আজকে দেখাবো"বেকড রূপচাঁদা" রেসিপি।
একটি ছোট্ট টিপস :-
ঘরোয়া উপায়ে মাথা থেকে খুশকি কি ভাবে দূর করবেন:-
এখনকার সব বয়সের মানুষের কম বেশি খুশকির সমস্যা হয় থাকে। খুশকি হত্তয়ার কারন নানান হতে পারে, তার মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো,প্রথমত চুলের ঠিক মতো যন্ত না নেওয়া। দ্বিতীয়ত সপ্তাহে এক থেকে দুই বার মাথায় ওরগ্যনিক বা ন্যাচারাল শ্যাম্পু ব্যবহার না করা।যত পারবেন ন্যাচারাল শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন, তাতে চুল ও ভালো থাকবে ও মাথায় খুসকি ও হবে না। তৃতীয়ত সঠিক ডায়েট পালন না করা, যেটি শরীর ও চুলের পক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ। চতুর্থত বলা যেতে পারে আমাদের পরিবেশ দূষণের জন্য।পঞ্চমত বিভিন্ন রোগের অথবা পেটের রোগের কারণে ও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।আর ও ইত্যাদি নানান কারণে ও এটি হতে পারে।এই কারণের জন্য অনেক সময় চুলের খুশকি নিয়ন্ত্রণে রাখাটা অনেকের কাছেই যেন অসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু খুশকি দূর করা যে খুব কষ্টের ব্যাপার তাও নয়। নানা প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা ব্যবহার করে ঘরে বসেই আপনি এই খুশকি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তাহলে চলুন সেগুলি যেনে নেওয়া যাক।
১. আমলকীর রস ও নারকেল তেল :- কাঁচা আমলকী ছেঁচে রস করে নারকেলের তেলের সঙ্গে মিশিয়ে হালকা চুলায় গরম করুন। এরপর দুই থেকে তিন দিন রোদে শুকিয়ে বোতলে ভরে রেখে দিন।ব্যস তৈরি আপনার খুশকির থেকে মুক্তি পাওয়া তেল।এই তেল সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাথায় ভালো করে ঘষুন। দেখবেন কিছু দিন ব্যবহার করার ফলে খুশকি চলে যাবে।
২. আমলকী ও জলপাই,জব ফুল :- খুশকি দূর করতে আপনার হাতের নাগালে থাকা জবা ফুল, আমলকী ও জলপাই ব্যবহার করতে পারেন।জবা ফুল, আমলকী ও জলপাই একসঙ্গে বেটে পেস্ট তৈরি করে চুলে লাগান। এরপর আধ ঘন্টা পরে ন্যাচারাল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, এই ভাবেই কিছুদিন ব্যবহার করার ফলে আপনার খুশকি নিজে নিজেই কমে যাবে।
৩. নিমপাতা ও দুর্বা ঘাস :- খুশকি দূর করতে নিমপাতা ও দুর্বা ঘাসের জুড়ি মেলা ভার। দুর্বা ঘাস ও নিমপাতা বাটা, সঙ্গে শশার রস মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। সেই পেস্ট মাথার তালুতে লাগান। এরপর আধ ঘন্টা পরে ন্যাচারাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। খুশকি নিজে নিজেই চলে যাবে। এটি পাঁচ থেকে সাত সপ্তাহ ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
৪. মেথি বাটা :- মেথি বাটা, আমলকীর রস, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই জলে একটি পেস্ট তৈরি করুন। সেই পেস্ট মাথায় লাগান, তারপর আধ ঘন্টা পর্যন্ত রেখে দিন। তারপর চুল ন্যাচারাল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এতে ও খুশকি চলে যাবে।
৫. আমলকী ও শিকাকাই গুঁড়ো :- আমলকী ও শিকাকাই গুঁড়ো, নারকেল তেলের সঙ্গে পেস্ট তৈরি করুন।এই পেস্টটি চুলে লাগান।চুলে লাগানোর পর শুকিয়ে গেলে ন্যাচারাল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকি চলে যাবে।
৬. লেবুর রস ও নারকেল তেল :- খুশকি দূর করতে লেবুর রসের সঙ্গে নারকেলের তেল মাথার তালুতে লাগানো যেতে পারে।এক চা -চামচ লেবুর রসের সঙ্গে পাঁচ চা -চামচ নারকেলের তেল ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর মাথার তালুতে লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর ন্যাচারাল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এই ভাবে কিছুদিনের ব্যবহারের ফলে দেখবেন খুশকি দূর হয়ে গেছে।
৭. পেঁয়াজের রস :- খুশকি দূর করতে পেঁয়াজের রস বেশ কার্যকর। পেঁয়াজের রস করে মাথার তালুতে লাগান।৩০ মিনিট রেখে, ন্যাচারাল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ভালো ফল পাওয়া যায়।
৮. কাঁচা আমলকী রস :- আমলকীর রস খুশকি দূর করে।আর ও চুলের যত্নের জন্য ও আমলকী দারুন উপকারী। চুলের নানান সমস্যা সমাধান করে থাকে এই আমলকী। আমলকীর রস যদি সপ্তাহে দুই বার মাথার তালুতে লাগান, তাহলে খুব ভালো ফল পাবেন। এটি চুল ও খুশকি দুটোর জন্যই খুবই উপকারী।
৯. রিঠা ফল:- রিঠা ফল ও এই আমলকীর মতোই খুব গুরুত্বপূর্ণ এই চুল আর খুশকির জন্য। রিঠা ফলকে ছোট ছোট কুচি করে নিয়ে,রোদে শুকিয়ে নিন,এই রিঠা ফলকে একটি পরিমাণমতো জলে ভিজিয়ে রাখতে পারেন কিছুদিনের জন্য তারপর ব্যবহার করবেন।তারপর সেই জল দিয়ে মাথা ধুয়ে নিতে পারেন।এর মতো কার্যকরী উপায় আর নেই। এটি ব্যবহার করলে আপনি নিজে নিজেই বুঝতে পারবেন এর গুনাগুন।আর এই রিঠা ফল আপনার চুলের যত্নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের "বেকড রূপচাঁদা"
মাছের রেসিপিটি দেখে নেওয়া যাক।
ডিসক্লেইমার :- এটি একটি ঘরোয়া উপায়ে মাথা থেকে খুশকি দূর রক্ষার একটি উপায়। যদি আপনাদের এটি মনে হয় যে, উপকার পাবেন তাহলে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। আর আশা করি এটিতে উপকার পাবেন। আর যদি আপনাদের মনে হয় উপকার পাবেন না, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং ডাক্তারের নিয়ম ও কথা মতো মেনে চলুন।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-
১. রূপচাঁদা মাছ ১ টি
২. রসুন মিহি করে কুচি ৩ থেকে ৪ কোয়া
৩. আদা রস ১ চা -চামচ
৪. গোলমরিচ গুঁড়ো ১/২ চা -চামচ
৫. লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চা -চামচ
৬. লেবুর রস ১/২ চা -চামচ
৭. সয়া সস ১ চা -চামচ
৮. লবণ পরিমাণমতো
৯. তেল প্রয়োজনমতো
১০. শুকনো লঙ্কা ৩ টি (বেটে নিন)
কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -
প্রথম ধাপ :- প্রথমে মাছকে কেটে ভালোভাবে জল দিয়ে পরিস্কার করে নিন,ও জল ভালো করে ঝুরিয়ে নিন। এবারে মাছের দুই পিঠে ছুরি দিয়ে দাগ কেটে নিন। এরপর একটি প্লেটে রসুন কুচি,আদার রস, গোলমরিচ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, লেবুর রস,সয়া সস, সঙ্গে পরিমাণমতো লবণ এবং তেল দিয়ে একসাথে মিশিয়ে মাছের দুই পিঠে ভালো ভাবে মেখে মাছকে আধ ঘন্টার মতো মেরিনেট করে রাখুন। এবারে ২ টি শুকনো লঙ্কা বাটার সাথে ২ চা চামচ তেল মিশিয়ে আলাদা প্লেটে রেখে দিন। এটি মাছকে বেক করার শেষের দিকে মাছের ওপর ব্রাশ করার জন্য লাগবে।
দ্বিতীয় ধাপ :- এবার বেকিং ট্রেতে হালকা তেল ব্রাশ করে মেরিনেট করা মাছ রেখে প্রিহিটেড ওভেনে ১৮০ ডিঃ সেঃ অথবা ৩৬০ ডিঃ ফাঃ তাপমাত্রায় ২৫ মিনিট বেক করে নিন। বেকিং এর মাঝামাঝি সময়ে একবার মাছটিকে উল্টে দেবেন। ২৫ মিনিট হয়ে গেলে ওভেন থেকে মাছ বের করে মাছের গায়ে বাটা লঙ্কা এবং তেলের মিশ্রণটি ব্রাশ করে দিন।এর ফলে মাছের সুন্দর একটা কালার আসবে এবং স্নোকি একটা ফ্লেবার হবে। এখন ওভেনে ব্রয়েল অপশন দিয়ে মাছ আবার ওভেনে রাখুন। মাছের দুই পিঠ পোড়া পোড়া হয়ে গেলে ওভেন থেকে বের করে নিন।ব্যস এই ভাবেই তৈরি করে ফেলুন বাড়িতেই এই "বেকড রূপচাঁদা"
রেসিপিটি।সব শেষে ভাতের সঙ্গে অথবা পরোটার সঙ্গে অথবা রুটির সঙ্গে অথবা পোলাও এর সঙ্গে (যে কোন একটি সঙ্গে)পরিবেশন করুন এই "বেকড রূপচাঁদা"।