আজকের রেসিপিটি হলো "রুই মাছের মুড়িঘন্ট" কি ভাবে রান্না করবেন?
একটি ছোট্ট টিপস :-
মাথার চুল পড়া বন্ধ করুন কিছু ঘরোয়া উপায়ে :-
সূচনা :- আমাদের চুলের পুষ্টির জন্য তেলের বিকল্প আর কোথাও নেই।এই তেল চেটচেট ভাবের জন্য অনেকেই চুলে তেল লাগাতে চায় না। এর জন্য সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় আমাদের চুলে।এই তেল চুলের গোড়া থেকে পুষ্টি যোগিয়ে চুলকে করে গোড়া থেকে মজবুত,শাইনি,ও সিল্কি, করে,এর জন্য আমাদের চুল সুস্থ ও সুন্দর দেখায়। আমরা সাধারণত বাজারে নারকেল তেল, বাদাম তেল ব্যবহার করে থাকি। বিশেষ করে আয়ুর্বেদিক তেল চুলের জন্য বেশ উপকারী।এই আয়ুর্বেদিক তেল চুল পড়া অনেকক্ষানি বন্ধ করে ও চুলকে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
এই কথাটি সবসময় মাথায় রাখবেন যে, আমরা যেমন খাওয়ার খেলে আমাদের শরীরে পুষ্টি পায় ও শক্তি পাই তেমনি চুলের জন্য প্রয়োজন পরিমাণমতো খাবার অর্থাৎ তেল,যার মাধ্যমে আমাদের চুল পুষ্টি পাবে।আর এই চুলকে যত্ন না করলে তখন শুরু হয় এই চুলপড়ার সমস্যা।
কমপক্ষে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাথায় আয়ুর্বেদিক তেল লাগানোর চেষ্টা করুন,এতে ফল ভালো পাবেন ও চুল ও ভালো থাকবে। তাহলে চলুন কয়েকটি আয়ুর্বেদিক তেলের বিষয়ে জানা যাক। নিম্নে কয়েকটি তেলের বিবরণ তুলে ধরা হলো।
১. আয়ুর্বেদিক আমলা তেল :- ১০০ গ্ৰাম আমলকী পাউডার ২৫০ গ্ৰাম বিশুদ্ধ নারকেল তেল, এবারে প্রণালী ৪ লিটার জল এক তৃতীয়াংশ আমলকীর গুঁড়ো জলের সাথে মিশিয়ে সিদ্ধ করে নিন। অল্প আঁচে মিশ্রণটি নাড়তে থাকুন জল ১ লিটারে কমে না আসা পর্যন্ত। এবার জলটি একটি সুতির কাপড়ে ছেঁকে নিন। বাকি আমলকীর গুঁড়ো জলের সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এখন একটি বড় পাত্রে আগের ছাকা আমলকী জল এর সাথে আমলকী পেস্ট এবং নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এবার পাত্রটি চুলায় ফুটতে দিন।ফুটে ঘন হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। ঠাণ্ডা হয়ে এলে গ্লাস কন্টেইনারে সংরক্ষণ করুন।আর ভালো ফল পেতে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করতে হবে।
২. তুলসী আয়ুর্বেদিক তেল :- নতুন তুলসী পাতা কিংবা তুলসী পাউডার নিন, বিশুদ্ধ নারকেল তেল। এবারে প্রণালী জল মেথি কয়েকটি তুলসী পাতা কিংবা কয়েক চামচ তুলসী পাতার গুঁড়ো জলের সাথে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। যদি তুলসী পাতা ব্যবহার করেন তবে তুলসী পাতা জল দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার ১০০ মিলি লিটার নারকেল তেলের সাথে তুলসী পাতার পেস্ট মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিন।এর সাথে কয়েকটি মেথি দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ জ্বাল দেওয়ার পর নামিয়ে ফেলুন। ঠাণ্ডা হয়ে এলে এটি কাঁচের জারে সংরক্ষণ করুন।আর এই তেলটি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাথায় ম্যাসাজ করুন। তারপর কোন ভালো হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩. টিপস :- এই আয়ুর্বেদিক তেল ঠাণ্ডা জায়গায় রাখবেন।এতে কোন রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার না করার কারণে রোদের তাপে তেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।আর ব্যবহার পর খুব ভালো করে তেলের ঢাকনাটি লাগিয়ে রাখবেন।এই তেল আপনার চুল পড়া বন্ধ করবে, নতুন চুল গজাতে ও সাহায্য করবে। এমনকি আপনার নিষ্প্রাণ চুলকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে সাহায্য করবে।
৪. যেগুলি খেয়াল রাখবেন :- প্রথমত যতটা পারবেন ঘরের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। দ্বিতীয়ত ফাস্টফুড খাওয়ার একদম বন্ধ করার চেষ্টা করুন। তৃতীয়ত চুলের যত্নের জন্য যতটা পারবেন ন্যাচারাল তেল আর ন্যাচারাল শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন।যেটা চুলের জন্য খুব লাভদায়ক।চতুর্থত বেশি চর্বি জাতীয় খাবার যতটা পারবেন কমিয়ে দিন, এতে স্বাস্থ্যের সাথে সাথে চুল ও ভালো থাকবে। পঞ্চমত যতটা পারবেন ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন, এতে শরীরের পক্ষে খুব উপকারী। সঙ্গে পারলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে, একটি সুন্দর ডায়েট পালন করতে পারেন। ষষ্ঠয়ত যতটা পারবেন নেচারের (Nature) সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন,নেচারের সঙ্গে জুড়ে থাকুন,এই নেচারই সব রোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের রেসিপিটি "রুই মাছের মুড়িঘন্ট" জেনে নেওয়া যাক।
ডিসক্লেইমার :- এটি একটি ঘরোয়াভাবে মাথার চুল পড়া বন্ধ করার একটি উপায়। যদি আপনাদের এটি মনে হয় যে, উপকার পাবেন তাহলে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। আর আশা করি এটিতে উপকার পাবেন। আর যদি আপনাদের মনে হয় উপকার পাবেন না, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং ডাক্তারের নিয়ম ও কথা মতো মেনে চলুন।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-
১. বড় রুই মাছের মাথা ১ টি সঙ্গে মাছের দুটি টুকরো
২. আস্ত গরমমশলা ২ টি
৩. তেজপাতা ১ টি
৪. এলাচ ২ টি
৫. পেঁয়াজ কুচি ১ কাপের মতো
৬. দারচিনি ১ টুকরো
৭. কাঁচা লঙ্কা ৩ টি (মধ্যে থেকে চেরা)
৮. মুগ ডাল ১/৪ কাপ
৯. পোলাও চাল ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ
১০. আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
১১. রসুন বাটা ১/২ টেবিল চামচ
১২. হলুদ ১ চা -চামচ
১৩. লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা -চামচ
১৪. টালা জিরে গুঁড়ো ১ চা -চামচ
১৫. হালকা গরম জল পরিমাণমতো
১৬. নুন পরিমাণমতো
১৭. আস্ত কাঁচা লঙ্কা ২ টি (শেষের বেলায় লাগবে)
১৮. পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ (শেষের বেলায় লাগবে)
১৯. ধনেপাতা কুচি ১/৪ কাপ (শেষের বেলায় লাগবে)
২০. তেল অথবা ঘি প্রয়োজনমতো
কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -
প্রথম ধাপ :- প্রথমে মুগ ডালটা নিন, সেই মুগ ডালকে শুকনো প্যানে টেলে নিন। এরপর ডালটিকে কুড়ি থেকে পঁচিশ মিনিট জলে ভিজিয়ে রেখে দিন,যাতে রান্নার সময় তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়। এবারে ডাল এবং পোলাও চালকে ধুয়ে পরিষ্কার করে,জল ভালো করে ঝরিয়ে নিন। এরপর মাছের মাথা এবং মাছের টুকরোগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। এখন মাছের মাথা ও টুকরোর সাথে সামান্য নুন এবং হলুদ মাখিয়ে তেলে ভেজে তুলে রাখুন। এরপর মাছ ভাজা তেলে একে একে গরমমশলা, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা দিন। দেখুন পেঁয়াজ সোনালি রঙের হয়ে এলে সামান্য জল দিন। এরপর এতে আদা, রসুন, হলুদ, লঙ্কা, নুন এবং জিরে দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন।
দ্বিতীয় ধাপ :- এবারে মশলা ভালো করে কষানো হয়ে গেলে মশলার মধ্যে ডাল ও পোলাও চাল দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়ে তাতে অল্প জল দিন। এখন চুলার আঁচ মাঝারি রেখে পাত্র ঢেকে দিন পাঁচ থেকে ছয় মিনিটের জন্য। এবার পাঁচ থেকে ছয় মিনিটের পর ডালের মধ্যে মাছের মাথা একটু হাত দিয়ে ভেঙে দিয়ে দিন। এবার সব একসাথে ভালো করে কষিয়ে নিন। মাছের মাথা কষানো হয়ে গেলে এরমধ্যে অল্প করে জল দিয়ে সব ভালো করে নেড়ে পাত্র ঢেকে মাঝারি আঁচে রান্না করুন। এবারে দেখুন ঝোল মাখামাখা হয়ে এলে ও তেল উপরে উঠে এলে, তার ওপর ধনেপাতা ও আস্ত কাঁচা লঙ্কা ছড়িয়ে দিয়ে পাত্র ঢেকে দিন পাঁচ মিনিটের জন্য। পাঁচ মিনিট পর মাছের মাথার সাথে সব ভালো করে মিশিয়ে চুলা বন্ধ করে পাত্র ঢেকে রেখে দিন পরিবেশন করার আগে পর্যন্ত। এবার এটি পরিবেশন করুন গরম গরম ভাতের সঙ্গে অথবা রুটির সঙ্গে ও খেতে পারেন।
এই রান্নাটি ৩ থেকে ৪ জনের জন্য।আর এটি রান্না করতে সময় লাগবে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের মতো। বন্ধুরা কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।আর বাড়িতে একবার ট্রাই করে দেখবেন।