আজকের একটি নতুন রেসিপি যেটি হলো "কোরাল মাছের দোপেঁয়াজা"।
একটি ছোট্ট টিপস :-
আমাশয় রোগের প্রাকৃতিক ও হারবাল চিকিৎসা :-
সূচনা :- আমাশয় রোগটি খুব একটি বড় সমস্যা নয়।এটিকে প্রাকৃতিক ও হারবাল চিকিৎসার মাধ্যমে ও নির্মূল করা সম্ভব। আমাশয় রোগে সাধারণত বারবার পায়খানার বেগ হয় অর্থাৎ পায়খানা পায়। এবং বিশেষ করে আমযুক্ত মল নির্গত হয়।আম এবং মলের সাথে কখনো কখনো আবার রক্ত মিশ্রিত মল নির্গত হয়। আমাশয় হলে ঘাবরানোর কিছু নেই।এটি একটি সাধারণ রোগ হিসেবে বলা চলে।এই আমাশয় সবচেয়ে বেশি দূসচিন্তা হলো যে ঘন ঘন পায়খানায় যেতে হয়।এই চিন্তা দূর করার জন্য কিছু প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায় রয়েছে। তাহলে সেগুলি জেনে নিন।
১. কচি বেল :- কচি বেল কুচি কুচি করে শুকিয়ে সংরক্ষণ করুন।এর মিহি চূর্ণ ১ চা -চামচ পরিমাণ সকালে ও সন্ধ্যায় খালিপেটে টানা এক মাস সেবন করুন।ফল নিজেই বুঝতে পারবেন।
২. ইছবগুল দানা :- ইছবগুল দানা পাঁচ গ্ৰাম,দধি এক কাপ একত্রে মিশিত করে সকাল ও সন্ধ্যায় টানা ১০ দিন সেবন করলে উপকার পাবেন।
৩. ডালিম পাতা :- ডালিম পাতা দশ টি একত্রে পাটায় পিশে জলটুকু সকাল ও সন্ধ্যায় সাত থেকে দশ দিন সেবন করুন উপকার পাবেন।
৪. ধাইফুল :- ধাইফুল চূর্ণ এক চা চামচ, আধা কাপ টক দধিতে মিশিয়ে সকালে এবং সন্ধ্যায় দুই থেকে তিন দিন সেবন করলে আমাশয় সেরে যায়।
৫. লাল চন্দন :- লাল চন্দন পাঁচ গ্ৰাম পরিমাণ, আধা গ্লাস জলে বারো ঘন্টা ভিজিয়ে সকালে জ্বাল দিয়ে ক্বাথ করে তাতে সামান্য মিসরি মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিন বার খালিপেটে, কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচ দিন সেবন করলে উপকার পাবেন।
৬. তজ চূর্ণ :- তজ চূর্ণ তিন থেকে পাঁচ গ্ৰাম পরিমাণ,ঢেকি ছাটা চালে মিশিয়ে ভাত রান্না করে ওই ভাত দিনে দুই বার খেতে হবে।এই ভাবেই পাঁচ থেকে সাত দিন সেবন করলে পুরাতন আমাশয় রোগে উপকার পাওয়া যায়।
৭. মোটা বিচিকলা :- মোটা বিচিকলা দুটি পাকা অবস্থায় বিচিসহ দিনে দুই বার চিবিয়ে খেতে হবে তিন থেকে পাঁচ দিন।এতে তরুণ আমাশয়ে উপকার হয়।
৮. থানকুনি পাতার রস :- থানকুনি পাতার রস দুই চা চামচ সকাল ও সন্ধ্যায় খালিপেটে সেবন করলে উপকার পাবেন।
৯. কালকেশী/ ভৃঙ্গরাজ পাতার রস :- কালকেশী/ ভৃঙ্গরাজ পাতার রস এক চা -চামচ সকালে ও সন্ধ্যায় আধা কাপ গরুর দুধে মিশিয়ে সাত থেকে দশ দিন সেবন করলে পুরাতন আমাশয়ে উপকার পাবেন।
১০. বিহিদানা :- বিহিদানা পাঁচ গ্ৰাম,এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে জ্বাল দিয়ে ক্বাথ করে ঐ ক্বাথ দিনে দুই বার খালিপেটে সেবন করলে উপকার পাবেন।
১১. বহেড়া চূর্ণ :- বহেড়া চূর্ণ তিন গ্ৰাম পরিমাণে সকালে ও সন্ধ্যায় সাত থেকে দশ দিন খালিপেটে সেবন করলে উপকার পাবেন এই আমাশয়ের। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের রেসিপিটি "কোরাল মাছের দোপেঁয়াজা" জেনে নেওয়া যাক।
ডিসক্লেইমার :- এটি একটি ঘরোয়া উপায়ে আমাশয় রোগের প্রাকৃতিক ও হারবাল চিকিৎসা একটি উপায়। যদি আপনাদের এটি মনে হয় যে, উপকার পাবেন তাহলে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। আর যদি ট্রাই করেন তাহলে উপরের যেকোন একটি উপায় ও পদ্ধতি ট্রাই করবেন।আর আশা করি এটিতে উপকার পাবেন। আর যদি আপনাদের মনে হয় উপকার পাবেন না অথবা মনের মধ্যে কোন দ্বিধাবোধ হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং ডাক্তারের নিয়ম ও কথা মতো মেনে চলুন।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-
১. মাছ ভাজার জন্য প্রয়োজন, হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা -চামচ
২. লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চা -চামচ
৩. নুন পরিমাণমতো
৪. রান্নার জন্য প্রয়োজন,কোরাল মাছ ৪ থেকে ৫ টুকরো
৫. পেঁয়াজ কুচি ১১/২ কাপ
৬. রসুন কুচি ১ চা -চামচ
৭. কাঁচা লঙ্কা ১ থেকে ২ টি মধ্যে থেকে চেরা
৮. আদা বাটা ১/২ চা -চামচ
৯. রসুন বাটা ১/২ চা -চামচ
১০. হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা -চামচ থেকে সামান্য একটু কম
১১. লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চা -চামচ
১২. জিরে গুঁড়ো ১/২ চা -চামচ
১৩. ধনে গুঁড়ো ১/২ চা -চামচ
১৪. টম্যাটো ১টি
১৫. ধনেপাতা কুচি ১/৪ কাপ
১৬. আস্ত কাঁচা লঙ্কা ২ টি
১৭. হালকা গরম জল প্রয়োজনমতো
১৮. তেল পরিমাণমতো
১৯. নুন প্রয়োজনমতো
কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -
প্রথম ধাপ :- প্রথমে মাছ গুলোকে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন, তারপর মাছে থাকা জল ভালো করে ঝরিয়ে নিন। মাছের গায়ে জল লেগে থাকা চলবে না এই দিকে একটু নজর রাখবেন। এবারে মাছের সাথে ১/২ চা -চামচ নুন,১/২ চা -চামচ হলুদ এবং ১/২ চা -চামচ লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে মেখে রাখুন। এরপর একটি পাত্র নিন, সেই পাত্রে তেল দিয়ে গরম হত্তয়ার জন্য চুলায় চাপান। তেল গরম হয়ে এলে মশলা মাখা মাছ দিয়ে দিন। এখন চুলার আঁচ মাঝারি করে দিয়ে মাছের দুই পিঠ লালচে করে ভেজে নিন। তারপর মাছ ভাজা হয়ে গেলে মাছ গুলো আলাদা প্লেটে তুলে রেখে দিন। এবারে ওই তেলেই একে একে করে রসুন কুচি, পেঁয়াজ এবং কাঁচা লঙ্কার চেরা দিয়ে দিন। এবার পেঁয়াজের রঙ হালকা বাদামী হয়ে গেলে তাতে আদা বাটা এবং রসুন বাটা দিয়ে সামান্য জল দিয়ে দিন। এবারে সব একসাথে ভালো করে নেড়ে দিয়ে একে একে হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো,জিরে ও ধনে গুঁড়ো এবং পরিমাণমতো নুন দিয়ে ভালো করে কষিয়ে রান্না করুন।
দ্বিতীয় ধাপ :- এবারে চুলায় আঁচ মাঝারি রেখে মশলায় অল্প অল্প জল দিয়ে কষাতে হবে। মোট ১ কাপ জল ২ থেকে ৩ বারে অল্প অল্প করে দিয়ে মশলা কষিয়ে নিন। মশলা কষানো হয়ে গেলে মশলার ওপর তেল উঠে গেলে ভাজা মাছ গুলো দিয়ে দিন। এবার এক মিনিট পর মাছ সাবধানে উল্টে দিয়ে মাছে বাকি ১/২ কাপ জল দিয়ে পাত্র ঢেকে দিন।এটি মাঝারি আঁচে মাছ ঢেকে ৫ থেকে ৮ মিনিট রান্না করুন যাতে মাছের ভিতর ভালো ভাবে মশলা ঢুকে যায়। এবারে ৫ থেকে ৮ মিনিট পর পাত্রের ঢাকনা তুলে মাছের ওপর টুকরো করে রাখা টম্যাটো, ধনেপাতা কুচি এবং আস্ত কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিন। এবারে দেখুন মাছের ঝোলের ওপর তেল উঠে এলে চুলা বন্ধ করে দিয়ে, মাছের ঝোলটিকে ঢেকে রেখে দিন প্রায় তিন থেকে পাঁচ মিনিটের মতো। এরপর পরিবেশন করুন গরম গরম ভাতের সঙ্গে অথবা রুটির সঙ্গে এই মজাদার রেসিপিটি "কোরাল মাছের দোপেঁয়াজা"।আর এই রান্নাটি করতে সময় লাগবে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের মতো।আর এই রান্নাটি ৩ থেকে ৪ জনের জন্য প্রযোজ্য। অর্থাৎ ৩ থেকে ৪ জন খেতে পারবেন।আর বাড়িতে যদি জনসংখ্যা বেশি থাকে তাহলে শুধুমাত্র উপকরণ গুলি বাড়িয়ে নিলেই হয়ে যাবে। আর বাড়িতে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন আর বন্ধুরা কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।