বাঙালিদের সবচেয়ে প্রিয় "ইলিশ মাছের ডিম ভুনা" কি ভাবে রান্না করবেন ?
একটি ছোট্ট টিপস :-
মেদ বৃদ্ধিজনিত সমস্যা ও কিছু সমাধান :-
সূচনা :- এই পৃথিবীতে মেদ বৃদ্ধিজনিত সমস্যাটি অনেক মানুষের জন্যই বেদনাদায়ক ও খুবই অস্বস্তিকর। মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই এই সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। আরও বলা যেতে পারে, বিভিন্ন কারণে ও এই সমস্যাটি দেখা দিতে পারে। তবে অনেকেই এই সমস্যা নিয়ে খুবই চিন্তিত। তবে এক অর্থে বলা যেতে পারে, এটি কোনো খুব একটা বড় সমস্যা নয়। এটি নিয়ে বেশি চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কিছু প্রাকৃতিক খাবার রয়েছে,যা নিয়মিত খেলে অল্প দিনের মধ্যেই শরীরের মেদ কমানো সম্ভব।এই সব খাবার শরীরের দিক থেকে ও খুব লাভদায়ক। যা আমাদের প্রতিদিনের খাওয়ারের মধ্যে রাখা উচিত। তাহলে চলুন আর দেরি না করে দ্রুত জেনে নেওয়া যাক।
১. সবুজ শাকসবজি :- অল্প দিনের মধ্যে যদি মেদ কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন খাওয়ারের মধ্যে রাখুন সবুজ টাটকা শাকসবজি।যা অল্প দিনের মধ্যে মেদ কমাতে সাহায্য করবে এই শাকসবজি। চটজলদি যদি মেদ কমাতে চান তাহলে বেশি করে খান শাকসবজি।আর এতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে,যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম।তাই এবার থেকে শাকসবজি খেতে শুরু করুন।
২. শশা :- শশায় রয়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ জল। আরও এতে ক্যালোরির পরিমাণ মাত্র ৪৫ শতাংশ। এই শশার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। যা আমাদের শরীরকে ঠাণ্ডা ও রাখে।এই শশা শরীরের ইমিউনিটিকেও ভালো রাখতে সাহায্য করে। আরও এই শশা হজমের জন্য ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৩. জল :- জলের আরেক নাম হলো জীবন। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রতি মূহুর্তে প্রয়োজন এই জল। খাবার না খেয়ে ও কিছু দিন থাকা যায়, কিন্তু জল ছাড়া কোন কাজই সম্ভব নয়।এই জল শরীরকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে ও রক্ষা করে। পাশাপাশি চর্বি কমানোর জন্যেও এটি সহায়ক।মানব শরীর জল বিহীন একেবারে শূন্য বলা চলে।
৪. প্রচুর পরিমাণে ফলমূল :- এই ফলমূলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার।যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।এই ফলমূল নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হয়। শরীরের মেদ কমাতে ফলমূল ভূমিকা অতুলনীয়। আরও নানা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। তবে একটি কথা মাথায় রাখবেন, অতিরিক্ত খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। পরিমাণমতো খাবেন।
৫. লেবু :- লেবু যেমন আমাদের মেদ কমাতে সাহায্য করে তেমনি হজমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।মেদ কমাতে চাইলে প্রতিদিন খাবারে তালিকায় রাখুন লেবু। লেবু খেলে ত্বকের সৌন্দর্য ও বাড়ে।
৬. মেন্থল :- মেন্থল শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ও বিভিন্ন রোগের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। চায়ের সাথে মিশিয়ে খেলে এটি থেকে বেশি উপকার পাওয়া যায়। শরীরের মেদ কমাতে ও ত্বকের যত্নের জন্য এটি খুবই ভালো।
৭. মটরশুঁটি :- এই মটরশুঁটি শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এবং মাংসপেশীর বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।মটরশুঁটি শরীরের অলসতা কমায় ও মানবদেহের শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৮. কাজুবাদাম :- এই কাজুবাদাম শুধুমাত্র মেদ কমায় না, এটি শরীরের ত্বক থেকে শুরু করে চুলের ও যত্ন রাখতে সাহায্য করে। চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।এই কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'ই' ও প্রোটিন সমৃদ্ধ।যা আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী।
৯. তরমুজ :- তরমুজে রয়েছে ৮০ শতাংশ জল।যা শরীরের প্রয়োজনীয় জলে চাহিদা পূরণের সহায়ক।এই তরমুজ শরীরের অতিরিক্ত সোডিয়াম কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন 'সি' রয়েছে।যা শরীরের মেদ কমাতে সহায়ক।
১০. 'মেদ' যে কোন কারনেই বেড়ে যেতে পারে। এটি নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কিছু কিছু কথা যেগুলি মাথায় রাখতে হবে, প্রথমত বাইরের খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। দ্বিতীয়ত ফাস্টফুড খাওয়া ও বন্ধ করে দিতে হবে। তৃতীয়ত যতটা সম্ভব বাড়ির খাবার খান। চতুর্থত যত পারবেন ফলমূল খান। পঞ্চমত বেশি তেল জাতীয় খাবার খাবেন না, অর্থাৎ বেশি রিচ খাবার খাবেন না।ষষ্ঠয়ত সকাল সকাল উঠে যোগব্যায়াম বা এক্সসাইজ করুন, এতে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত পাবেন সঙ্গে মানসিক শান্তি পাবেন। এতে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে।সপ্তমত পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে একটি ডায়েট পালন করতে পারেন,যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।অষ্টমত ওপরের সব খাবার ছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে অল্প দিনেই মেদ কমিয়ে সুস্থ্য জীবন যাপন সম্ভব।নবমত শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম দিতে হবে, অর্থাৎ বিশেষ করে রাত্রে বেলা শরীরকে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা রেষ্ট দিতে হবে, এরফলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের বাঙালিদের সবচেয়ে প্রিয় "ইলিশ মাছের ডিম ভুনা" রান্নাটি দেখে নেওয়া যাক।
ডিসক্লেইমার :- ওপরের উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতিতে পরামর্শ স্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পদ্ধতি আর ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন অথবা কথা বলুন, সেই নিয়ম মতো মেনে চলুন।
যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-
১. ইলিশ মাছের ডিম ২৫০ থেকে ৩০০ গ্ৰাম
২. পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
৩. কাঁচা লঙ্কা চেরা ৩ থেকে ৪ টি
৪. রসুন বাটা ১ চা -চামচ
৫. জিরে গুঁড়ো ১ চা -চামচ
৬. হলুদ গুঁড়ো ১/৪ চা -চামচ
৭. লঙ্কা গুঁড়ো ১/২ চা -চামচ
৮. তেল ৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ
৯. ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ (ইচ্ছে হলে নিতে পারেন আবার নাও নিতে পারেন)
১০. হালকা গরম জল ১/২ কাপ
১১. নুন পরিমাণমতো
কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -
প্রথম ধাপ :- প্রথমে ইলিশ মাছের ডিম গুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন, তারপর ভালো করে জল ঝরিয়ে নিন। এরপর একটি পাত্র নিন, সেই পাত্রে তেল গরম হতে দিন। তেল গরম হয়ে গেলে তাতে পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচা লঙ্কা দিন। তারপর পেঁয়াজ হালকা বাদামী হয়ে এলে তার মধ্যে রসুন বাটা দিয়ে দিন। এবারে এতে সামান্য জল দিয়ে একে একে হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো,জিরে গুঁড়ো, এবং পরিমাণমতো নুন দিয়ে ভালো করে কষিয়ে রান্না করুন। এরপর চুলার আঁচ মাঝারি রেখে মশলায় অল্প অল্প জল দিয়ে কষিয়ে নিন। মশলা কষাতে কষাতে মশলার ওপর তেল উঠে গেলে তখন ইলিশ মাছের ডিম গুলো দিয়ে দিন।
দ্বিতীয় ধাপ :- এবারে এক মিনিট পর মাছের ডিম উল্টো দিন। চুলার আঁচ মাঝারি রেখে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন অন্ততপক্ষে ২ থেকে ৪ মিনিট, যাতে ডিমের ভিতর ভালো ভাবে মশলা গুলো ঢুকতে পারে। এরপর পাত্রের ঢাকনা খুলে মাছের ডিমের উপর ধনেপাতা কুচি দিয়ে দিন। এবারে ডিমের ঝোলের ওপর তেল উঠে এলে চুলা বন্ধ করে দিন। তারপর কিছুক্ষণ ওই ভাবেই ঢেকে রেখে দিন, কিছু সময়ের জন্য। এরপর পরিবেশন করার জন্য একদম প্রস্তুত। এবারে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন এই "ইলিশ মাছের ডিম ভুনা"। খেতে একদম জমে যাবে।এই রান্নাটি করতে সময় লাগবে প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মতো।আর এটি তিন থেকে চার জনের খাবার। যদি ঘরে জনসংখ্যা বেশি থাকে তাহলে উপকরণের মাত্রা গুলি বাড়িয়ে নেবেন।আর কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।