকে ৭ দিনের মধ্যে সেরে যায়।
৯. এই গুলি আবার ঘনঘন সময় ধরে হতে পারে।
১০. সাধারণত এই গুলি সেরে যাওয়ার পর কোন স্কার বা দাগ থাকে না।
• এই বার কয়েকটি কারণ জেনে নেওয়া যাক :-
এর কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জানা যায় না, তবে কখনত্ত কখনত্ত এটি নিম্নলিখিত কারণ সমূহের কোনটির জন্য হয়ে থাকে -
১. ভিটামিন বি১২, আয়রন বা ফলিক এসিড এর অভাব।
২. মানসিক চাপ বা উদ্বিগ্নতা।
৩. এলার্জি
৪. মহিলাদের মাসিকের আগে অথবা পরে।
৫. বংশগত হতে পারে।
৬. কোন কোন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ফলে ও হতে পারে।
৭. কোন কোন শারীরিক রোগের কারণে ও হতে পারে।
৮. অতিমাত্রায় ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে ও হতে পারে।
• এবারে কয়েকটি পরামর্শ :-
১. প্রত্যেকদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ও রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালো ভাবে দাঁত ব্রাশ করুন।
২. প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে জল পান করুন।
৩. মুখ ও জিহবা সবসময় পরিষ্কার রাখুন।
৪. পুষ্টিকর খাবার গ্ৰহন করুন। সঙ্গে ভিটামিন জাতীয় খাবার খান।
৫. প্রচুর পরিমাণে ফলমূল খান,যা শরীরের পক্ষে খুব উপকারী।
৬. অধিক মশলাযুক্ত খাবার খাবেন না।
৭. আর পারলে মাঝে মাঝে লবণ ও জল দিয়ে কুলি করুন।
৮. আর মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
৯. আর সর্বশেষ ধূমপানের যদি অভ্যাস থাকে তাহলে ত্যাগ করুন। সঙ্গে পান জাতীয় কিছু যদি খান তাও ত্যাগ করুন। এগুলি করার ফলে আপনার শরীর ভালো থাকবে আর আপনার মুখের ভেতরের ঘা ও হত্তয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
• এইবারে কয়েকটি প্রাথমিক চিকিৎসা :-
১. বাজারে বিভিন্ন ধরনের ভালো ওয়েন্টমেন্ট পাওয়া যায় তা ব্যবহার করতে পারেন।আর এই ওয়েন্টমেন্ট রাতে একবার বা প্রয়োজন পড়লে দিনে দুই থেকে তিন বার ক্ষতস্থানে ব্যবহার করতে পারেন। অথবা যে কোন ভালো ওষুধ অর্থাৎ টেবলেট ও খেতে পারেন,এই সমস্যার জন্য। আর বাজারে ভালো ওয়েন্টমেন্ট অথবা টেবলেট রয়েছে ,তা ব্যবহার করতে পারেন।
২. আর যদি তীব্র ব্যথা হয় বা বার বার ব্যথা হতে থাকলে, অবশ্যই সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।আর ডাক্তারের পরামর্শ মতো চলুন।
ডিসক্লেইমার :- ওপরের উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতিতে পরামর্শ স্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পদ্ধতি আর ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন অথবা কথা বলুন, সেই নিয়ম মতো মেনে চলুন।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-
১. লাগবে মাংস আধা কেজি (চৌকো করে কেটে টুকরো করা )
২. রসুন বাটা ২ চা -চামচ
৩. ধনে বাটা ১ চা -চামচ
৪. আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
৫. কাঁচা পেঁপে বাটা ২ চা -চামচ
৬. শুকনো লঙ্কা বাটা ১ চা -চামচ
৭. গাজর লাগবে ২ টি (টুকরো করা)
৮. ক্যাপসিকাম ২ থেকে ৩ টি কুচানো
৯. পেঁয়াজ ৩ থেকে ৪ টি টুকরো করা
১০. সরষের তেল আধা কাপ থেকে এক কাপের মতো লাগবে
১১. কাঁচা লঙ্কা বাটা ৪ টি
১২. গরমমশলা বাটা ১ চা -চামচ
১৩. কাবাব গাঁথার জন্য কাঠি অথবা শিক কয়েকটি
১৪. নুন পরিমাণমতো
কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -
প্রথম ধাপ :- প্রথমে মাংসগুলো নিন, সেই মাংসের টুকরো গুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখুন, তারপর সেগুলিকে একটি পাত্রে নিয়ে,এবারে বাটা মশলায় কিছুটা তেল মাখিয়ে এক থেকে দুই ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পেঁপে বাটা মিশিয়ে আরও একঘন্টা রেখে দিন।
এবারে কাঠি অথবা শিক (যে কোন একটিতে) মাংসের টুকরো গুলো গেঁথে দিন।আর সঙ্গে কাঠির দুই দিকে পেঁয়াজ ও চৌকো করে কাটা গাজর ও গেঁথে নেবেন।
এবারে একটি কড়াই নিন, সেই কড়াইতে তেল গরম করুন। তারপর প্রত্যেকটি কাঠি ভর্তি মাংস গুলোকে,তেলে ভালো করে ভেজে নিন।সবকটা কাঠি ভাজা হয়ে গেলে তুলে নিয়ে ওই তেলেই সেগুলো আরও কিছুক্ষণ ভাজুন। ব্যস এই ভাবেই তৈরি করে ফেলুন একদম বাঙালি স্টাইলে "কাঠি কাবাব"।
এবারে সেগুলিকে তুলে নিয়ে কাবাবের চারধারে ছড়িয়ে লেবুর কুচিসহ আর সুন্দর ভাবে সাজিয়ে,গরম গরম ভাত বা পরোটা অথবা পোলাও এর সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন।এই "কাঠি কাবাব" আবার অন্য ভাবে ও করতে পারেন, যেমন - এই "কাঠি কাবাবকে" শিকে গেঁথে সব মশলা একসঙ্গে লাগিয়ে আগুনে ঝলসে ও রান্না করা যায়।