আজকে জানাবো পাবদা মাছের একটি নতুন রেসিপি যেটি হলো "পাবদা মাছের ভুনা"।pabda macher recipe in bangla।

 আজকে জানাবো পাবদা মাছের একটি নতুন রেসিপি যেটি হলো "পাবদা মাছের ভুনা"pabda macher recipe in bangla


পাবদা মাছের ভুনা


একটি ছোট্ট টিপস :-


রোগ প্রতিরোধক পানীয় :-

আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের শরীরকে নীরোগ সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তখন আমরা যে কোন রোগে তাড়াতাড়ি আক্রান্ত হয়ে পড়ি না।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত থাকার ফলে তা আমাদের দেহে যে কোন রোগ বাসা বাঁধতে বাঁধা প্রদান করে থাকে। কিন্তু যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্থাৎ ইমিউনিটি সিস্টেম দূর্বল হয়ে পড়ে তাহলে ছোট হোক বা বড় যে কোন রোগেই আমরা খুব সহজে আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারি।তাই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউনিটি সিস্টেম) বাড়ে এমন কিছু কাজ করা প্রয়োজন, যা আমাদের নিজেদের দৈহিক সুস্থতার জন্য অনেক জরুরী।
আজ জেনে নিন এমন একটি মাত্র কার্যকরী কৌশল যা আমাদের দেহের অথবা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে আপনার দেহকে নীরোগ সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে চিরকাল। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।


যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-

• ৪ থেকেটি গাজর
• ১ টি পেয়ারা

• ১ টি আপেল

• ১/৪ ইঞ্চি আদা (দিতে পারেন অথবা নাও দিতে পারে)



এবার পদ্ধতি :-

এবারে প্রতিটি উপকরণ ভালো করে ধুয়ে নিন এবং আদার খোসা ছাড়িয়ে নিন।
এরপর ছোট ছোট টুকরো করে ফুড প্রসেসর অথবা ব্লেন্ডারে অথবা জুসারে দিয়ে জুস তৈরি করে ফেলুন। যদি ব্লেন্ডারে করে থাকেন তাহলে আলাদা করে ছেঁকে নেবেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এই পানীয়টি পান করুন প্রতিদিন সকালে।



এই পানীয়টিতে যা যা রয়েছে :-

প্রথমত ভিটামিন
ভিটামিন সি

বেটা ক্যারোটিন

• ১.৩ গ্ৰাম ফ্যাট

• ৩১৪ ক্যালোরি

• ৩.৯ গ্ৰাম প্রোটিন

• ১৭.৬ গ্ৰাম ফাইবার



এবার এদের কার্যকারিতা :-

এই গাজরে রয়েছে বেটা ক্যারোটিনের খুবই ভালো একটি উৎস যা দেহে পৌঁছানোর পর ভিটামিন তে পরিণত হয়ে যায়। ভিটামিন আমাদের দেহের ইমিউনিটি সিস্টেমকে রেগুলেট করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে এবং দেহকে যে কোনো ইনফেকশনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা করে থাকে। এটি দেহের টি সেল গুলোকে যা প্রতিরোধকারী কোষ নামে পরিচিত তা পুরো দেহে সঞ্চালন করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এই পানীয়টি দেহের শ্বেত রক্তকণিকার সার্বিক উন্নতিকে কাজ করে,যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে প্রতিনিয়ত।


কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরা হলো :-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রথমত বাইরের খাবারকে এড়িয়ে চলুন, যতটা পারবেন বাড়ির খাবার খান।
দ্বিতীয়ত যতটা পারবেন বেশি তেল মশলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন, এটিতে আপনার শরীর ভালো থাকবে।

তৃতীয়ত যত পারবেন ফলমূল শাকসবজি খাবার খান, এতে ইমিউনিটি সিস্টেম বৃদ্ধি পাবে।

চতুর্থত একটি সঠিক ডায়েট চার্ট করুন সেই ডায়েট পালন করুন।না পারলে এই ডায়েট পালনের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

পঞ্চমত সারাদিনের মধ্যে ,সূর্যের আলো নিন শরীরে কমপক্ষে ৩০ মিনিট,যা শরীরের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ষষ্টয়ত সকাল সকাল উঠুন যোগব্যায়াম করার চেষ্টা করুন,যা মনকে শান্ত শরীরকে ভালো রাখবে।

সপ্তমত শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে রেস্ট দিন, অর্থাৎ শরীরকে কমপক্ষেথেকেঘন্টা ঘুম দিন।যা ইমিউনিটি সিস্টেম বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী।

অষ্টমত যতটা পারবেন প্রকৃতির সঙ্গে জুড়ে থাকুন এতে আপনার শরীরে ক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে মন ভালো থাকবে।

চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের "পাবদা মাছের ভুনা" রেসিপিটি জেনে নেওয়া যাক।




ডিসক্লেইমার :- এটি একটি ঘরোয়া উপায়ে রোগ প্রতিরোধক পানীয়। যদি আপনাদের এটি মনে হয় যে, উপকার পাবেন তাহলে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন।আর আশা করি এটিতে উপকার পাবেন। আর যদি আপনাদের মনে হয় উপকার পাবেন না অথবা মনের মধ্যে কোন দ্বিধাবোধ হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং ডাক্তারের নিয়ম কথা মতো মেনে চলুন।আর আপনার যদি আগে থেকেই দৈহিক কোনো সমস্যা থেকে থাকে যার কারণে আপনি প্রতিদিন ঔষধ সেবন করেন তাহলে,তারা এই পানীয় পানের আগে অবশ্যই নিজের চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নেবেন তারপর এই পানীয়টি পান করবেন।





যা যা প্রয়োজন অর্থাৎ উপকরণ :-

১. পাবদা মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ গ্ৰাম

২. গোটা কালোজিরা ১/৪ চা -চামচ‌‌‌

৩. কাঁচা লঙ্কাথেকেটি (মাঝখান থেকে চিরে নেবেন)

৪. পেঁয়াজ কুচিকাপ

৫. রসুন বাটাচা -চামচ‌‌‌

৬. জিরে - ধনে গুঁড়ো ১১/২ চা -চামচ‌‌‌

৭. হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা -চামচ‌‌‌

৮. লঙ্কা গুঁড়োচা -চামচ‌‌‌

৯. ধনেপাতা কুচিটেবিল চামচ

১০. তেলথেকেটেবিল চামচ (অর্থাৎ প্রয়োজনমতো)

১১. নুন পরিমাণমতো

১২. জল পরিমাণমতো




পাবদা মাছের ভুনা


কি ভাবে রান্না করবেন অর্থাৎ প্রনালীঃ -

প্রথম ধাপ :- প্রথমে মাছ গুলোকে কেটে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন, তারপর মাছ থেকে ভালো করে জল ঝরিয়ে নিন। এরপর মাছ গুলোকে চাইলে সামান্য নুন হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিতে পারেন, আবার নাও ভাজলে হবে। আপনার যেটি ভালো লাগে। এবার আলাদা একটি পাত্র নিন, সেই পাত্রে পরিমাণমতো তেল দিয়ে তেল গরম করুন। তেল সামান্য গরম হয়ে এলে আস্ত কালোজিরা এবং কাঁচা লঙ্কা দিয়ে একটু ভেজে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। তারপর পেঁয়াজের রঙ হালকা বাদামী হয়ে এলে রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে নেড়ে দিন। এরপর এর মধ্যে সামান্য জল দিয়ে একে একে হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো,জিরে - ধনে গুঁড়ো এবং নুন দিন। চুলার আঁচ মাঝারি রেখে বেশ কিছুটা সময় নিয়ে মশলাটা কষিয়ে নিন। প্রয়োজন পড়লে অল্প গরম জল যোগ করুন।

দ্বিতীয় ধাপ :- এবারে মশলা কষাতে কষাতে মশলার ওপর তেল উঠে এলে তাতে পরিমাণমতো গরম জল দিন। এখন জল ভালো ভাবে ফুটে ঝোল কমে আসা শুরু হলে এর মধ্যে মাছ গুলো দিয়ে দিন। এরপর পাত্রের হাতল ধরে মাছগুলোকে ভালো ভাবে নেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে মাঝারি আঁচেথেকেমিনিট রান্না করুন। তারপর পাত্রের ঢাকনা খুলে মাছ সাবধানে নেড়ে দিন। এবারে দেখুন মাছের ঝোল মাখা মাখা হয়ে এলে তার ওপরে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ পর মাছগুলোকে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।ব্যস এই ভাবেই তৈরি করে ফেলুন খুব কম সময়ের মধ্যে"পাবদা মাছের ভুনা" রেসিপিটি।এই রেসিপিটি রান্না করতে সময় লাগবে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মতো।আর আজকের এই রান্নাটি খেতে পারবেনথেকেজনের মতো। যদি বাড়িতে জনসংখ্যা বেশি থাকে তাহলে শুধুমাত্র উপকরণ গুলো বাড়িয়ে নিলেই চলবে। এবারে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন এই মজাদার রেসিপিটি। খেতে জমে যাবে।বন্ধুরা কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.